দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

মিলের অন্বয় ব্যতিরেকি পদ্ধতি উত্তর





মিলের অন্বয় ব্যতিরেকি পদ্ধতি উত্তর 

উত্তর:-  মিল অন্বয় ব্যতিরেকি পদ্ধতির সুত্রটিতে এই ভাবে ব্যাক্ত করেছেন , " আলোচ্য ঘটনা টি উপস্থিত আছে এরূপ দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তে যদি কেবলমাত্র একটি ঘটনা সব সময়ই উপস্থিত থাকে এবং আলোচ্য ঘটনা টি উপস্থিত থাকে । তাহলে যে ঘটনাটির জন্য এই দুই শ্রেণীর দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য দেখা যায় সেই ঘটনাটি হয় আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারন বা কারনের অপরিহার্য অংশ ।


[  ] মিল পদ ও সূত্রটিকে এই ভাবে ব্যাখা করা যায় । পর্যবেক্ষণের পাওয়া কতক গুলো দৃষ্টান্তে একটি ঘটনা উপস্থিত থাকলে যদি দেখা যায় যে , এই সব দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনাও উপস্থিত রয়েছে  এবং যদি পূর্বের ঘটনাটি অনুপস্থিত থাকে । আমরা অনুমান করতে পারি যে এই দুটি ঘটনার কার্য কারন সম্পর্ক আছে ।

[   ] এই পদ্ধতিকে অন্বয় ব্যতিরেকি বলা হয় । কারন এক্ষেত্রে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য উভয় বর্তমান সদর্থক দৃষ্টান্তে গুচ্ছের দিক থেকে এই পদ্ধতি হল অন্বয় ব্যতিরেকি পদ্ধতি ।
সদর্থক ও নর্থক দুই রকমের উদাহরন আছে বলে এই পদ্ধতি কে অনেকটা  ব্যতিরেকি পদ্ধতি বলা যায় ।

সাংকেতিক উদাহরণ:-

     
              সদর্থক দৃষ্টান্ত                       
    
         নর্থক দৃষ্টান্ত  
                                                                   


পূর্ববর্তী ঘটনা                          

অনুবর্তী ঘটনা                     পূর্ববতী                           অনুবর্তী                           
ABC         
            
abc                    BCD                   bcd             
ACD

acd                DEF                    def            
ADE                                             ade          
                                           
                              
EFG                                 efg                                  



A হল a এর কারন |
এক্ষেত্রে সদর্থক দৃষ্টান্তে গুচ্ছে দেখা যায় যে, পূর্ববর্তী ঘটনার মধ্যে  A এবং অনুবর্তী ঘটনার মধ্যে  a সব সময় এক সঙ্গে উপস্থিত আছে । আবার নর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ দেখা যায় যে পূর্ববর্তী ঘটনার মধ্যে A এবং অনুবর্তী ঘটনা a সব সময় এক সঙ্গে অনুপস্থিত আছে , কাজেই সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ দুটি ঘটনার অনুপস্থিতর সাদৃশ্য দেখে অনুমান করা যায় যে ,A  হল a এর কারন । 

বাস্তব উদাহরণ :– 
                           ১)  যখনই সৌরভ ভারতীয় দলের হয়ে খেলে তখনই ভারত জয়লাভ করে । আবার সৌরভ যখনই ভারতীয় দলে অনুপস্থিত থাকে তখনই ভারত পরাজিত হয় । সুতরাং সৌরভের উপস্থিত হল ভারতীয় দলের সাফল্যের কারন ।
২) যেখানে যেখানে ম্যালেরিয়া সেখানে সেখানে মশার কামড় । আবার যেখানে যেখানে ম্যালেরিয়া নেই সেখানে সেখানে মশার কামড় নেই । অতএব মশার কামড়ই ম্যালেরিয়ার কারন ।

সুবিধা :–
         ১) এই পদ্ধতির প্রয়োগের ক্ষেত্র খুবই ব্যাপক । যেসব ক্ষেত্রে পরিমাণ সম্ভব নয় সেইসব ক্ষেত্রে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করা যায় না । 

২) এই পদ্ধতির সাহায্য আমরা কার্য থেকে কারনে এবং কারন থেকে কার্যে অগ্রসর হতে পারি ।
৩) এই পদ্ধতির সাহায্য যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় তা বহুকারন সম্ভবনা থেকে অনেকাংশে মুক্ত । 

৪) এই পদ্ধতির সদর্থক ও নর্থক  দৃষ্টান্ত গুচ্ছের সাহায্য দুটি ঘটনার মধ্যে কার্য কারন সম্পর্ক স্থাপন করে । এই কারনে এই পদ্ধতিকে অন্বয় ব্যতিরেকি পদ্ধতির পরিবর্তিত উন্নত রূপে বলা হয় । 

অসুবিধা :–
           ১) এই পদ্ধতির পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল বলে পর্যবেক্ষণের দোষ ( অপর্যবেক্ষণ দোষ ) দেখা দেবার সম্ভবনা থাকে । 

