শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য MCQ প্রশ্ন উত্তর







প্রতি প্রশ্নের মান :–১

১) প্রাচীনকালে প্রাচ্যের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী কাদের
মাধ্যমে ইউরােপে পৌঁছােত ?
ক) চিনাদের
 খ) ভারতীয়দের
গ) আরবদের
ঘ)  ফরাসিদের

উত্তর :- আরবদের

২) ভাস্কো - দা - গামা কোন্ দেশের নাবিক ছিলেন ?
ক) পাের্তুগালের
খ) স্পেনের
গ) ইংল্যান্ডের
ঘ) ফ্রান্সের

উত্তর :- পাের্তুগালের

৩)  ভাস্কো - দা - গামা ভারতের বন্দরে পৌঁছােন
ক) গােয়া
খ) কালিকট
গ) কলিকাতা
ঘ) সুরাট

উত্তর :- কালিকট

৪) স্বাধীন হায়দ্রাবাদ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা হয় —
ক) ১৭২২ খ্রি
খ)  ১৭২৪ খ্রি
গ) ১৭২৬ খ্রি
 ঘ) ১৭২৮ খ্রি

উত্তর :- ১৭২৪ খ্রি

৫)  সাদাত খাঁ যে অঞ্চলের সুবাদার বা নবাব ছিলেন তা
হল —
ক) বাংলার
খ)  হায়দ্রাবাদের
গ) অযোধ্যার
ঘ) মহীশূরের

উত্তর :- অযোধ্যার

৬)  পন্ডিচেরির ফরাসি শাসনকর্তা কে ছিলেন ?
 ক) ক্লাইভ
খ) কাউন্ট লালি
গ)  ডুপ্লে
ঘ) হেস্টিংস
উত্তর :- ডুপ্লে

৭)  ইংরেজ কোম্পানি , যার কাছ থেকে বাংলায়
বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অধিকার পায় , তিনি হলেন —
ক) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ
খ) শাহের আলমের
গ) ফারুখশিয়ারের
ঘ) মহম্মদ শাহের
উত্তর :- ফারুখশিয়ারের

৮)  ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় দস্তক লাভ
করে —
ক) ১৭০৭ খ্রি
খ) ১৭১৭ খ্রি
গ) ১৭২৪ খ্রি
ঘ) ১৭৩৩ খ্রি
উত্তর :- ১৭১৭ খ্রি

৯) সিরাজ - উদদৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন
ক) ঘসেটি বেগম
খ)  আলিবর্দি খাঁ
গ) আমিনা বেগম
ঘ) মীরমদন
উত্তর :- ঘসেটি বেগম

১০)  ইংরেজরা কলকাতায় আশ্রয় দিয়েছিল
ক) রাজবল্লভকে
খ) ঘসেটি বেগমকে
গ) মানিকচঁাদকে
ঘ)  কৃয়দাসকে
উত্তর :- কৃয়দাসকে
১১)  সিরাজ - উদদৌলা তার দূত হিসেবে কাকে কলকাতায়পাঠিয়েছিলেন ?
ক) কৃয়দাসকে
খ) রাজবল্লভকে
 গ) নারায়ণ দাসকে
ঘ) মানিকচাদকে
উত্তর :- নারায়ণ দাসকে

১২)  সিরাজ - উদদৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন
ক) মিরজাফর
খ) মােহনলাল
গ) মিরমদন
ঘ)  মিরকাশিম
উত্তর :- মিরজাফর

১৩)  কার আদেশে সিরাজ - উদদৌলা নিহত হন ?
ক) মিরজাফরের -
খ) মীরণের
গ) মিরকাশিমের
ঘ) জগৎ শেঠের
উত্তর :- মীরণের

১৪)  বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন ?
ক)  সিরাজউদদৌলা
খ)  মিরকাশিম
 গ) আলিবর্দি খাঁ
ঘ) মুর্শিদকুলি খাঁ
উত্তর :- মিরকাশিম

১৫)  কোম্পানির পরিচালক সভা কোথায় অবস্থান করে
ভারতে কোম্পানির কাজকর্মের তদারকি করত ?
ক) মাদ্রাজে
খ)  দিল্লিতে
গ) কলকাতায়
ঘ) ইংল্যান্ডে
উত্তর :- ইংল্যান্ডে
১৬)  পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয় ?
ক) ১৫৫৬ খ্রি
খ) ১৭০৭ খ্রি
গ) ১৭৩৯ খ্রি
ঘ)  ১৭৬১ খ্রি
উত্তর :- ১৭৬১ খ্রি

১৭)  বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর দেখা দেয়
ক) ১৭৭০ খ্রি
খ)  ১৭৭৬ খ্রি
গ) ১৭৮০ খ্রি
ঘ) ১৭৮৬ খ্রি
উত্তর :- ১৭৭০ খ্রি

১৮)  ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দের রেগুলেটিং অ্যাক্টের দ্বারা
পরিচালক সভার সদস্য সংখ্যা হয় ।
ক) ২৪
খ)  ২৮
গ) ১২
ঘ) ১৯
উত্তর :- ১২

১৯)  রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত চালু হয় —
ক) বাংলায়
খ) বিহারে
গ) দক্ষিণ ভারতে
ঘ)  উত্তরপ্রদেশে
উত্তর :- দক্ষিণ ভারতে
২০)  মহলওয়ারি বন্দোবস্ত চালু হয়
ক) বাংলায়
খ) বিহারে
গ) উড়িষ্যায়
ঘ)  উত্তরপ্রদেশে
উত্তর :- উত্তরপ্রদেশে
২১)  ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন —

ক) ওয়ারেন হেস্টিংস
খ)  উইলিয়াম পিট
গ) উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক
ঘ) লর্ড ওয়েলেসলি
উত্তর :- লর্ড ওয়েলেসলি

২২)  ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হয়
ক) ১৭৮৪ খ্রি
খ) ১৭৯৩ খ্রি
গ) ১৮১৩ খ্রি
ঘ) ১৮৩৩ খ্রি
উত্তর :- ১৮১৩ খ্রি

২৩)  গ্যারান্টি প্রথা ’ কোন বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ?
 ক) বস্ত্রশিল্পের প্রসার
 খ) রেলপথের প্রসার
গ) শিক্ষার প্রসার
ঘ)  ভূমি বন্দোবস্ত
উত্তর :- রেলপথের প্রসার

২৪)  প্রথম গ্যারান্টি ব্যবস্থায় কোম্পানিগুলিকে বার্ষিক
কত শতাংশ সুদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ?
ক) ২ শতাংশ
খ) ৫ শতাংশ
গ) ১০ শতাংশ
 ঘ) ১৫ শতাংশ
উত্তর :- ৫ শতাংশ

২৫) দ্বিতীয় গ্যারান্টি ব্যবস্থায় কোম্পানিগুলিকে বার্ষিক
কত শতাংশ সুদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ?
ক) ৩.৫ শতাংশ
খ) ৫ শতাংশ
গ) ১০ শতাংশ
ঘ) ১২ . ৫ শতাংশ
উত্তর :- ৩.৫ শতাংশ
২৬)  ভারতে প্রথম রেলপথ প্রতিষ্ঠিত হয় —

ক) মহারাষ্ট্রে
খ) পাঞ্জাবে
গ) মাদ্রাজে
ঘ) বাংলায়
উত্তর :- মহারাষ্ট্রে

২৭)  কার আমলে ‘ ইন্ডিয়ান পিনাল কোড ’ রচিত হয় ?
ক)  বেন্টিঙ্কের
খ) কর্নওয়ালিশের
 গ) ওয়ারেন হেস্টিংসের
ঘ)  ক্লাইভের
উত্তর :-বেন্টিঙ্কের

২৮)  বেন্টিঙ্ক চা কমিটি গঠন করেন
ক) ১৮২৯ খ্রি
খ) ১৮৩১ খ্রি
গ) ১৮৩৩ খ্রি
ঘ) ১৮৩৪ খ্রি
উত্তর :- ১৮৩৪ খ্রি

২৯)  কবে রানিগঞ্জে প্রথম কয়লাখনি আবিষ্কৃত হয় ?
ক) ১৮১৪ খ্রি
খ) ১৮২২ খ্রি
গ) ১৮৩৩ খ্রি
ঘ) ১৮৫২ খ্রি
উত্তর :-১৮১৪ খ্রি


অতীত স্মরণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর




প্রতি প্রশ্নের মান :–১



১) ইতিহাস হল অতীত ?
ক)কাহিনী
খ) স্মৃতি
গ) চেতনা
ঘ) ভাবনা

উত্তর:- কাহিনী
২) মৌখিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ?
ক) জনশ্রুতি
খ)বক্তৃতা
গ)কথোপকথন
ঘ)শ্রুতি নাটক

উত্তর:- শ্রুতি নাটক


৩) অতি কথা বলতে বোঝায় ?

