শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক ইতিহাস ২০১৮ প্রশ্ন পত্র



                            উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৮
                                  ইতিহাস


বিভাগ :- " ক "                                         নাম্বার ৪০
যে কোনো পাঁচ টি প্রশ্নের উত্তর দাও ( প্রতিটি খন্ড থেকে দুটি প্রশ্নের উত্তর আবশ্যক )
                    খন্ড - ক

১) অতীত স্মরণ করার ক্ষেত্রে কিংবদন্তি বা মিথ এবং স্মৃতিকথা ভূমিকা আলোচনা করো ।

২) ঔ পনিবেশিক  সমাজে জাতি সংক্রান্ত প্রশ্ন ও তার প্রভাব আলোচনা করো ।

৩) নানকিং- এর সন্ধি ও তিয়েতসিনের সন্ধির মূল শর্ত গুলি আলোচনা করো ।

                      অথবা

ঔ পনিবেশিক  ভারতে অব শিল্পয়নের কারণ ও ফলাফল ব্যাখা করো ।

৪) বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো । এর সীমাবদ্ধতা কি ছিল ?


                       খন্ড - খ

৫) রাওলাট আইনের উদ্দেশ্য কি ছিল ? গান্ধীজি কে এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন ?

৬) ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান পর্যালোচনা করো ।

৭) সুয়েজ সংকটের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

                    অথবা

পূর্ব ইউরোপের সভিয়েতিকরনের উদ্দেশ্যে কি ছিল ? বিভিন্ন দেশে এর প্রভাব পড়েছিল ?

৮) অব ঔ পনিবেশিকরন বলতে কি বোঝায় ? এর সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক তাৎপর্য ব্যাখা করো ।

উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৮ প্রশ্ন পত্র



                         উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৮
                              রাষ্ট্র বিজ্ঞান 


বিভাগ :- " ক "                                         নাম্বার ৪০
 ১) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্ন গুলি লক্ষণীয় ) ৮×৫ = ৪০

i) ক্ষমতা কাকে বলে ? ক্ষমতার উপাদান গুলি আলোচনা করো ।

                   অথবা

বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে জাতীয় স্বার্থের ভূমিকা কি ? জাতীয় স্বার্থরক্ষার বিভিন্ন উপায় গুলি উল্লেখ করো ।

ii) মার্কস - এর রাষ্ট্র সম্পর্কিত তত্ত্বটি আলোচনা করো ।
iii) ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো ।

                    অথবা

ভারতের অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা ব্যাখা করো ।



iv) ভারতীয় পার্লামেন্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো ।

                      অথবা

ভারতের পার্লামেন্টের আইন পাশের পদ্ধতি ব্যাখা করো ।

v) ভারতীয় সুপ্রিকোর্টের গঠন ও কার্যাবলী ব্যাখা করো ।

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক দর্শন ২০১৮ প্রশ্ন পত্র





                        উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৮
                                    দর্শন 


বিভাগ :- " ক "                                         নাম্বার ৪০
১) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্ন গুলি লক্ষণীয় ) ৮×৫ = ৪০

A)  নিরপেক্ষ বচন বলতে কি বোঝো ? উদহারন সহ যোগে নিরপেক্ষ এবং সাপেক্ষ বচনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও । বচনের সংযোজকের কাজ কি ?

                     অথবা

নিম্নলিখিত বাক্য গুলিকে তর্কবিজ্ঞান সম্মত আকারে রূপান্তরিত করো এবং তাদের গুন ও পরিমাণ উল্লেখ করো ।

i) কেবল পরিশ্রমীরাই সফল হয় ।

ii) শিশুরা ছাড়া আর কেউ সরল নয় ।

iii) অসৎ ব্যাক্তিরা কদাচিৎ সুখী হয় ।

iv) বৃত্তাকার বর্গ ক্ষেত্র নেই ।

B) আবর্তনের নিয়মগুলি উদাহরণ সহ উল্লেখ করো । ' O' বচনের আবর্তন সম্ভব নয় কেন ? কোনো ক্ষেত্রে কি ' A ' বচনের সরল আবর্তন সম্ভব ? আলোচনা করো ।

                         অথবা

বিবর্তন কাকে বলে ? বিবর্তনের গুন ও পরিমাণের নিয়ম দুটি উল্লেখ করো ।

নিম্নলিখিত বাক্য গুলিকে আবর্তন করো :
i) সৈনিকরা অবশ্যই দেশপ্রেমিক ।
ii) সাদা বাঘ আছে ।
iii) লাল সাদা নয় ।
iv) চকচক করে এমন সকল বস্তু সোনা নয় ।