২) এই পদ্ধতিকে কার্য কারন কে সহ অবস্থান থেকে পৃথক করতে পারে না । দুটি ঘটনা সব সময় এক সঙ্গে উপস্থিত থাকলেই তাদের মধ্যে কার্য কারন সম্পর্ক থাকবে এই কথা কখনই সুনিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না ।
৩) এই পদ্ধতির নর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ কে সংগ্রহ করা খবুই কষ্ট সাধ্য ও শ্রম সাপেক্ষ । 

৪) পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল হওয়ার জন্য এই পদ্ধতি কেবলমাত্র কার্য কারন সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয় কিন্তু নিশ্চিত ভাবে প্রমাণ করতে পারে না ।  ।





সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

ব্যতিরেকী পদ্ধতি উত্তর




১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি উত্তর 
ভূমিকা :– মিল ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে নিম্নরূপ ব্যাখা করেছেন । " যদি আলোচ্য ঘটনাটি একটি মাত্র দৃষ্টান্তের উপস্থিত থাকে ও অপর একটি দৃষ্টান্তের অনুউপস্থিত থাকে এবং এই রূপ দুটি দৃষ্টান্তের যদি একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়েই সম্পূর্ণ সাদৃশ্য থাকে ; আর যে ঘটনাটিতে সাদৃশ্য নেই সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্তেই উপস্থিত থাকে ; তাহলে যে ঘটনাটির জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য ঘটেছে সেটিই হবে উপস্থিত আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারন বা কারনের অনিবার্য অংশ " ।

[   ] এই পদ্ধতিটি পূর্বের আলোচিত দ্বিতীয় সূত্র টির উপর প্রতিষ্ঠিত । অপসারনের এই সূত্র টি হলো : যদি A ঘটা সত্বেও X  না ঘটে , তবে  A  কে  X – এর কারন বলা যাবে না এবং X – কে A – এর কার্য বলে গ্রহণ করা যাবে না ।

[   ] ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করার জন্যে মাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন , একটি সদর্থক এবং অপরটি নর্থক ।

[   ] এই রূপ দুটি দৃষ্টান্তের পরীক্ষণের সাহায্য সংগ্রহ করা হয় । প্রথম দৃষ্টান্তে অগ্রবর্তী ঘটনা হিসেবে একটি বিশেষ ঘটনা উপস্থিত এবং অনুবর্তী ঘটনা হিসেবে আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত । দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে বিশেষ ঘটনাটি অনুউপস্থিত , আলোচ্য ঘটনাটিও অনুউপস্থিত । প্রথম দৃষ্টান্তের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনার সব গুলিই অ পরিবর্তী ভাবে দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে । অন্যান্য দিক থেকে দৃষ্টান্ত দুটি এক রকম এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য,  সেই ঘটনাটি হল আলোচ্য ঘটনার কারন । দুটি দৃষ্টান্তের  ব্যতিরেকী বা পার্থক্যর উপর এই পদ্ধতির ভিত্তি ; সেই কারনে এই পদ্ধতিটিকে ব্যতিরেকী পদ্ধতি বলা হয় ।

• সাংকেতিক উদাহরণ :–

                 

  অগ্রবর্তী ঘটনা                 অনুবর্তী ঘটনা

         ABC                                   abc                                                                                                   
          BC.                                     bc
                                                                                               
সুতরাং A  হলো  a এর কারন ।
উল্লেখিত  দৃষ্টান্ত টি পরীক্ষা করলে যাবে যে , আলোচ্য ঘটনা " a " প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত , বিশেষ ঘটনা হিসেবে " A " প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত ।



[  ] দ্বিতীয় দৃষ্টান্তের আলোচ্য ঘটনা "a " অনু উপস্থিত , বিশেষ ঘটনা হিসেবে "A " ও অনু উপস্থিত দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে যেটুকু  পার্থক্য তাহলো " A " এবং " a "  কে নিয়ে । উভয়ই এক সঙ্গে উপস্থিত এবং অনু উপস্থিত । অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনা উভয় দৃষ্টান্তের এক । অনুমান করা হলো  "A " হলো " a " এর কারন ।  BC অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা , কারন দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে পূর্ববর্তী ঘটনা রূপে  BC থাকলেও অনুবর্তী রূপে "a " নেই ।





বাস্তব উদাহরণ :– ১) মস্তিষ্কের কোনো অংশে অস্ত্রোপচার করা হয়নি , শরীরের কোনো বিশেষ অংশ অবশ হয়ে পড়েনি । মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে অস্ত্রোপচার করা হলো , শরীরের একটা বিশেষ অংশ অবশ হয়ে পড়ল । সুতরাং , মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে অস্ত্রোপচার শরীরের আংশিক অবশতার কারন ।
২) অক্সিজেনপূর্ণ একটি পাত্রে একটি বাতি জ্বালানো । বাতিটি জ্বলতে লাগল । পাত্রটি অক্সিজেন শূন্য করে বাতিটি জ্বালানো হলো ; কিন্তু বাতি। নিভে গেল । সুতরাং অক্সিজেনের উপস্থিতি বাতি জ্বলার কারন ।




এই পদ্ধতির সুবিধা :– ১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রমাণের পদ্ধতি হওয়াতে সুনিশ্চিত ভাবে কার্য কারন সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে ।

২) শুধুমাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় বলে , এই পদ্ধতি খুবই সরল ।

এই পদ্ধতির অসুবিধা :– ১) এই পদ্ধতি সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ না করলে " কাকতালীয় " দোষ ঘটতে পারে ।

২) এই পদ্ধতির সাহায্য কারন থেকে শর্ত কে পৃথক করা সম্ভব নয় । এই পদ্ধতির সাহায্য প্রমাণ করা হলো যে , অগ্রবর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারন ।



বিবর্তন কাকে বলে বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো উদহারন সহ ?