ক) অতীত ইতিহাসের সূত্র
খ)  ইতিহাস
গ) প্রাচীন সাহিত্য
ঘ) অবাস্তব কাহিনী

উত্তর:- অবাস্তব কাহিনী


৪) ইতিহাস হল বর্তমান ও অতীতের মধ্যে অন্তহীন সংলাপ  উক্তিটির প্রবক্তা ?

ক)জ্যাকব ক্রিম
খ)লোড রেগলান
গ) এ ইচ কার
ঘ) কল ফানসান

উত্তর:-  এ ইচ কার


৫) জন শ্রুতি কে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ?

ক)দুই ভাগ
খ) তিন ভাগে
গ)চার ভাগে
ঘ) পাঁচ ভাগে

উত্তর:- পাঁচ ভাগে


৬) পৌরাণিক কাহিনী বা থিমস উল্লেখযোগ্য একটি বৈশিষ্ট্য হলো।

ক)এগুলি রাজনৈতিক কেন্দ্রিক,
খ)এইগুলি বাস্তবধর্মী,
গ)এগুলো ইতিহাস অঙ্গ,
ঘ) এগুলি ধর্ম কাহিনী ভিত্তিক
উত্তর:- এগুলি ধর্ম কাহিনী ভিত্তিক

৭)  গ্রন্থের রচয়িতা হলেন ?
ক) জে . এফ . বিয়ারলেইন
খ)জেকব গ্রিম
গ)জে.বি . ওয়েবস্টার
ঘ) এ . লং
উত্তর:-  জে . এফ . বিয়ারলেইন


৮) ইতিহাসমালা রচনা করেন ?
ক)জেকব গ্রিম
খ)উইল হেম গ্রিম
গ)উইলিয়াম কেরি
ঘ) ডি কে মাকেঞ্জি
উত্তর:- উইলিয়াম কেরি


৯) মহাকবি কালিদাসের কাহিনী রয়েছে. ?
ক) পুরাণের
খ) রোমান পুরাণে
গ)হিন্দু পুরাণে
ঘ) বাইবেলে
উত্তর:- হিন্দু পুরাণে


১০) প্রাচীন ভারতের অন্যতম এক কিংবদন্তি চরিত্র হলো হলো. ?

ক) সমুদ্র গুপ্ত
খ)অশোক
গ) রামচন্দ্র
ঘ)হর্ষ বর্ধন
উত্তর:- রামচন্দ্র

১১) ঈশ্বরের মতোই সীমাহীন শক্তির অধিকারী হলেন. ?
ক)পরীকথার নায়িকা,
খ) কিংবদন্তির নায়ক,
গ) নীতি কথার মূল চরিত্র,
ঘ) পশু কথার কেন্দ্রীয় চরিত্র,
উত্তর:- কিংবদন্তির নায়ক,


১২) হিন্দু ধর্মে দেবী দুর্গা হলেন একজন. ?
ক) রূপকথার চরিত্র
খ) কিংবদন্তি চরিত্র
গ) পৌরাণিক চরিত্র
ঘ) লোক কথার চরিত্র
উত্তর:- পৌরাণিক চরিত্র


১৩) পুরাণ বিষয়ক বিদ্যাকে বলা হয়. ?
ক) সাইকোলজি
খ) সোসিওলজি
গ) মিথোলজি
ঘ) ফিজিওলজি
উত্তর:- মিথোলজি

১৪) লোক কথার মূল চরিত্র মানুষ ?
ক) রূপকথার
খ) পরি কথার
গ) কিংবদন্তির
ঘ) পুরাণ কাহিনীর
উত্তর:- কিংবদন্তির

১৫) লোক গাথা প্রচারের  মাধ্যমে যে টিনয় ?
ক) গল্প-
খ)কবিতা-
গ)গান
ঘ) যুদ্ধ
উত্তর:- যুদ্ধ
১৬) ইতিহাস ও লোক কাহিনী বিষয়বস্তু হল. ?
ক) মানুষ
খ) সাহিত্য
গ) চিন্তা
ঘ) প্রেম
উত্তর:- মানুষ

১৭) যে লোক কথার শেষে  স্মৃতি নীতি বা উপদেষ্টা থাকে ,তাকে   বলে ?
ক) রূপকথার
খ) পরি
গ) নীতিকথা
ঘ) পশু কথা
উত্তর:- নীতিকথা

১৮) হিস্ট্রি অফ হিন্দুস্তান গ্রন্থটির রচনা করেন ?
ক) জেমস প্রিন্সেপ
খ) আলেকজান্ডার ডাও
গ) ভিনসেন্ট স্মিথ
ঘ) মাকমিলান
উত্তর:- আলেকজান্ডার ডাও

১৯) আরব্য রজনী হলো একটি ?
ক) বীর গাথা
খ) স্মৃতিকথা
গ) লোক কথা
ঘ) নীতি  গল্প
উত্তর:- লোক কথা

২০) রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র এর  রচয়িতা হলেন ?
ক) রামমোহন রায়,
খ)ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার,
ঘ) রামরাম বসু
উত্তর:- রামরাম বসু


২১) দক্ষিণারঞ্জন বসু ছেড়ে আসা গ্রাম হল একটি ?
ক) লোক কথা
খ) কিংবদন্তি
গ) স্মৃতিকথা
ঘ) পৌরাণিক কাহিনী
উত্তর:- স্মৃতিকথা

২২) বিজ্ঞান জাদুঘরের  নিদর্শন   মিউজিয়াম অব সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস অবস্থিত ?

ক) প্যারিসে
খ) শিকাগোতে
গ) সিঙ্গাপুরের
ঘ) লন্ডনে
উত্তর:- শিকাগোতে

২৩) ভূত তাত্ত্বিক জাদুঘরের নিদর্শন শিবপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবস্থিত ভারতের ?

ক) উড়িষ্যায়
খ)  বিহারে
গ) পশ্চিমবঙ্গে
ঘ) গুজরাটি
উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গে

২৪) বিশ্বের সর্ব প্রাচীন মিউজিয়াম হলো ?
ক) ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম
খ)  ব্রিটিশ মিউজিয়াম
গ) প্যারিসের লুভর মিউজিয়াম
ঘ) গ্রন্থাগার
উত্তর:- ব্রিটিশ মিউজিয়াম


২৫) হাজারদুয়ারি জাদুঘর একটি ?
ক) ঐতিহাসিক জাদুঘর ,
খ) শিল্প জাদুঘর,
গ) গ্রন্থাগার দিবস,
ঘ) বিশ্বকোষ জাদুঘর