C) নিম্নলিখিত যুক্তি গুলিকে আদর্শ আকারে পরিণত করে তাদের মূর্তি ও সংস্থান উল্লেখ করো । প্রত্যেকটির বৈধতা বিচার করো ।

i) সে কাপুরুষ কেননা সে মিথ্যাবাদী এবং মিথ্যাবাদীরাই সর্বদা কাপুরুষ ।

ii) তিনি জ্ঞানী নন কারণ তিনি সুবক্তা নন । একমাত্র জ্ঞানী ব্যক্তিরাই সুবক্তা হন ।

                      অথবা

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে উপযুক্ত উদাহরণ সহ কারে সংক্ষিপ্ত টিকা লেখো :

i) নিরপেক্ষ ন্যায়ের সংস্থান

ii) নিরপেক্ষ ন্যায় সাধ্য পদ , পক্ষ পদ এবং হেতু পদের কাজ ।

D) মিলের সংযুক্ত পদ্ধতি টি আলোচনা করো : আকার , সংজ্ঞা , দৃষ্টান্ত, সুবিধা এবং অসুবিধা ।

E) টিকা লেখো : i) মন্দ উপমা

 ii)  আবশ্যিক শর্তকে সম্পূর্ণ কারণ হিসাবে  গণ্য করা জনিত দোষ ।



বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ২০১৭ প্রশ্ন পত্র



                      উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৭
                               বাংলা

বিভাগ :- " ক "                                         নাম্বার ৫০
১) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

১.১) " যা আর নেই , যা ঝড় - জল - মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল ।" দুর্যোগ টির বর্ননা দাও । দুর্যোগ টি উচ্ছব কে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল  ?

১.২) " বুড়ির সারা শরীর উতপ্ত বালিতে চিত হয়ে পড়ে রইল " । বুড়ির চেহারা ও পোশাকের পরিচয় দাও । তার তপ্ত বালিতে পরে থাকার কারণ কি ?

২) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

২.১) " রুপ নারানের কূলে / জেগে  উঠিলাম " - কে জেগে উঠলেন ? জেগে ওঠার আসল অর্থ কবিতাটির মধ্যে কিভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও ।

২.২) " আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া ফুল ,/ নামুক মহুয়ার গন্ধ ।"  - ' আমার ' বলতে কার কথা বলা হয়েছে ? এমন কামনার কারণ কি ?

৩) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

৩.১) " তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন ।"  - আইজেনস্টাইন সাহেব কে ? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্ছসিত হয়েছিলেন ? সেই অভিনয় দেখে তিনি কি লিখেছিলেন ?

৩.২) " নানা রঙ্গের দিন " একাঙ্ক  নাটক হিসেবে কত খানি সার্থক তা আলোচনা করো ?

৪) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

৪.১) " বইয়ে লেখা রাজার নাম ।/ রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত ?" - কারা , কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিলেন ?

৪.২) " চোখের জল টা তাদের জন্য ।" - বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন ? যে ঘটনায় বক্তার চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সংক্ষেপে লেখো ?

৫) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

৫.১) " হটাৎ একদিন ক্ষেপে ওঠলো কলের কলকাতা ।" - কলকাতার " ক্ষেপে ওঠা " বলতে কি বোঝানো হয়েছে ? কলকাতা ক্ষেপে ওঠার ফল কি হয়েছিল  ?

৫.২) " তাতে চেংমানের চোখ কপালে ওঠল ।" চেংমান কে ? তার চোখ কপালে ওঠার কারণ কি ?

৬) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ১ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

৬.১) রুপমূল কাকে বলে ? উদহারন সহ স্বাধীন ও পরাধীন রুপ মূলের পরিচয় দাও ?

৬.২) শব্দাথ পরিবর্তনের ধারা ক'টি ভাগে বিভক্ত ও কি কি ? যে - কোনো একটি ভাগ উদহারন সহ বুঝিয়ে লেখো ?