১) বিবর্তন কাকে বলে বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো উদহারন সহ ?

উত্তর :– যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যে রূপে সৃহত হয় এবং যুক্তি বাক্যের বি বিধেয়টি সিদ্ধান্তের বিধেয়ের বিরুদ্ধ হিসাবে গৃহিত হয় এই ভাবে যুক্তি বাক্যে এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক রাখা হয় এই অনুমান প্রক্রিয়াকে বলা হয় বিবর্তন ।

বিবর্তনের নিয়মাবলী :– ক) যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে , অথাৎ যুক্তি বাক্যে এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে ।

খ) যুক্তি বাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ হবে ।
গ) যুক্তি বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণের পরিবর্তন হবে অথাৎ যুক্তি বাক্য যদি সদর্থক হয় সিদ্ধান্ত নর্থক হবে , আর যুক্তি বাক্য যদি নর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে ।

ঘ) যুক্তি বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে যুক্তি বাক্য সামান্য বচন হলে সিদ্ধান্ত সামান্য বচন হবে  আর যুক্তি বাক্য বিশেষ বচন হলে সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হবে ।


              " A " বচনের বিবর্তন

" A " সকল সদস্য হয় সভায় উপস্থিতকারি,বিবর্তনীয়

:· " E "  কোনো সদস্য নয় সভায় অপস্থিত  , বিবর্তিত

                 " E " বচনের বিবর্তন

" E " কোনো ব্যাক্তি নয় কাজটি করতে সক্ষম ,বিবর্তনীয়

:· " A "  সকল ব্যাক্তি হয় কাজটি করতে অ – সক্ষম ,( বিবর্তিত )


              " I " বচনের বিবর্তন

" I "  কোনো কোনো ছাত্র হয় বুদ্ধিমান , ( বিবর্তনীয় )

:· " O "  কোনো কোনো ছাত্র নয় অ – বুদ্ধিমান  ,( বিবর্তিত )


              " O "  বচনের বিবর্তন :–

" O "  কোনো কোনো লোক নয় ধনী , ( বিবর্তনীয় )

:· কোনো কোনো লোক হয় অ – ধনী ,( বিবর্তিত )

1)" A " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " E "  বচন পাই .

2)  " E " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " A " বচন পাই .

3) " I " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " O " বচন পাই .

4) " O "  বচনকে বিবর্তন করে আমরা " I " বচন পাই .

আবর্তন কাকে বলে ? আবর্তনের নিয়ম গুলি উদাহরনসহ আলোচনা করো ?



১) আবর্তন  কাকে বলে  ? আবর্তনের   নিয়ম গুলি উদাহরনসহ আলোচনা করো ?

উত্তর :– যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের উদ্দেশ্যে ও বিধেয় কে ন্যায় সংগত ভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্য পরিণত করা হয় , তাকে আবর্তন বলে ।
আবর্তনের ক্ষেত্রে হেতুবাক্য ( আশ্রয় বাক্য ) টিকে বলা হয় আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্ত টিকে বলে আবতিত


আবর্তনের নিয়মাবলী :–
ক) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যেপদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে ।

খ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যেপদ হবে ।

গ) আশ্রয়বাক্যে ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে ।

ঘ) যদি কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ হয় তবে তাকে আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ হতেই হবে ।



            ( A ) বচনের আবর্তন

 " A " সকল শিক্ষক হয় মানুষ    ( আবর্তনীয় )

 " I "  কোনো কোনো মানুষ হয় শিক্ষক ( আবর্তিত )
:–  " A " বচনকে আবর্তন করে আমরা " I "  বচন পাই ।

            ( E ) বচনের আবর্তন

  "E" কোনো মানুষ নয় অমর । ( আবর্তনীয় )

E" কোনো অমর নয় মানুষ । ( আবর্তিত )

:- "E" বচনকে আবর্তন করে আমরা "E" বচন পাই ।

               ( I ) বচনের আবর্তন

 " I " কোনো মানুষ হয় শিক্ষক ।  ( আবর্তনীয় )

" I " কোনো কোনো শিক্ষক হয় মানুষ । ( আবর্তিত )

:– " I " বচনকে আবর্তন করে আমরা  " I " বচন পাই ।

             ( O )বচনের আবর্তন

" O"  কোনো মানুষ নয় শিক্ষক । ( আবর্তনীয় )

" O" কোনো কোনো শিক্ষক নয় মানুষ ।  ( আবর্তিত )

:– O বচনকে আবর্তন করা যায় না ,

                                 


1)" A " বচনকে আবর্তন করে আমরা " I "  বচন পাই

2) "E" বচনকে আবর্তন করে আমরা "E" বচন পাই

3) " I " বচনকে আবর্তন করে আমরা  " I " বচন পাই

4) O বচনকে আবর্তন করা যায় না ,




বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

সংযোজকের স্বরূপ ও কাজ উত্তর


প্রশ্ন :- সংযোজকের স্বরূপ ও কাজ ?