উত্তর:- ঐতিহাসিক জাদুঘর

জাতীয়তা ও আন্তর্জাতিকতা বাংলা রচনা



ভূমিকা: আধুনিক বিশ্বের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয়তা ও আন্তর্জাতিকতা বিষয় দুটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে বর্তমান বিশ্ব একটি বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হয়েছে। কোনো একটি দেশের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান বহুলাংশে অন্য একটি দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। একটি দেশের সাথে অন্যদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদ কী: জাতীয়তাবাদ (Nationalism) হলো নিজেকে কোনো জাতির অন্তর্ভুক্ত জ্ঞান করা। সেই জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, বিকাশ, অগ্রগতি, ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তির আকাক্সক্ষা ইত্যাদির সাথে একাত্মবোধ করা এবং সংশ্লিষ্ট জাতির ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, স্বকীয়তা রক্ষা ও বিকাশে বিশ্বাসী হওয়া। অপরদিকে আন্তর্জাতিকতাবাদ (Internationalism) হলো এমন একটি ধারণা বা মতবাদ যে ধারণা বিভিন্ন রাষ্ট্র বা জাতিকে একই বা বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করে। জাতীয়তাবাদ যেমনভাবে একটি দেশের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার কথা বলে, তেমনি আন্তর্জাতিকতাবাদ দেশের বাইরে বিশ্বের বিভিন্ন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার কথা বলে।
জাতীয়তাবাদের প্রকাশ: আধুনিক বিশ্বের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সঙ্গে জাতীয়তাবাদ অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। বর্তমান বিশ্বে প্রত্যেক রাষ্ট্রকেই জাতীয় রাষ্ট্র বলা হয়। কোনো দেশের জনগণ যখন নিজস্ব ঐতিহ্য শিক্ষা-সভ্যতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও সাংস্কৃতিক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয় তখনই তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের প্রকাশ ঘটে। জাতীয় চেতনায় বলীয়ান জাতি পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। সকল দেশের জাতীয়তার ধরণ এক নয়। প্রত্যেকটি জাতির মধ্যে জাতীয়তাবোধের একেক দিক বিশেষরূপে প্রকাশ পায়।

জাতীয়তাবাদের উদ্ভব: প্রাচীন যুগে গ্রিক ও হিব্রুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের ধারণা প্রথম দেখা যায়। গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলো বিধ্বস্ত হওয়ার পর রোমানদের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। সমগ্র মধ্যযুগব্যাপী খ্রিস্টধর্মের প্রভাবে যখন দেশ পরিচালিত হয় তখন জাতীয়তাবাদ পুরোপুরি বিলীন হয়। এর পরিবর্তে সম্রাজ্যের ধারণা জন্মলাভ করে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে জাতীয়তাবাদ নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়, যখন ল্যাটিন ভাষার আধিপত্যের বিপরীতে বিভিন্ন দেশে মাতৃভাষার ব্যবহার বাড়তে থাকে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদ ধারণাটি দৃঢ় হয়। ১৭৭২ সালে পোলান্ডের ভাগাভাগির সময়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা জনসাধারণের মধ্যে প্রসার লাভ করে। ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লবের স্লোগানঃ ‘সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা’ জাতীয়তাবাদকে আরো জোরদার করে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষদিক এবং বিংশ শতাব্দী জাতীয়তাবাদের গৌরবোজ্জ্বল যুগ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে ১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই সালে জাতীয় রাষ্ট্রের ওপর ভিত্তি করে ইউরোপের মানচিত্র নতুন করে আঁকা হলে চেক, পোল, স্লাভ জাতিগুলো নতুন রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ পায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দূরপ্রাচ্যে জাতীয়তার ভিত্তিতে অনেকগুলো জাতীয় রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

জাতীয়তাবাদ চেতনার গুরুত্ব: জাতীয় চেতনা কোনো দেশ বা জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাতীয়তাবাদ আন্তর্জাতিকতার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। একটি জাতি তার স্বতন্ত্র সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করেই প্রথমে জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে সে জাতি অগ্রসর হয় আন্তর্জাতিকতার দিকে। জাতীয়তাবাদ আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে একটি সংঘবদ্ধ জনগোষ্ঠীর সার্বভৌম ক্ষমতার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। জাতীয় চেতনার ফলেই ব্যক্তির মধ্যে দেশপ্রেম এবং দেশাত্মবোধ জাগ্রত হয়।
আন্তর্জাতিকতাবাদ চেতনার সৃষ্টি: আন্তর্জাতিকতা বলতে আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে বুঝি। বর্তমান যুগে বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানের প্রসার লাভ করছে। অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত হচ্ছে। কিছু দেশ আবার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে অনেক সমৃদ্ধ। আধুনিক বিশ্ব প্রতিযোগিতার বিশ্ব, এখানে কোনো রাষ্ট্র কোনা দিক থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না। তাই তারা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাধ্য হচ্ছে। এক দেশের মানুষ এখন সহজেই অন্য দেশে গমন করতে পারছে, তথ্য আদান প্রদান করতে পারছে। মানুষ সমগ্র পৃথিবীকে নিজেদের মনে করছে। আর এভাবেই আন্তর্জাতিক চেতনার সৃষ্টি হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক চেতনার গুরুত্ব: বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আন্তর্জাতিক চেতনার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশ ও জাতির প্রতি অবদান রাখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষ এখন নিজ নিজ দেশের সীমানা পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণার জন্য অন্যদেশে পাড়ি জামাচ্ছে। বর্তমান পৃথিবীতে ১৯৪টি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ রয়েছে। তারা নিজেদের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক চেতনায় ভর করে সম্পর্ক স্থাপন করে চলছে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক প্রয়োজনে বা কখনো কখনো ধর্ম, ভাষা, গোত্রগত দৃষ্টিভঙ্গি ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে। বিশ্বের বিভিন্ন জাতিসমূহের মধ্যে বন্ধুত্বের মনোভাব গড়ে তুলতে, বিরাজমান নানা সমস্যা ও সংকট দূরীকরণে, অগ্রগতি ও মঙ্গল নিশ্চিতকরণ, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোতে পারস্পরিক আদান-প্রদান ও সার্বিক সহযোগিতা আন্তর্জাতিক চেতনার উপর নির্ভর করে।
উগ্র-জাতীয়তাবাদের কুফল: জাতীয়তাবাদ যেমন মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে তেমনি উগ্র-জাতীয়তাবাদ অনেক ক্ষেত্রে কোনো দেশের জনগণকে মাত্রাতিরিক্ত অহঙ্কারী করে তোলে। এ জন্য তারা অন্য দেশের প্রতি বৈরী মনোভাব দেখায়, সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর জাতি মনে করে। উগ্র-জাতীয়তাবাদের প্রভাবে তারা অন্য দেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসিদের মধ্যে উগ্র জাতীয়তবাদের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকাতে এ রকম ধারণা প্রচলিত ছিল।
আন্তর্জাতিকতাবাদের ফলে গঠিত সংগঠন:আন্তর্জাতিকতাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ (United Nations) গঠিত হয়। বর্তমানে ১৯৩টি দেশ এই সংগঠনটিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (WTO)। বৃটেন শাসিত দেশ নিয়ে গড়ে উঠেছে কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক সংগঠন। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টে¤¦র গড়ে উঠেছে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC), এ ছাড়া NAM, IMF ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংগঠন সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।আন্তর্জাতিকতার ফলে গড়ে উঠেছে অনেক আঞ্চলিক সংগঠন। ASEAN(এশিয়ান) ভুক্ত দেশ সমূহের মধ্যে সহযোগিতার ফলে ঈর্ষনীয় উন্নতি লাভে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী রাজনৈতিক সহযোগিতার ফলে গড়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (EU), আফ্রিকান ইউনিয়ন , আরব লীগ ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোট হিসেবে G-8 (Group 08), D-8 (Developing-8), G-77, OPEC, APEC ইত্যাদি সংগঠন গঠিত হয়েছে। এছাড়াও সামরিক, আর্থিক, সেবা, মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে ন্যাটো (NATO), IDB, ADB, NAFTA, APTA, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি সংগঠন আন্তর্জাতিকতার ভিত্তিতেই কাজ করে যাচ্ছে।
জাতীয়তা ও আন্তর্জাতিকতায় বাংলাদেশ: ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার পর থেকে বাঙালি জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদির সমন্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে বাংলাদেশের মানুষ দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে। স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যোগদান করেছে। এরপর ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ এই ৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (SAARC)। বর্তমানে আফগানিস্তানসহ ৮টি দেশ নিয়ে এ সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ADB, বিশ্বব্যাংক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