৭) অনধিক ১৫০ শব্দে যে - কোনো ২ টি প্রশ্নের উত্তর দাও :

৭.১) বাংলা সঙ্গীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলোচনা করো ।

৭.২) বাংলা চলচিত্র ধারায় পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা করো ।

৭.৩) " পট " শব্দ টির অর্থ কি ? এই শিল্প সম্পর্কে আলোচনা করো ।

৭.৪) চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করো ।

৮)  যে কোনো ১ টি বিষয় নির্বাচন করে নির্দেশ অনুসারে   কম বেশি    ৪০০ শব্দের মধ্যে ১ টি প্রবন্ধ রচনা করো ।
                     রচনা

৮.১) ভারতের দেশপ্রেমের ঐতিহ্য

৮.২) বাংলা বইয়ের দুঃখ

৮.৩) বিতর্কের বিষয় :- " বিজ্ঞানী প্রচার মানুষকে বোকা বানানোর কৌশল "

৮.৪)  মহাশ্বেতা দেবী ( জীবনী মূলক রচনা )


বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক দর্শন ২০১৭ প্রশ্ন পত্র




                  উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৭
                          দর্শন


বিভাগ :- " ক "                                     নাম্বার ৪০
১) আবর্তন বচন বলতে কি বোঝো ? বচন এবং
বাক্যের মধ্যে পার্থক্য কি ? নিরপেক্ষ বচনে পদের ব্যাপ্যতা কি বোঝো ?

                     অথবা

নিচের বাক্য গুলিকে তর্ক বিজ্ঞান সম্মত বচনে রূপান্তরিত করো ও কোন কোন পদ ব্যাপ্য এবং কোন কোন পদ অব্যাপ্য তা উল্লেখ করো :

i) কোন অসৎ মানুষ নেই ।

i i ) সৎ ব্যাক্তিরা সর্বদা সুখী হয় না ।

iii) বৃত্ত কখন ও ত্রিভুজ হয়না  ।

iv) কেবল মাত্র ছাত্ররাই বিত্তির জন্য আবেদন করতে পারে ।


২) অমাধ্যম অনুমান কি ? দৃষ্টান্ত সহ কারে মাধ্যম এবং অমাধ্যম অনুমানের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখা করো ।


                       অথবা


আবর্তন কি ? সরল আবর্তন এবং সীমিত আবর্তনের মধ্যে  পার্থক্য করো ।

নিম্নলিখিত বাক্য গুলির বিবর্তন করো :

i) কোনো ছাত্রই নাটকে অংশ গ্রহণ করতে পারবেনা ।

ii) সব বিজ্ঞানীরা সৎ নয় ।

iii) সব ভালো যার শেষ ভালো ।

iv) খুব অল্প সংখ্যক মানুষই স্বার্থপর নয় ।

৩) নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে উপযুক্ত উদাহরণ সহ সংক্ষিপ্ত টিকা লেখো

i) নিরপেক্ষ ন্যায় ।

ii) চতুষ্পদ ঘটিত দোষ ।

৪) মিলের সহ পরিবর্তন পদ্ধতি আলোচনা করো : সংজ্ঞা,আকার, দৃষ্টান্ত,সুবিধা , অসুবিধা ।

৫) সংক্ষিপ্ত টিকা লেখো :

i) সহকারণকে কারণ অথবা কার্য হিসেবে গ্রহণ জনিত দোষ ।

ii) বহুকারণবাদ ।



মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৯

বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষসম্পদ উন্নয়ন বাংলা রচনা





ভূমিকা: প্রকৃতি সব সময়ই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার সে পরিবেশকে রক্ষা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করে বৃক্ষরাজি অর্থাৎ তার বিস্তৃত বনাঞ্চল। কিন্তু সভ্যতাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এবং নিজেকে সভ্য করে তুলতে মানুষ অবাধে আঘাত হেনেছে প্রকৃতির রক্ষাকবচ এই বৃক্ষের ওপরে। ফলে প্রকৃতির প্রতিক্রিয়া দেখতেও আমরা বাধ্য হয়েছি এবং হচ্ছি। একের পর এক আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হতে হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেখানে কোনো দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন সেখানে বেশিরভাগ দেশই তা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে বৃক্ষহীনতায় পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে মরুভূমির সৃষ্টি হচ্ছে।

বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা: বৃক্ষের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের সম্পর্ক। আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বৃক্ষ সমস্ত প্রাণীর খাদ্য যোগান দেয়। বিশাল এ প্রাণীজগৎকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দেয়। সেই সাথে প্রাণীজগৎকে বিপন্নকারী কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে। তার সুবিশাল শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে বৃক্ষ দগ্ধ পৃথিবীকে শীতল করে। বন্যা, ক্ষরা, ঝড় নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। আবহাওয়া ও জলবায়ুকে নাতিশীতোষ্ণ রাখে। মাটিকে উর্বর করে তোলে। গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া রোধ করে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলে বৃক্ষ। আমাদের জীবনযাপনের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন- আসবাবপত্র, জ্বালানি, কাঠ, গৃহনির্মাণ, রেল লাইনের স্লিপার, নৌকা, লঞ্চ, বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণে যে বিপুল পরিমাণ কাঠ প্রয়োজন হয় তা আসে এই বৃক্ষ থেকে। বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল যেমন রেয়ন, পেন্সিল, কাগজের মন্ড, দেশলাইয়ের কাঠি ও বাক্স, কর্পূর, রাবার ইত্যাদি আমরা বৃক্ষ থেকে পাই। জীবন রক্ষাকারী ভেষজ বিভিন্ন ওষুধের মূল্যবান উপাদানও বৃক্ষই সরবরাহ করে।



বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি: জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের উন্নত ও সুসভ্য দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বেশিমাত্রায় বনভূমি ধ্বংস করছে। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পড়ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপরে। উন্নত দেশগুলোর অধিক হারে বৃক্ষনিধনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়ুম-লের ওজনস্তরে ফাটল ধরেছে। যার ফলে গ্রিন হাউজ ইফেক্টের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার প্রতিকার এখনই করা না হলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং জীবনযাত্রা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

বৃক্ষরোপণ কেন প্রয়োজন: সভ্যতাকে আরও এগিয়ে নিতে এবং শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই আমরা বনাঞ্চল ধ্বংস করছি। আর এর সবই করছি বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে। নিজেদেরকে উন্নত দেশগুলোর কাতারে নেয়ার চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশগুলো অবিরাম ছুটে চলেছে। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলো চেষ্টা করছে নিজেদেরকে আরও উন্নত করতে। আর এসব করতে গিয়ে সমস্ত চাপ এসে পড়ছে প্রকৃতির উপর। বিশেষ করে বনভূমির ওপর। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে নিত্যনতুন সমস্যা। আর এই সকল সমস্যা প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে বনায়নের জন্য কাজ করতে হবে। যে সমস্ত সমস্যা মোকাবেলায় আমাদেরকে বৃক্ষরোপণ করতে হবে তা হলো-

১। প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধ: ২০০৭ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আমেরিকান রাজনীতিবিদ ‘আল গোর’ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করেন এবং এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি অধিক জনসংখ্যা এবং তাদের চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন এর কথা বলেন। বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণেই আমরা স্বল্প বিরতিতে বিভিন্ন ঝড়, ক্ষরা, নদী ভাঙন, বন্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের দেশে উপকূলীয় দুর্যোগ রক্ষা করে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।



২। বায়ুদূষণ রোধ: বৃক্ষ পরিবেশ থেকে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু অধিক হারে বৃক্ষনিধনের ফলে দিন দিন বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃক্ষহীনতার ফলে বায়ু দূষণের জন্য দায়ী অন্যান্য যে সকল উৎসগুলো আছে সেগুলোকেও পরিবেশ নিজ ক্ষমতায় পরিশোধন করতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বায়ু দূষণ এবং এই কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে। তাই এই বায়ুদূষণ এবং তার থেকে সৃষ্ট রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বনায়ন করতে হবে।

৩। গ্রিন হাউজ ইফেক্ট প্রতিরোধ: বিজ্ঞানীদের মতে এই গ্রিন হাউজ ইফেক্টের ফলে নিকট ভবিষ্যতে আর্কটিক মহাসাগরের বিশাল বরফ স্তর গলে সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাবে। আর তা যদি ১ মিটারও বাড়ে তাহলে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ, বিশেষ করে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যাবে। আর তাই এর থেকে নিস্তার পেতে হলে আমাদেরকে অধিক হারে বনায়ন করতে হবে।

৪। ভূমি ক্ষয়রোধ: বনভূমি ধ্বংসের ফলে ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায় এবং ক্ষরা ও মরুকরণ দেখা দেয়। তাই ভূমিক্ষয় রোধের জন্য বৃক্ষরোপণ করা খুবই প্রয়োজন।

বৃক্ষরোপণ অভিযান: রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- ‘দাও ফিরিয়ে সেই অরণ্য, লও এ নগর’। অর্থাৎ তার সময়েই তিনি বনভূমির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে, তবে বর্তমানে আমাদের সরকারগুলোও বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। আর তা সবাইকে অনুধাবন করাতে সরকার বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে দেশকে বাঁচাতে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহকে বেছে নেয়া হয়েছে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ হিসেবে। মৌসুমী বৃষ্টিপাত হওয়ায় এই সময়কে বৃক্ষরোপণের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন নার্সারি থেকে লক্ষ লক্ষ চারা গাছ জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এনজিও সংস্থাও এই অভিযানে এগিয়ে এসেছে। সরকার সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিক্ষয় রোধে উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে উপকূলবাসীকে সম্পৃক্ত করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে।