উত্তর :– যে শব্দ বচনের উদ্দেশ্যে ও বিধেয়ের মধ্যে একটা সমন্ধ স্থাপন করে তাকে বলে সংযোজক । সংযোজক সদর্থক ও নর্থক দুই রকমেরই হতে পারে ।

[    ]  সংযোজকের স্বরূপ সম্পর্কে যুক্তি বিজ্ঞানের মধ্যে মতবেধ থাকলেও আমরা সংযোজকের স্বরূপ সম্পর্কে বলতে পারি –
১) সংযোজক কোনো পদ নয় উদ্দেশ্যে ও বিধেয় পদের সম্পর্ক প্রকাশক একটি শব্দ মাত্র ।

২) সংযোজক সব সময় ' হওয়া ' টা ক্রিয়া বর্তমান কালে রূপে হবে । ' বাংলায় হয় ' হন , হয় , হও , প্রভুতি শব্দ সংযোজক হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

৩) সংযোজক সদর্থক ও নর্থক দুই হতে পারে । কোনো বচনের বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্যে পদ সম্পর্কে কিছু স্বীকার করে তবে সংযোজকটি সদর্থক হবে । আর বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কিছু অধিকার করে তবে সংযোজকটি নর্থক হবে ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

দর্শন মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি উত্তর মান ৮ [ Higher secondary Philosophy Mill Questions Answer Marks 8 ]


 

তর্কবিদ মিল কার্য কারন সম্পর্ক নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে যে পাঁচটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি পরিবর্তন করেন তাঁর মধ্যে অন্যতম হলো অন্বয়ী পদ্ধতি ।

[   ] মিলের এই পদ্ধতিটি অপসারনের যে নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত সেটি হল " পূর্ববর্তী ঘটনার যে অংশকে বাদ দিলে কার্যের কোনো হানি হয়না , সেই অংশটি কখনো কারন বা কারনের অংশ হতে পারে না ।

[   ] মিল অন্বয়ী পদ্ধতির সূত্রটিতে এইভাবে ব্যাখা করেছেন - " আজব ঘটনা দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তে যদি একটি মাত্র সাধারন ঘটনা উপস্থিত থাকে এবং যদি এই সাধারন ঘটনাটির সমন্ধে দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে মিল থাকে , তাহলে সেই সাধারন ঘটনাটি হবে আলোচ্য ঘটনার কারন বা কার্য ।

বাস্তব উদাহরণ :– মনে করা যাক , আমরা ম্যালেরিয়া জ্বরের কারন অনুসন্ধান করতে চাই , এজন্যে যে সব জায়গায় ম্যালেরিয়া জ্বর বেশি হচ্ছে , সেই সব জায়গায় গুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল যে । সমস্ত ক্ষেত্রেই ম্যালেরিয়া জ্বরের অনুবর্তী ' এনফিলিক্স ' নামে এক জাতিও মশার দংশন এবং পূর্ববর্তী ঘটনা (যেমন  দরিদ্র , আবর্জনা , ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসস্থান বেশ ভুষা প্রকৃতি ) কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছেনা এর থেকে অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত করা যেতে পারে পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে যে ' এনফিলিক্স  ' মশার দংশন হল ম্যালেরিয়া জ্বরের কারন । 


সুবিধা :–১) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রয়োগ ক্ষেত্র অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অপেক্ষা অনেক বেশি এবং ব্যাপক ।

২) অন্বয়ী পদ্ধতির সাহায্য আমরা কারন থেকে কার্য এবং কার্য থেকে কারন আবিষ্কার করতে পারি এই দিক থেকে এই পদ্ধতি অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় সুবিধাজনক ।

৩) অন্বয়ী পদ্ধতির সাহায্য আমরা কার্য বা কারনের সঙ্গে যুক্তি অপ্রয়োজনীয় অপসারন বা বর্জন করতে পারি ।


অসুবিধা :–১) মিলের বহুকারনবাদের সম্ভবনা কে এই পদ্ধতির প্রকৃতিগত অপূর্ণতা বলা হয় । কারন এই দোষটির অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতির মধ্যেই ।

২) অপর্যবেক্ষণ দোষ কে অন্বয়ী পদ্ধতি ব্যাবহারিক দোষ বা অপূর্ণতা বলা হয় । এই পদ্ধতি মূলত পর্যবেক্ষনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেক সময় আসল কারনটি আমাদের কাছে আত্মগোপন করে থাকতে পারে ।

৩) অন্বয়ী পদ্ধতির সহ অবস্থান থেকে কার্য কারন সমন্ধকে পৃথক করতে পারে না ।


শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯

মীলের পদ্ধতি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর




দর্শন "  মীলের পদ্ধতি " কিছু  গুরুত্বপূর্ণ অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো । আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে ।


প্রতিটি প্রশ্নের মান :- ১


১) পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি কাকে বলে ?