উপসংহার: পারস্পরিক সহযোগিতা ব্যতীত আজকের বিশ্বে উন্নয়ন অসম্ভব। সকল দেশের উচিত নিজ নিজ জাতিগত দম্ভ ভুলে বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা। তবেই দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নতির পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠবে।


সমারাজবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া MCQ প্রশ্ন উত্তর






প্রতি প্রশ্নের মান :–১


১) কোন ইউরােপীয় বণিকরা প্রথম ভারতে আসে ?
ক)  পাের্তুগিজরা
খ)  ইংরেজরা
গ) ফরাসিরা
ঘ) দিনেমাররা
উত্তর :- পাের্তুগিজরা

২) সর্বপ্রথম কোন পত্রিকায় বাঙালি মধ্যবিত্তদের কথাবলা হয় ?
ক) হিন্দু প্যাট্রিয়ট
 খ) সােম প্রকাশ
 গ) ইন্দু প্রকাশ
 ঘ) বঙ্গদূত
উত্তর :- বঙ্গদূত

৩) ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব| ঘটেছিল বলে মনে করেন
ক) ইকতিদার আলম খান
 খ) নরেন্দ্রকৃয় সিংহ
গ) এ বি . বি . মিশ্র
ঘ)  যদুনাথ সরকার
উত্তর :- এ বি . বি . মিশ্র

৪)  ব্রিটিশ সরকার কবে ঘােষণা করে যে , সরকারি
চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জ্ঞানকে অগ্রাধিকার দেওয়া
হবে ?
ক) ১৮২৯ খ্রি
খ) ১৮৩৪ খ্রি
 গ) ১৮৪০ খ্রি
ঘ) ১৮৪৪ খ্রি .
উত্তর :- ১৮৪৪ খ্রি .

৫) এ . আর . দেশাই আধুনিক ভারতের স্রষ্টা ’ বলে ।উল্লেখ করেছেন
ক) বাঙালিদের
খ) মধ্যবিত্তদের
গ) নিম্নবিত্তদের
 ঘ) পাঞ্জাবিদের
উত্তর :- মধ্যবিত্তদের

৬) ভারতে এশিয়াটিক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন

ক) ওয়ারেন হেস্টিংস
 খ ) জোনাথান ডানকান
গ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ) রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর :- উইলিয়াম জোন্স

৭)  প্রথম বাংলা সংবাদপত্র হল —
 ক) সমাচার দর্পণ
খ  ) সােম প্রকাশ
 গ) হিন্দু পেট্রিয়ট
ঘ) বন্দেমাতরম
উত্তর :- সমাচার দর্পণ

৮) জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন - এর বর্তমাননাম হল —
 ক) লেডি ব্রেবাের্ন কলেজ
খ ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
গ) স্কটিশ চার্চ কলেজ
ঘ) প্রেসিডেন্সি কলেজ
উত্তর :- স্কটিশ চার্চ কলেজ

৯) আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠিত হয় —
ক)  ১৮১৩ খ্রি
 খ) ১৮১৫ খ্রি
 গ) ১৮২৮ খ্রি
 ঘ)  ১৮৩৩ খ্রি
উত্তর :- ১৮১৫ খ্রি

১০)  হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী ?
ক) স্কটিশ চার্চ কলেজ
 খ) লরেটো কলেজ
গ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
ঘ) প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
উত্তর :- প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
১২)  চুঁইয়ে পরা নীতির প্রবর্তক হলেন — চুইয়ে পড়া
ক) রামমােহন রায়
 খ) মেকলে
গ) বেন্টিঙ্ক
ঘ) ডেভিড হেয়ার
উত্তর :- মেকলে

১৩) কলকাতা মেডিকেল কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
ক) ১৭৯২ খ্রি .
খ)  ১৮৩৫ খ্রি .
গ)  ১৮৫৭ খ্রি
ঘ) ১৮৪৭ খ্রি
উত্তর :- ১৮৩৫ খ্রি .

১৪)  রাজা রাম মোহন পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি   করে কত খিস্টাব্দে লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লেখেন ?
ক) ১৮১৭
খ) ১৮১৮
 গ)১৮২৩
ঘ) ১৮২৮
উত্তর :- ১৮২৩

১৫) হান্টার কমিশনের সুপারিশগুলি কবে প্রকাশিত হয় ?
ক) ১৮২৩ খ্রি .
খ) ১৮৫৪ খ্রি .
গ) ১৮৭৩ খ্রি .
ঘ) ১৮৮২ খ্রি .
উত্তর :- ১৮৮২ খ্রি .

১৬)  কাদের নিয়ে ব্রিটিশদের সহযােগী শ্রেণি
উঠেছিল ?
 ক) নিম্নবিত্তদের
খ) মধ্যবিত্তদের
গ) মুসলিমদের
ঘ)  হিন্দুদের
উত্তর :- মধ্যবিত্তদের

১৭)  শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের সংস্কার আন্দোলনকে এলিটিস্ট আন্দোলন ’ বলে অভিহিত করেছেন
 ক) বি . বি . মিশ্র
খ)  ড . অনীল শীল
গ) তপন রায়চৌধুরী
ঘ)  সুমিত সরকার ।
উত্তর :- ড . অনীল শীল

১৮)  কে রামমােহন রায়কে ‘ রাজা ’ উপাধি দেন ?
ক) লর্ড মিন্টো ।
 খ) মােগল সম্রাট বাহাদুর শাহ ।
গ) মােগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।
উত্তর :- মােগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর

১৯)  তুফাৎ উল - মুয়াহিদিন - এর প্রণেতা —
 ক) স্যার সৈয়দ আহমদ খান
খ) রাজা রামমােহন রায়
গ) বীরসালিঙ্গম পালু
ঘ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
উত্তর :- রাজা রামমােহন রায়

২০)  কাকে ‘ বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক ’ বলা হয় ?
ক) রামমােহন রায়কে
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে
গ) বঙ্কিমচন্দ্রকে
ঘ) রবীন্দ্রনাথকে
উত্তর :- রামমােহন রায়কে
২১)  ড . বিপানচন্দ্র কাকে ভারতীয় সাংবাদিকতার
অগ্রদূত বলে অভিহিত করেছেন ?
ক)  রামমােহন রায়কে
খ)  অক্ষয়কুমার দত্তকে ।
 গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে
ঘ)  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
উত্তর :- রামমােহন রায়কে

২২)  কে রাজা রামমােহন রায়কে ‘ ভারত পথিক বলে
অভিহিত করেছেন ?
ক)  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর :- রামমােহন রায়কে

২৩)  কে রাজা রামমােহন রায়কে ভারতীয়
জাতীয়তাবাদের জনক ’ বলে অভিহিত করেছেন ?
ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ)  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) জওহরলাল নেহরু
ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু
উত্তর :- জওহরলাল নেহরু

২৪)  কে কেশবচন্দ্রকে ‘ ব্ৰহ্বানন্দ ’ উপাধি দেন ?
 ক) রামমােহন রায়
খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) শিবনাথ শাস্ত্রী
ঘ) রামকুমার বিদ্যারত্ন
উত্তর :- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫)  কেশবচন্দ্র ব্রাহ্রসমাজে যােগ দেন —
ক) ১৮৫৬ খ্রি
খ)১৮৬০ খ্রি
গ) ১৮৬১ খ্রি
ঘ) ১৮৬২ খ্রি
উত্তর :- ১৮৫৬ খ্রি