বনভূমি উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ: বনজ সম্পদ উন্নয়ন ও তার সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য সরকার বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন সংস্থা গড়ে তুলেছে। গঠন করেছে বন গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বেসরকারিভাবে কাঠ ও অন্যান্য দ্রব্য আহরণ নিষিদ্ধ করেছে। বনভূমি সম্প্রসারণের জন্য বনের আশেপাশের জমি সরকারি দখলে নেয়া হয়েছে এবং সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে সারাদেশে ৫২,০০০ একর জমিতে এবং সমুদ্র উপকূলে ৪০,০০০ একর জমিতে বনভূমি সৃষ্টি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে ১৩,০০০ একর জমিতে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করা হয়েছে আর প্রায় ১৫,০০০ একর জমিতে নতুন বনভূমি সৃষ্টি করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বনভূমি উন্নয়নে করণীয়: দেশের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য বনভূমি ও বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু আমাদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমির পরিমাণ অত্যন্ত কম। অবাধে বৃক্ষ নিধনের ফলে আমাদের বনভূমি সংকুচিত হয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য প্রয়োজনে এই বনভূমি ও বনজসম্পদের সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। আর এ জন্য যা করণীয়-
* নতুন বনভূমি গড়ে তুলতে হবে। নদীর তীরবর্তী অঞ্চল, উপত্যকা, পাহাড়ি উচ্চ এলাকা ও সমুদ্র উপকূলে পর্যাপ্ত বনায়ন করতে হবে।

* নির্বিচারে বৃক্ষনিধন রোধ করতে হবে। মূল্যবান বৃক্ষসমূহ সরকারি অনুমতি ছাড়া নিধন করা নিষিদ্ধ করতে হবে।
* সরকারি তত্ত্বাবধানে বনাঞ্চল সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ করতে হবে। বনজ সম্পদ রক্ষায় ও এর উন্নয়নের জন্য বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বনবিভাগীয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দুর্নীতি দমন করতে হবে।
* বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে অভয়ারণ্য গঠন ও সংরক্ষণ করতে হবে। জনগণকে সচেতন হতে হবে। বিনামূল্যে জনগণের মাঝে চারাগাছ বিতরণ করতে হবে।
* বনভূমি থেকে কাঠ সংগ্রহের জন্য যেন আর কোনো গাছ কাটা না হয় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাটা হলেও সেখানে নতুন গাছ লাগিয়ে যেন সেই শূন্যতা পূরণ করা হয়। জ্বালানি হিসেবে কাঠের বিকল্প খুঁজতে হবে।
* বৃক্ষরোপণ অভিযানকে শুধুমাত্র একটি সপ্তাহে সীমাবদ্ধ না রেখে বছরের অন্যান্য সময়ে তা চালিয়ে যেতে হবে।
* চোরাইপথে বৃক্ষনিধন প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য সরকার এবং জনগণকে সচেষ্ট হতে হবে।

উপসংহার: বৃক্ষহীন একটি পৃথিবীতে আমরা কখনই বেঁচে থাকতে পারব না। আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বনায়নের ওপর অর্থাৎ বৃক্ষরোপণের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যক্তিগত পারিবারিক উন্নয়ন এবং জীবন ও জীবিকার তাগিদে আমাদেরকে বনভূমির সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে। শুধুমাত্র সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়েই নয় বরং ব্যক্তিগতভাবেও যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে এবং সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।


সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২০১৭ প্রশ্ন পত্র



                    উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৭
                      রাষ্ট্র বিজ্ঞান 


বিভাগ :- " ক "                                          নাম্বার ৪০
১) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্ন গুলি লক্ষণীয় ) ৮×৫ = ৪০

i) আন্তজার্তিক সম্পর্কের সংজ্ঞা লেখো ? আন্তজার্তিক সম্পর্কের  বিকাশের ধারা সংক্ষেপে আলোচনা করো ।

                    অথবা

বিশ্বায়নের সংজ্ঞা লেখো । বিশ্বায়নের বিভিন্ন রূপ পর্যালোচনা করো ।

ii) উদারনীতি বাদ কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো ।

iii) ক্ষমতা সতন্ত্রিকরন নীতির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিগুলি আলোচনা করো ।


                         অথবা

আধুনিক রাষ্ট্রের শাসন বিভাগের কার্যাবলী আলোচনা করো ।

iv) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ও পদমর্যাদা বিশ্লেষণ করো ।

v) ভারতের সংসদের রাজ্যসভা ও লোকসভার পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যাখা করো ।

                       অথবা

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার অধ্যক্ষের ভূমিকা পর্যালোচনা করো ।