উত্তর :– পরীক্ষা মূলক পদ্ধতি হলো সেইসব পদ্ধতি যা  পযবেক্ষণ ও পরীক্ষণের ভীতিতে আলোচ্যর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বিষয় গুলিকে বর্জন করে এবং ঘটনার মধ্যে কার্য করন সমন্ধ স্থাপন করে ।

২) পরীক্ষা মূলক উপাদান গুলি কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তর :– পরীক্ষা মূলক উপাদান গুলি নিভর করে উপসারন পদ্ধতির উপর ।

৩) উপসরনের কটি নিয়ম আমরা পাই ?

উত্তর :– উপসরনে আমরা ৩ টি নিয়ম পাই ।

৪) উপসরনের প্রথম নিয়মটি লেখো ?

উত্তর :– উপসরনের প্রথম নিয়মটি হলো পূর্ববতী ঘটনার যে অংশকে বাদ দিলে কার্যের কোনো হানি হয়ন , সে অংশটি কখনো কারন বা কারনের অংশ হতে পারে না ।

৫) উপসরনের প্রথম নিয়মটির উপর মিলের কোন পদ্ধতি টি প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর :– অন্বয়ী পদ্ধতি

৬) উপসরনের দ্বিতীয় নিয়মটি লেখো ?

উত্তর :– উপসরনের দ্বিতীয় নিয়মটি হলো – যে পূর্ববতী ঘটনাকে বাদ দিলে যে কার্যটি  পরে যায় সেই পূর্ববতি ঘটনা সেই কার্যের কারন বা কারনের অংশ হবে ।

৭) উপসরনের দ্বিতীয় নিয়মটির উপর মিলের কোন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর :– ব্যতিরেকি পদ্ধতি ।

৮) উপসরনের তৃতীয় নিয়মটি লেখো ?

উত্তর :– উপসরনের তৃতীয় নিয়মটি হলো – যদি কোনো এক বিশেষ অনুপাতে পূর্ববতী ঘটনা এবং পরবর্তীর ঘটনা হাস্র বৃদ্ধি ঘটাতে দেখা যায় , তাহলে ঘটনা দুটি কার্য কারন সম্পর্কে আবদ্ধ হবে ।

৯) উপসরনের তৃতীয় নিয়মটির উপর কোন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর :– সহ পরিবর্তন পদ্ধতি ।

১০) মিলের কয়টি পদ্ধতি ও কি কি ?

উত্তর :– ৫ টি

১) অন্বয়ী পদ্ধতি

২) ব্যতিরেকি পদ্ধতি

 ৩) অন্বয়ী – ব্যতিরেকি পদ্ধতি

 ৪) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি

৫) পরিশেষ পদ্ধতি

১০) অন্বয়ী পদ্ধতিকে পযবেক্ষণ মূলক পদ্ধতি বলা হয় কেনো ?

উত্তর :– অন্বয়ী পদ্ধতি পযবেক্ষনের সাহায্যে দৃষ্ঠাঙ্গ সংগ্রহ করা হয় এবং সেই দৃষ্ঠাঙ্গ ভঙ্গিতে টানা হয় তাই অন্বয়ী পদ্ধতি কে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি বলা হয় ।

১১) ব্যতিরেকি পদ্ধতির উপসারনের ফলে কি দোষ হয় ?

উত্তর :– কাকতালীয় দোষ ।

১২) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি কয় প্রকার হতে পারে ?

উত্তর :– ২ প্রকার
                        ক) প্রত্যক্ষ পরিবর্তন ।
                        খ) বিপরীত পরিবর্তন ।

যুক্তি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর



দর্শন "  যুক্তি  " কিছু  গুরুত্বপূর্ণ অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো । আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে ।

১) যুক্তি কাকে বলে ?

উত্তর :– যুক্তি হলো এমন বচন সমষ্টি যেখানে একটি বচনের সত্যতা একক বা একাধিক সত্যতার উপর নির্ভর করে বলে দাবি করা হয় ।

উদাহরন – ক) সকল মানুষ হয় মরণশীল জীব
                  :- সকল শিক্ষক হয় মরণশীল জীব

২) যুক্তি বিজ্ঞান কাকে বলে ?

উত্তর :– যে শাস্ত্রে অশুদ্ধ যুক্তি থেকে বৈধ বা শুদ্ধ যুক্তিকে পৃথক করায় নিয়ম পদ্ধতি আলোচনা করে তাকে যুক্তি বিজ্ঞান বলে ।

৩) যুক্তির অবয় কাকে বলে ?

উত্তর :– যে সমস্ত বচন দিয়ে যুক্তি গঠিত হয় তাদের যুক্তির অবয় বলে ।

৪ ) যুক্তির অবয়  কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– যুক্তির অবয় ২ প্রকার ।
                                                ক) আশ্রয়বাক্য ।
                                                খ) সিদ্ধান্ত ।

৫) সিদ্ধান্ত কাকে বলে ?