২৬)  আদি ব্রাহ্বসমাজের নেতা ছিলেন —
 ক) রামমােহন রায়
খ)  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) কেশবচন্দ্র সেন
 ঘ) শিবনাথ শাস্ত্রী
উত্তর :- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭)  ডিরােজিও কোন কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ?
ক) স্কটিশ চার্চ কলেজের
খ) লরেটো কলেজের
গ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের
ঘ) হিন্দু কলেজের
উত্তর :- হিন্দু কলেজের

২৮)  ‘ যত মত তত পথ আদর্শের প্রবর্তক কে ছিলেন ?
ক) শ্রীরাম কৃষ্ণ
 খ) স্বামী বিবেকানন্দ
গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
ঘ) পাণ্ডুরঙ্গ আত্মারাম
উত্তর :- শ্রীরাম কৃষ্ণ

২৯)  মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনের বর্তমান নাম
ক) জেভিয়ার্স কলেজ
খ) বিদ্যাসাগর কলেজ
গ) সেন্ট কলেজ
ঘ) বেথুন কলেজ স্কটিশচার্চ
উত্তর :- বিদ্যাসাগর কলেজ

৩০)  সর্বশুভকরী সভা প্রতিষ্ঠা করেন
ক) ডিরােজিও
খ) রাজা রামমােহন রায়
গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তর :- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৩১)  বিধবাবিবাহ আইন কত খিস্টাব্দে পাস হয় —
ক) ১৮৫৬
খ)  ১৮৫৭
গ) ১৮৫৮
ঘ) ১৮৫৯
উত্তর :- ১৮৫৬

৩২)  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় —
ক) উডের ডেসপ্যাচ
 খ) চার্টার আইন ।
গ) মহারানির ঘােষণাপত্র
 ঘ) পুলিশ আইন ।
উত্তর :- মহারানির ঘােষণাপত্র

৩৩)  ‘ হিন্দু ফ্যামিলি অ্যানুইটি ফান্ড ( ১৮৭২ খ্রি . ) থাপন করেন
ক) ডিরােজিও
খ) রামমােহন রায়
 গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 ঘ) কেশবচন্দ্র সেন
উত্তর :- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৩৪)  ‘ ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন ফর দ্য
সায়েন্স ’ - এর প্রতিষ্ঠা করেন
ক)  রামমােহন রায়
খ) মহেন্দ্রলাল সরকার
গ) ব্ৰহ্ববান্ধব উপাধ্যায়
ঘ)  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 উত্তর :- মহেন্দ্রলাল সরকার

৩৫)  বারাণসীতে কেন্দ্রীয় হিন্দু বিদ্যালয়
ক) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
খ) মাদাম ব্লাভাস্কি
গ)  অ্যানি বেসান্ত
ঘ)  কর্নেল ওলকট অ্যানি ।
উত্তর :- অ্যানি বেসান্ত

৩৬)  সত্যশােধক সমাজ - এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন

ক) দয়ানন্দ সরস্বতী
 খ) কেশবচন্দ্র সেন
 গ) জ্যোতিবা ফুলে
ঘ)  শিবনাথ শাস্ত্রী
উত্তর :- জ্যোতিবা ফুলে

৩৭)  সত্যার্থ প্রকাশ ও বেদভাষা গ্রন্থ দুটি রচনা করেন
 ক) স্বামী বিবেকানন্দ
খ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
ঘ) অ্যানি বেসান্ত
উত্তর :- স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী

৩৮)  “ বৈদিক শাস্ত্রে ফিরে যাও ” ” — এটি কার উক্তি ?
ক) স্বামী বিবেকানন্দ
খ) জ্যোতিবা ফুলে
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
ঘ) দয়ানন্দ সরস্বতী
উত্তর :- দয়ানন্দ সরস্বতী

৩৯)  কার উদ্যোগে ‘ শুদ্ধি আন্দোলন গড়ে ওঠে ?
ক) শ্রীরামকৃয়ের
খ) স্বামী বিবেকানন্দের
গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর
ঘ) কেশবচন্দ্র সেনের
উত্তর :- স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর

৪০)  সর্বজনিক সভার মুখপত্র ছিল —
ক) কেশরী
খ)হরিজন
গ)  মারাঠি
ঘ) চাবুক
উত্তর :- কেশরী
৪১)  “ এক জাতি , এক ধর্ম এবং এক ঈশ্বর ” কার মূলআদর্শ ছিল ?
ক) জ্যোতিবা ফুলের
খ) নারায়ণ গুরু
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডের
ঘ) বীরসালিগমের
উত্তর :- নারায়ণ গুরু

৪২)  কার নেতৃত্বে ভাইকম সত্যাগ্রহ ( ১৯২৪ খ্রি . ) শুরু হয় ?
ক) শ্রীনারায়ণ গুরুর
খ)  মহাদেব গােবিন্দ রাণাডের
গ) আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গের
ঘ) জ্যোতিবা ফুলের
উত্তর :- শ্রীনারায়ণ গুরুর

৪৩)  ভাইকম সত্যাগ্রহের অন্যতম নেতা ছিলেন —

ক) কেলাপ্লান
খ) ড . আম্বেদকর
গ) এ . কে . গােপালন
ঘ)   কেশব মেনন
উত্তর :- কেশব মেনন

৪৪) বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদপত্রটি ছিল —
ক) হরিজন
 খ) চিন্তামণি
গ) কেশরী
ঘ) পার্থেন
উত্তর :- চিন্তামণি

৪৫)  ‘ রাজামুন্দ্রি সমাজসংস্কার সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন —
ক) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
খ) রামকৃয় ভাণ্ডারকর
গ) জ্যোতিবা ফুলে
 ঘ) বীরসালিঙ্গম
উত্তর :- বীরসালিঙ্গম

৪৬)  বিধবাবিবাহ সমিতি ও বিধবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন —
ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) জ্যোতিবা ফুলে
গ) বীরসালিঙ্গম
ঘ) নারায়ণ গুরু
উত্তর :- বীরসালিঙ্গম

৪৭)  ‘ দীনবন্ধু ’ ও ‘ দীনমিত্র ’ নামে দুটি সংবাদপত্র প্রকাশ ।করেন
ক)  আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ
খ)  জ্যোতিবা ফুলে
গ) দয়ানন্দ সরস্বতী
 ঘ) নারায়ণ গুরু
উত্তর :- জ্যোতিবা ফুলে

৪৮)  কোন আন্দোলনে থিয়ােডাের বেক - এর গুরুত্বপূর্ণভূমিকা ছিল ?
 ক) আলিগড় আন্দোলনে
 খ) ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন
গ) ভাইকম আন্দোলনে
ঘ)  বিধবাবিবাহ আন্দোলনে
উত্তর :- আলিগড় আন্দোলনে

৪৯)  আলিগড় কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন —
ক) সৌকত আলি
 খ) থিওডাের বেক
গ) সৈয়দ আহমদ খান
ঘ) মহম্মদ আলি
উত্তর :- থিওডাের বেক

৫০)  কার উদ্যোগে আলিগড়ে ‘ ইউনাইটেড ইন্ডিয়ান প্রতিষ্ঠিত
প্যাট্রিয়টিক অ্যাসােসিয়েশন( ১৮৮৮ খ্রি . ) ।হয় ?
ক) স্যার সৈয়দ আহমদ খানের
 খ) থিওডাের বেক
গ) হােসেন আলির
ঘ) খুদা বক্সা - এর
উত্তর :- স্যার সৈয়দ আহমদ খানের
৫১)  কোন সমাজের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ‘
মাজদায়াসন সভা প্রতিষ্ঠিত হয় ?
ক) শিখ

খ) পারসি
গ) গুজরাটি
ঘ)  মারাঠি
উত্তর :- পারসি
৫২)  পারসি বিবাহ সম্মতি আইন ( ১৮৯১ খ্রি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ।
ক) কেশবচন্দ্র সেন
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগার
গ)  বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারি
 ঘ) এস . এস . বেঙ্গলি
উত্তর :- বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারি

৫৩) নিরাকারি আন্দোলনের সূচনা করেন ?
ক) লালা হংসরাজ
খ) লালা  হরদয়াল
গ) বরবারা সিংহ
 ঘ) বাবা দয়াল সিংহ
উত্তর :- বাবা দয়াল সিংহ


সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

উনবিংশ ও বিংশ শতকে ও সান্রাজ্যবাদের প্রসার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর




প্রতি প্রশ্নের মান :–১


১) Colonia যে শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, তা হল-
ক) ফরাসি
খ) লাতিন
গ) গ্রিক
ঘ) ইংরেজ

উত্তর :- লাতিন

২)  ইম্পেরিয়াম শব্দটি হল একটি—
ক) ফরাসি শব্দ
খ) লাতিন শব্দ
গ) গ্রিক শব্দ
ঘ) ইংরেজি শব্দ

উত্তর:- লাতিন শব্দ

৩) ‘নতুন বিশ্ব’ বা ‘New World’ শব্দটি প্রথম উল্লেখ করেন- ?
ক) কলম্বাস
খ) কেব্রাল
গ) লরেঞ্জো দ্য মেডিচি
ঘ) আমেরিগাে ভেসপুচি

উত্তর :- আমেরিগাে ভেসপুচি

৪)  কলম্বাস ‘রেড ইন্ডিয়ান বলেছিলেন- ?
ক) দক্ষিণ ভারতের মানুষদের
খ) দক্ষিণ আমেরিকার মানুষদের
গ) মেক্সিকোর মানুষদের
ঘ) উত্তর আমেরিকার মানুষদের

উত্তর :- দক্ষিণ আমেরিকার মানুষদের

৫)  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববাসীর নিরাপত্তারক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়—
ক) জাতিসংঘ
খ)  ইউরােপীয় ইউনিয়ন
গ) জাতিপুঞ্জ
ঘ) কমিকন

উত্তর :- জাতিপুঞ্জ

৬) নির্জোট আন্দোলনের সূচনাকারী সম্মেলনটি ছিল—
ক) হাভানা
খ) কলম্বাে
গ) নিউ দিল্লি
ঘ) বান্দুং

উত্তর :- বান্দুং

৭) ইস্ট ইন্ডিজ হল আসলে—
ক) মালয়েশিয়া
খ)  ইন্দোনেশিয়া
গ) ইউরেশিয়া
ঘ) ক্রোয়েশিয়া

উত্তর :- ইউরেশিয়া

৮)  আফ্রিকার পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলের মধ্যে যোগসহ গড়ে তােলার প্রচেষ্টা চালায়
ক) পাের্তুগিজরা
খ) ফরাসিরা
গ) ইংরেজরা
ঘ)  ওলন্দাজরা

উত্তর :- ওলন্দাজরা

৯) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়ে প্রথম উপনিবেশ গতে তুলেছিল-
ক) ফরাসিরা
খ) ইংরেজরা
গ) পাের্তুগিজরা
 ঘ) র্জওলন্দাজর

উত্তর :- পাের্তুগিজরা

১০)  আফিম যুদ্ধের পরে চিনে প্রবেশ করে ?
ক) ফরাসিরা
খ) ব্রিটিশরা
গ) রুশরা
ঘ) মার্কিনিরা

উত্তর :- মার্কিনিরা

১১)  অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ নামে পরিচিত
ক) আফ্রিকা
খ) এশিয়া
গ) আমেরিকা
ঘ) ইউরােপ

উত্তর :- আফ্রিকা

১২)  কমােডাের পেরির জাপানে আগমন ঘটে—
ক) ১৮৫৪ খ্রি
খ) ১৪৯২ খ্রি
গ) ১৭৮৩ খ্রি
ঘ) ১৮৯৯ খ্রি

উত্তর :- ১৮৫৪ খ্রি

১৩)  জাপান একুশ দফা দাবি পেশ করেছিল—
ক) ভারতে
খ) চিনে
গ) আমেরিকায়
ঘ) সােভিয়েত ইউনিয়নে

উত্তর :- চিনে

১৪)  ‘নিউ নেদারল্যান্ড আলবানি’তে উপনিবেশ ছিল—
ক) ইংরেজদের
খ) ফরাসিদের
গ) ডাচদের
ঘ)  পর্তুগিজদের

উত্তর :- ফরাসিদের

১৫)  কানাডায় উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল
ক) ফ্রান্স
খ) স্পেন
গ) র্ডেনমার্ক
ঘ) ইংল্যান্ড

উত্তর :- র্ডেনমার্ক

১৬)  ব্রাজিলে ঔপনিবেশিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল—
ক) পাের্তুগাল
খ) ফ্রান্স
গ) ইংল্যান্ড
ঘ) স্পেন

উত্তর :- পাের্তুগাল

১৭) যে ইংরেজের নেতৃত্বে ব্রিটিশরা নিউজিল্যান্ডে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন, তিনি হলেন-
ক) র্মাকেয়ার
খ) ক্যাপটেন কুক
গ) ওয়েকফিল্ড
ঘ) ম্যাক আর্থার

উত্তর :- র্মাকেয়ার

১৮)  ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকায় ইংরেজদের স্বাধীন উপনিবেশগুলির সংখ্যা
ক) ১২
খ) ১৩
গ) ১৪
ঘ) ১৫

উত্তর :- ১৩

১৯) এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে খিস্টান
 মিশনারিগণ সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন-

ক) বাণিজ্যিক লেনদেনের দ্বারা
খ) খীষ্টধর্ম প্রচারের দ্বার
গ) পুঁজিবাদী আদর্শ প্রচারের দ্বারা
ঘ) সাম্যবাদী আদর্শ প্রচারের দ্বারা

উত্তর :- খীষ্টধর্ম প্রচারের দ্বার

২০)  ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে নাগাদ নিখিলসভা গঠন করেন-
ক) গান্ধিজি
খ) গোপালকৃয় গোখলে
গ) ড. বি. আর. আস্বেদকর
ঘ) তিলক

উত্তর :- তিলক

২১) . ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়_
ক) ১৬০০ খ্রি
খ) ১৬০২ খ্রি.
গ) ১৬০৪ খ্রি.
ঘ) ১৬৫৭  খ্রি.

উত্তর :- ১৬০২ খ্রি.

২২) উপনিবেশ শব্দটি এসেছে ইতরেজি- ,
ক)  Colany শব্দ থেকে
খ) Coloni শব্দ থেকে
গ) Colony শব্দ থেকে
ঘ) Coleni শব্দ থেকে

উত্তর :- Coloni শব্দ থেকে

২৩) , মার্কেন্টাইলবাদ অনুসারে গৃহীত,লীতি হুল_
আমদানি কমানো
ক) রপ্তানি কমানো
খ) আমদানি বৃদ্ধি
গ) খাদ্যশস্য রপ্তানি
ঘ) আমদানি কমাান

উত্তর :- আমদানি কমানো

২৪)  সোনা ও রুপো সংগ্রহকে খুরুঃ দেওয়া হত
 বাণিজ্য নীতিতে
ক) মার্কেন্টাইলবাদে
খ)  অবাধ বাণিজ্য নীত
গ) মার্কেন্টাইলবাদে
ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর :- মার্কেন্টাইলবাদে

২৫), বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়_
ক) বণিক শ্রেণির হাত ধরে
খ) শ্রমিক শ্রেণির হাত ধরে
গ) বুদ্ধিজীবী শ্রেণির হাত ধরে
ঘ) অভিজাত শ্রেণির হাত ধরে

উত্তর :-বুদ্ধিজীবী শ্রেণির হাত ধরে


রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯

ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ MCQ প্রশ্ন উত্তর





প্রতি প্রশ্নের মান :–১



১)বিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ।
আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের যে কলেজটিতে তার বিখ্যাত ফালটন বক্তৃতা দেন , সেই কলেজটির নাম হল ?