উত্তর :– যুক্তিতে যে বচনের সত্যতা দাবি করা হয় তাকে সিদ্ধান্ত বলে ।

৬) যুক্তি কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ২ প্রকার ।
                             ক) অবরোহ  যুক্তি ।
                             খ) আরোহ যুক্তি ।

৬) অবরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ?

উত্তর :– ক) অবরোহযুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্য ভাবে নি : সত হয় ।

 খ) অবরোহযুক্তির সিদ্ধান্তটি কখনই হেতুবাক্য থেকে ব্যাপকত হয় না , সমব্যাপক বা কমব্যাপক হয় ।


৭) আরোহ যুক্তির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো ?

উত্তর :– ক) আরোহযুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য থেকে অনিবার্য ভাবে নি : সত হয় না ।

খ) আরোহযুক্তির সিদ্ধান্তটি হেতুবাক্য অতিক্রম করে যায় ।

৮) আরোহযুক্তিকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?

উত্তর :– ২ ভাগে ভাগ করা যায় ।
                                                ক) নিরপেক্ষ ।
                                                খ) সাপেক্ষ ।

৯) নিরপেক্ষ যুক্তি কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ২ প্রকার ।

                            ক) মাধ্যম অবরোহ যুক্তি ।
                            খ) অমাধ্যম অবরোহ যুক্তি ।




আরোহ দোষ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর




দর্শন "  আরোহ দোষ  " কিছু  গুরুত্বপূর্ণ অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো । আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে ।

 ১) আরোহ অনুমান দোষ কাকে বলে ? 

উত্তর :– যখন আরোহ অনুমানের নিয়ম অনুসরন না করে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠান করা হয় তখন যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয় আরোহ মূলক দোষ । 

২) আরোহ মূলক দোষ গুলিকে কয় ভাগে ভাগ করা    

উত্তর :– ২ ভাগে ভাগ করা যায় । 

                             ক) অনুমান সংক্রান্ত দোষ । 
                               খ) অনুমান বহির্ভূত দোষ । 

৩) অনুমান সংক্রান্ত দোষ কয় প্রকার ? 

উত্তর :– ৩ প্রকার ।

                   ক) উপমা সংক্রান্তি দোষ ।

                            খ) সামান্নি করন সংক্রান্ত দোষ । 

                 গ) কারন সংক্রান্ত দোষ ।


৪) কারন সংক্রান্ত দোষ কয় প্রকার ও কি কি ? 

উত্তর :– ৪ প্রকার ।  

   ক) অবান্তর ঘটনাকে কারন মনে করার দোষ ।  
  খ) সহকার্যকে কারন বা কার্য মনে করার দোষ ।       গ) কারনের অংশ কে সম্পূর্ণ কারন বলে মনে করার দোষ ।   
ঘ) কাকতালীয় দোষ । 


৫) অপর্যবেক্ষণ  দোষ কয় প্রকার ও কি কি ? 

উত্তর :– ২ প্রকার । 
                         ক) নর্থ দৃষ্ঠাঙ্গে অপর্যবেক্ষণ ।
                        খ) প্রয়োজনীয় পরিপাশিক অবস্থা ।

৬) অনুমান সংক্রান্ত দোষ কাকে বলে ? 


উত্তর :– একটি আরোহ অনুমান কে বৌদ্ধ গুলিকে হওয়ার জন্য কতক গুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে যে সব ক্ষেত্রে এই নিয়মি গুলি মানা হয় না সেখানে যে দোষ ঘটে তাহলো আরোহ অনুমান সংক্রান্ত দোষ  ।




মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯

কারন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর




দর্শন "  কারন " কিছু  গুরুত্বপূর্ণ অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো । আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে ।

প্রতিটি প্রশ্নের মান :- ১ 

১) শর্ত কি ?

উত্তর :– শর্ত হলো কারনের এমন এক অপরিহার্য অংশ যা অপুস্থিত বা অনুপুস্থিত থেকেও কার্য কে ঘটাতে পারে।

২) কারন ও শর্তের মধ্যে সম্পর্ক কি ?

উত্তর :– কারন হলো সদথকও নর্থক কাণ্ডের ।

৩) শর্ত কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ৩ প্রকার , আবশ্যিক শর্ত , পর্যাপ্ত শর্ত , আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত ।

৪) আবশ্যিক শর্ত  কাকে বলে ?

উত্তর :– যদি কোনো শর্ত অপুস্থিত থাকলে কোনো ঘটনা ঘটা সম্ভবনা না হয় তাহলে সেই বিশেষ শর্তটিকে বলা হয় আবশ্যিক শর্ত বা অনিবার্য শর্ত ।

৫) পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে ?

উত্তর :– একটি ঘটনার পর্যাপ্ত শর্ত হলো সেই শর্ত যার অপুস্থিতে উক্ত ঘটনাটি ঘটবেই ।


৬) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত  কাকে বলে ?

উত্তর :– যদি দুটি ঘটনার সমন্ধ এমন হয় যে প্রথম টি না ঘটলে দ্বিতীয় টি ঘটেনা এবং প্রথম ঘটনাটিকে বলা হয় দ্বিতীয় ঘটনার আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত   ।

৭) কারনের কথক কয় প্রকার লক্ষণ করা যায় ?