ক) ট্রিনিটি কলেজ

খ) ওয়েস্টমিনস্টার

 গ) হার্ভার্ড

ঘ) ওয়েলিংটন

উত্তর:- ওয়েস্টমিনস্টার


২) মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ এফ . কেন্নান , মি . এক্স ছদ্মনামে  আমেরিকার যে পত্রিকায় তাঁর “ বেষ্টনী তত্ত্ব প্রকাশ সেই পত্রিকার নাম হল ?

ক) দি ফরেন অ্যাফেয়ার্স

খ) দি ডন

 গ) দি সানডে এক্সপ্রেস

ঘ)  কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

উত্তর:-  দি ফরেন অ্যাফেয়ার্স

৩) ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় — ?

 ক)১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে ।

খ)  ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

গ) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

ঘ) ১৯৫৫  খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

উত্তর:- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

৪) দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় সাম্যবাদের প্রসার রােধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি কার্যকর করে তা হল ?

ক)ট্রম্যান নীতি

খ) কেন্নানের বেষ্টনী নীতি

গ) শক্তিসাম্য নীতি

 ঘ) জোটনিরপেক্ষ নীতি

উত্তর:- শক্তিসাম্য নীতি

৫)  পটসডাম সম্মেলনে যে সংকটের বীজ বােনা হয়  তা হল ?

ক) সুয়েজ সংকট

খ) ভিয়েতনাম সংকট

 গ)বার্লিন সংকট

ঘ)কঙ্গাে সংকট

উত্তর:- বার্লিন সংকট

৬)  বার্লিন অবরােধ শুরু হয় ?

ক) ২৪ জুন , ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে

 খ)২৪ জুন , ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে

গ) ২৪ জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

ঘ) ২৪ জুন , ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর:-  ২৪ জুন , ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে

৭) বার্লিন অবরােধ প্রত্যাহৃত হয় —?

ক)১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

খ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

গ) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

ঘ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

উত্তর:- ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

৮) যে দেশটি পূর্ব বা পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশের সড়ক পথ অবরােধ করে সেটি হল —?

 ক) সােভিয়েত রাশিয়া

 খ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ)  ফ্রান্স

ঘ)  পারস্য

উত্তর- সােভিয়েত রাশিয়া

৯) বার্লিন প্রাচীর গড়া হয়েছিল ?

 ক) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

খ) ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

গ) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

ঘ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

উত্তর:- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

১০) বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয় — ?

ক) ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

খ) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

গ) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

ঘ) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

উত্তর :- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

১১) দুই জার্মানি পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয় — ?

ক) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর ।

খ) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর ।

গ) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

ঘ) ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

উত্তর:- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

১২) NATO গঠিত হয় — ?

ক) ১৯৪৭ খ্রি .

খ) ১৯৪৮ খ্রি

গ) ১৯৪৯ খ্রি .

ঘ) ১৯৫০ খ্রি .

উত্তর:- ১৯৪৯ খ্রি

১৩)  বিশ্বে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র ছিল —

ক) ২৪টি দেশ

খ)  ২৬টি দেশ

গ) ২৮টি দেশ

ঘ)  ৩০টি দেশ
উত্তর:- ২৮টি দেশ

১৪)  ন্যাটো জোটের সদস্য ছিল না এমন একটি দেশ হল —?

ক) ব্রিটেন

খ) ফ্রান্স

গ) ইতালি

ঘ)  কিউবা


উত্তর:- কিউবা

১৫) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরিতে

ক্ষমতায় আসে ?

ক) সমাজতন্ত্রী দল ও কমিউনিষ্ট দলের মিলিত জোট

খ) স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং সমাজতন্ত্রী দলের মিলিত জোট

গ) স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং কমিউনিষ্ট দলের মিলিত জোট

ঘ) গণতন্ত্রী দল এবং ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেস জোট

উত্তর :- স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং সমাজতন্ত্রী দলের মিলিত জোট

১৬)  মিশরের সুয়েজ খালকে কেন্দ্র করে সুয়েজ সংকট তৈরি হয় —

ক) মিশরের শাসক কামাল আতাতুর্কের আমলে

খ) মিশরের রাজা মিনেসের আমলে

গ)  মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দুল গামাল নাসেরের আমলে

ঘ) আনােয়ার সাদাতের আমলে

উত্তর:- মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দুল গামাল নাসেরের আমলে

১৭)  সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানিতে ?

ক)  ব্রিটেনের শেয়ার ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ ।

খ) ফ্রান্সের শেয়ার ছিল শতকরা ১৫ ভাগ ।

গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার ছিল শতকরা ২৫

ঘ) জার্মানির শেয়ার ছিল শতকরা ১৬ ভাগ ।

উত্তর:- ব্রিটেনের শেয়ার ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ ।

১৮) নাসেরের সুয়েজ খাল জাতীয়করণের ক্ষেত্রেইজরায়েলের প্রতিক্রিয়া ছিল —?

 ক) মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরের বিরােধিতা

 খ)মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরকে সমর্থন

গ)  মধ্যপ্রাচ্যে নাসেরের প্রাধান্য খর্বের দ্বারা ব্রিটেন ওফ্রান্সের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সাহায্য

 ঘ) সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানিতে ইজরায়েলের প্রাপ্তির দাবি উত্থাপন

উত্তর:- মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরের বিরােধিতা

১৯) কোন সরকারের পতন ঘটিয়ে কিউবায় কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসেন ?

ক) বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে

খ) চে গুয়েভারা সরকারের পতন ঘটিয়ে

গ)মহম্মদ তারাকি সরকারের পতন ঘটিয়ে

ঘ)আয়াতুল্লা খােমেইনির সরকারের পতন ঘটিয়ে

উত্তর:- বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে


২০)  বিদেশের মাটিতে সােভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রথমনির্মিত হয় —

ক) ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে কিউবায় ।

খ) আরব সাগরের বুকে কিউবায় ।

গ) ভূমধ্যসাগরের বুকে কিউবায় ।

ঘ) বঙ্গোপসাগরের বুকে কিউবায়

উত্তর:- আরব সাগরের বুকে কিউবায় ।


২১) ন - দিন - দিয়েম ( Ngo - Dinh - Diem ) সরকারের পতনের
পর দক্ষিণ ভিয়েতনামের ভাগ্যনিয়ন্তা হয়ে ওঠে ?

ক)উত্তর ভিয়েতনামের সােভিয়েত অনুগ্রহপুষ্ট রাষ্ট্রপতি ।

খ) দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন অনুগ্রহপষ্ট রাষ্ট্রপতি ।

গ) রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গঠিত ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ।


ঘ)সােভিয়েত মদতে গঠিত জনগণতান্ত্রিক কতনামে সরকার ।


উত্তর:- দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন অনুগ্রহপষ্ট রাষ্ট্রপতি ।


২২)  মার্শাল টিটো ছিলেন ?

ক) চেকোশ্লোভাকিয়ার

খ) পােল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ।

গ)বালগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ঘ) যুগােশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী

উত্তর :- যুগােশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী

২৩)  পেন্টাগন কোন দেশের সমর দপ্তর ?

ক) রাশিয়া

খ)  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ)  ইংল্যান্ড

ঘ) ফ্রান্স

উত্তর:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

২৪)  প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্য গঠিত হয় —

ক) ন্যাটো

খ) আনরা

গ) মিডাে

 ঘ) অ্যানজাস

উত্তর:-  অ্যানজাস


২৫)  USSR ’ বলতে বােঝায় — ?

ক) United States of Soviet Republic

খ)  Union of Soviet Socialist Republic

গ) United States of Soviet Russia

ঘ) United States of Siberian Republic


উত্তর:- Union of Soviet Socialist Republic

২৬) সােভিয়েত রাশিয়া পশ্চিমি জোটের কাছে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খােলার অনুরােধ রাখলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ?