উত্তর :– ২ প্রকার
                          ক) কারনের গুন ঘনত্ব লক্ষণ
                         খ) কারনের পরিমাণ ঘনত্ব লক্ষণ

৮) কারনের গুন লক্ষণ কি ?

উত্তর :– কারন হলো কোনো ঘটনার শর্তহীন অববহিত নিয়ত পূর্বগামী ঘটনা ।

৯) বহূকারনবাদ কাকে বলে ?

উত্তর :– বহূকারনবাদ কথাটির অর্থ হলো একই কার্যের বহূ কারন থাকতে পারে , উপর কোথায় একই কার্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনের দ্বারা উৎপন্ন হতে পারে ।

১০) বহূকারনবাদের সমর্থক করেন এমন কয়েকজন নাম লেখো ?

উত্তর :– মিল , বেন বহূকারনবাদের সমর্থক ।

১১) বহূকারনবাদের একজন সমালোচক হলেন ?

উত্তর :– I .M .Copy

১২) কার্য সমীকরণ কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ২ প্রকার

                      ক) সমজাতি ও কার্যসমীকরণ ।

                     খ) বিজাতি ও কার্যসমীকরণ ।

১৩) কোন অনুমানের সিদ্ধান্ত সর্বদায় সমভাব হয় ?

উত্তর :– অবৈজ্ঞানিক আরোহের অনুমান ।

১৪) অবৈজ্ঞানিক আরোহের মূল কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তর :– দৃষ্টান্তের সংখ্যার উপর ।

১৫) অপ্রমার অনুমান কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তর :– সাদৃশ্যের গুরুত্বর উপর ।



সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯

দর্শন ( টিকা ) সাজেশন উত্তর সহ



১) অবৈধ সামান্নি করন দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– লৌকিক আরহের ক্ষেত্রে কার্য কারনের উপর এ নির্ভর না করে কেবলমাত্র অবাদ অভিজ্ঞার ভীতিতে দ্রুত সামান্নি করন করা হয় এবং তার মাধ্যমেই একটি সামান্য বচন প্রতিষ্টা করা হয় । এর ফলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয় অবৈধ সামান্নি করন দোষ  ।
উদাহরন :– অমুখ করলে ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন নেই , কারন যারা ডাক্তারের পরামর্শ নেয় তারাও মারা যায় ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি অবৈধ সামান্নি করন দোষে দুষ্ট । অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখা গেছে যে , বেশ কিছু লোক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা সত্বেও মারা গেছে । এর থেকে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে যে , ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন নেই কিন্তু যুক্তিটি অবৈধ কেননা অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এবং পরামর্শ গ্রহণকারী  ব্যাক্তি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে  । সেই বিরোধী দৃষ্টান্ত গুলি পর্যবেক্ষণ না করার জন্য যুক্তি টিতে  অবৈধসামান্নি করন দোষ ঘটেছে ।


২) মন্দ উপমা যুক্তি । ( টিকা )

উত্তর :– দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং সেই সাদৃশ্যর ভীতিতে  যখন তাদের অপর কোনো নতুন সাদৃশ্যর অস্তিত্ব অনুমান করা হয় তখন তাদের কে বলা হয় উপমা যুক্তি । যদি সাদৃশ্যর সংখ্যা ও গুরুত্ব কম হয় তাহলে সেই উপমা যুক্তিতে যে দোষ ঘটে এবং সেইরূপ যুক্তিকে বলা হয়  মন্দ উপমা যুক্তি ।

উদাহরণ :– কুকুর এবং চেয়ার উভয়ের চারটি করে পা আছে । যেহেতু কুকুর কামড়াতে পারে তাই চেয়ার ও কামড়াতে  পারে ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি হলো মন্দ উপমা যুক্তির দৃষ্টান্ত । এখানে কুকুরের সঙ্গে চেয়ারের সাদৃশ্য দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । কিন্তু কুকুর ও চেয়ারের মধ্যে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্য যার ভিত্তিতে উক্ত সিদ্ধান্ত যুক্তি যুক্ত হবে । বস্তুত , কুকুর ও চেয়ারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈসাদৃশ্য গুলি উপেক্ষা করা হয়েছে । এই যুক্তিটিতে হেতু সাদৃশ্য র সঙ্গে সিদ্ধান্তের অনুমিত ধর্মের প্রাসঙ্গিকতার অভাব আছে । সেজন্য এই যুক্তিতে মন্দ উপমা যুক্তির দোষ আছে ।

৩) আবশ্যিকশর্তকে সমগ্র কারন বলে মনে করার দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– কারন হলো কতক গুলি আবশ্যিক শর্তের সমষ্টি । এই সব শর্তের মধ্যে একটিকে যদি কারন হিসেবে গন্য করা হয় তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয় , " শর্তকে সমগ্র কারন বলে গন্য করার দোষ । "

উদাহরন :– একজন ব্যাক্তি মই থেকে পা ফসকে মাটিতে পড়ে মারা যায় । সুতরাং মই থেকে পড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিটির মৃত্যুর কারণ ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিতে একটি আবশ্যিক শর্তকে কারন বলার গণ্য করার জন্য দোষ ঘটেছে । একথা সত্য যে মই থেকে পড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিটির মৃত্যুর একটি আবশ্যিক শর্ত । কিন্তু এটিকে পর্যাপ্ত শর্ত বলা যাবে না । এই শর্তের সঙ্গে আরও কতক গুলি শর্ত যুক্ত আছে । যেমন – মইটির উচ্চতা , লোকটির শারীরিক দুর্বলতা , দৃষ্টি শক্তির অভাব , প্রাথমিক চিকিৎসার অভাব ইত্যাদি । এইসব শর্তকে উপেক্ষা করে কেবলমাত্র একটি শর্তকে সমগ্র কারন বলে মনে করার জন্য এই দোষ ঘটেছে ।
 

৪) কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করার দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– কোনো কার্যের যে কোনো পূর্বগামি ঘটনা সেই কার্যের কারন হিসেবে গণ্য হতে পারে না । তাই সেটি প্রকৃত কারণ তাকে কারন বলে গণ্য না করে যদি কোনো অপ্রাসঙ্গিক  বা অবান্তর বিষয় কে কারন হিসেবে গণ্য করা হয় , তাহলে কারন সংক্রান্ত দোষ দেখা দেয় , এই দোষ কে বলে কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করার দোষ ।
উদাহরন :– রাশিয়াতে যখন গমের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সুতরাং রাশিয়ায় গমের ফলন হলো কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি কারন ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে কারন বলে গণ্য করার দোষ এ দুষ্ট , এক্ষেত্রে দুটি ঘটনার মধ্যে সহ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও সেই সহ পরিবর্তন প্রাসঙ্গিক নয় । প্রস্তুত দুটি ঘটনা অথাৎ রাশিয়াতে গমের ফলন এবং কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি সহ পরিবর্তিত হলেও এদের মধ্যে কোনো কার্য কারন সম্পর্ক নেই কাজেই সহ পরিবর্তন পদ্ধতি যা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা কারন বলার জন্য এই যুক্তিটিতে দোষ দেখা দিয়েছে ।


৫) কাকতালীয় দোষ ( টিকা )

উত্তর :– কারন হলো কার্যের পূর্বগামী ঘটনা এবং কার্য হলো কারনের অনুগামী ঘটনা কিন্তু তাই বলে যে কোনো পূর্বগামী ঘটনা কারন বলে গণ্য করা যায় না । কারন হবে কার্যের নিয়ত শতান্তরহীন পূর্বগামি ঘটনা । যে কোনো পূর্বগামি ঘটনাকে কারন হিসেবে গ্রহণ করলে যে দোষের উদ্ভব হয় তাকে বলে কাকতালীয় দোষ ।

উদাহরন :– বাড়িতে নববধূ আসার পরদিনে শাশুড়ি মারা গেলো সুতরাং নববধূর আগমন শাশুড়ির মৃত্যুর কারণ ।


ব্যাখা :– এই যুক্তিটি কাকতালীয় দোষে দুষ্ট । এক্ষেত্রে বাড়িতে নববধূ আগমনই ঠিকই যে বাড়িতে নববধূর আগমনে পরদিনই শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো কার্য কারন সম্পর্ক নেই এক্ষেত্রে প্রথম ঘটনাটি হলো ( নববধূর আগমন ) এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো ( শাশুড়ির মৃত্যু ) নিয়ত পূর্ববতি নয় । কিন্তু কারন হতে হলে কোনো ঘটনাকে নিয়ত পূর্ববতী হতে হবে । বস্তুত নিচ্ছক পূর্ববতী ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করা যায় না । তাই যুক্তিটিতে কাকতালীয় দোষ ঘটেছে ।


৬) অপর্যবেক্ষণ দোষ ( টিকা )

উত্তর :– কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্যে যে ঘটনা বা বিষয় পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল তা যদি পর্যবেক্ষণ করা না হয় তবে যে দোষ ঘটে , তাকে বলে অপর্যবেক্ষণ দোষ । এই অপর্যবেক্ষণ দোষ হলো নর্থক প্রকৃতির । কারন এক্ষেত্রে যেসব বিষয় আমাদের দেখা উচিত , অথচ আমরা দেখিনা এবং সেগুলিকে না দেখার জন্যে ভ্রান্তি বা দোষ ঘটে ।

উদাহরন :– অনেকেই বিছানায় মারা গেছে সুতরাং বিছানায় শুয় না ।

ব্যাখা :– এক্ষেত্রে যুক্তিটি ভ্রান্ত এবং অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট । এখানে আমরা কেবলমাত্র সদর্থক দৃষ্টান্ত গুলিকে
পর্যবেক্ষণ  করেছি । অথাৎ যেসব ক্ষেত্রে মানুষ বিছানায় শুয়ে মারা গেছে সেগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছি । কিন্তু নর্থক দৃষ্টান্ত গুলি পর্যবেক্ষণ করা হয়নি । তাই যুক্তিটি ভ্রান্ত বা অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হয়েছে ।