ক) উইনস্টন চার্চিল দুমুখাে নীতি নেন ।

খ) ট্রুম্যান দুমুখাে নীতি নেন ।

গ) আইজেনহাওয়ার দুমুখাে নীতি নেন ।

ঘ)  মার্শাল দুমুখাে নীতি নেন

উত্তর:- উইনস্টন চার্চিল দুমুখাে নীতি নেন ।

২৭)  পােল সীমান্ত নিয়ে সােভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গেপশ্চিমি দেশগুলির মতপার্থক্য দেখা দেয় —?

ক) পটল্ডাম সম্মেলনে

খ) ইয়াল্টা সম্মেলনে

গ) বান্দুং সম্মেলনে

ঘ)  প্যারিস সম্মেলনে

উত্তর:- ইয়াল্টা সম্মেলনে

২৮) ইরানের পার্লামেন্টের নাম হল

ক) মজলিস

খ) ক্রেমলিন

গ) রাইখস্ট্যাগ

ঘ) হােয়াইট হাউস
উত্তর :- মজলিস

২৯)  ইয়াল্টা সম্মেলন আয়ােজিত হয় — ?

 ক) ক্রিমিয়ায়

 খ) রাশিয়ায়

গ)  তুরস্কে

ঘ) পারস্য

উত্তর:- ক্রিমিয়ায়

৩০)  ঠান্ডা লড়াইয়ের সূচনা হয়েছিল — ?

ক) ইউরােপ মহাদেশে

খ)  এশিয়া মহাদেশে ।

গ) আফ্রিকা মহাদেশে ।

ঘ) উত্তর আমেরিকা মহাদেশে

উত্তর:- ইউরােপ মহাদেশে

৩১)  ঠান্ডা লড়াই - এর ক্ষেত্রে দু - পক্ষের প্রধান শক্তিগুলি ছিল ?

 ক) ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন

খ) সােভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ) ব্রিটেন ও জার্মানি

ঘ)  জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর:- সােভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

পরিবেশ দূষণ বাংলা রচনা





ভূমিকা: লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে যে প্রাণ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন প্রকৃতি ও পরিবেশে সাম্য ছিল। এ ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশের। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের পথ ধরেই মানুষ একটু একটু করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতার বিবর্তন ফসল। মানুষ তার নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে সংগ্রহ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতি। অধিগত করেছে জীবন-বিকাশের নানা উপকরণ। তাই দিয়ে সে তার নিজের প্রয়োজন ও রুচি অনুযায়ী তৈরি করেছে তার পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যেই তার বিকাশ, তার বিনাশের ইঙ্গিত।

পরিবেশ দূষণের কারণ: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ জল, মাটি, বায়ুর ওপর পড়েছে প্রচণ্ড চাপ। শুরু হয়েছে বন সম্পদ বিনষ্টের অমিত উল্লাস। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্ভিদ জগৎ ও প্রাণী জগৎ। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য এসে পৌঁছেছে এক সংকটজনক অবস্থায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান হারে শক্তি উৎপাদনের চাহিদা। শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নির্গত হয় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-দূষক নানা রাসায়নিক দ্রব্য। দূষিত রাসায়নিক দ্রব্যই নানা দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত প্রসারণের কারণ। এতে বায়ু-জল-খাদ্যদ্রব্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

বায়ু দূষণ ও নানা প্রতিক্রিয়া: দূষণের প্রকৃতি ও পদ্ধতির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্নতা। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম উপকরণ হলো বায়ু। সেই বায়ু দূষণ আজ বিশ্বজুড়ে। সবার স্বাস্থ্যের পক্ষেও এ এক গুরুতর সমস্যা। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ত বাড়ছে। ফলে আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অকাল-বর্ষণ, ঝড়জল, কুয়াশা এরই ফল। এ রকম আবহাওয়ায় চাষবাস হয় অনিশ্চিত। কুয়াশা আর তেল, কয়লা দহনের ফলে নির্গত গ্যাসের মিশ্রণে ধোঁয়াশার সৃষ্টি। তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা মারাত্মক। মাথাধরা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, ফুসফুস-ক্যানসার এ জাতীয় দূষণের ফল। বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে তৈরি করে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা। অক্সাইড ও
পানি দূষণ: পানি দূষণ আধুনিক সভ্যতার আরেক অভিশাপ। পৃথিবীর সমুদ্র, নদ-নদী, পুকুর, খালবিল ইত্যাদির পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ জনপদ, শহর। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক চটকল, কাপড়কল, কয়লা ধোলাইকল, চিনিকল, কাগজের কল, ভেষজ তেল তৈরির কারখানা, চামড়া পাকা করার কারখানা ইত্যাদি। এসব কলকারখানার আবর্জনা প্রতিনিয়ত নদ-নদীর পানি দূষিত করছে। প্রতি দিন বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে ক্ষার, অ্যামোনিয়া, সায়ানাইড, ন্যাপথালিন, ফিনল ও বিবিধ রাসায়নিক জল দূষক উপাদান এসে মিশছে। দূষণের কবলে বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর পানি। পুকুর, খাল-বিল দূষণের জন্য নালা-নর্দমা, ঘরবাড়ির আবর্জনা ইত্যাদি দায়ী। এর থেকেই দূষিত হয় মাটি, দূষিত হয় পানীয় জল। সমুদ্র নদী খালবিল পুকুরের মাছেও নানারূপ দূষণ ঘটছে। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকমের সংক্রামক রোগ। মাঝেমধ্যে তা মহামারির আকার ধারণ করে। মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কত জীবন। এমনি করেই দিনের পর দিন জনস্বাস্থ্য বিনষ্ট হচ্ছে।

শব্দ দূষণ: শব্দ দূষণ এ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ, জলজ্যান্ত সমস্যা। দিন দিন এ সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বাধিক। প্রতিনিয়তই এখানে মোটরগাড়ির হর্ন, কলকারখানার বিকট আওয়াজ, বাজি পটকার শব্দ, রেডিও, টেলিভিশনের শব্দ, লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি, উৎসবের মত্ততা, মাইকে চড়া সুর, সব মিলেমিশে এক অপস্বর সৃষ্টির মহাযজ্ঞ চলছে। শব্দ দূষণের পরিণাম ভয়াবহ।শব্দ দূষণের উৎস অনেক এবং অনেক ধরনের। যথাযথ কারণ ছাড়া যত্রতত্র মাইক বা ক্যাসেট প্লেয়ার বাজানো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো এবং হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো আইনগতভাবে বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় যাতে কলকারখানা গড়ে উঠতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।বন ও পরিবেশ আইন ১৯৯৭ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শব্দ দূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি।ঢাকা এখন শব্দ দূষণের নগর। ২০০৩ সালে দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা ঢাকা শহর থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর বায়ু দূষণের পাশাপাশি শব্দ দূষণের মাত্রাও অপেক্ষাকৃত কমে যায়, ফলে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শব্দ দূষণের ফলে যে অসুখ হয়, তার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে মানুষ তৎক্ষণাৎ এর কুফল বুঝতে পারে না। তাই এদিকে মানুষের নজরও থাকে কম। এ কারণে ঢাকার আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, কারখানার উচ্চশব্দ, মাইক ও সিডি প্লেয়ারের উদ্দাম আওয়াজ থেকে।

শব্দ দূষণের ভয়াবহতা: শব্দ দূষণ যে শুধু বিরক্তি সৃষ্টি করে তাই নয়, মানবদেহের আর্টারিগুলো বন্ধ করে দেয়, এড্রনালিনের চলাচল বৃদ্ধি করে এবং হূৎপিণ্ডকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ধারাবাহিক উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শব্দ দূষণ স্নায়বিক বৈকল্যের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধারাবাহিক শব্দ দূষণ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে এবং স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। তাঁদের মতে, রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের হার্ট, কিডনি ও ব্রেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। শব্দ দূষণে শিশুদের মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। তারা শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে, হারাচ্ছে তাদের একনিষ্ঠতা। এর প্রভাব তাদের লেখাপড়ার ওপর পড়ছে। সব ধরনের শব্দ দূষণের ফলেই মানুষের ঘুম, শ্রবণশক্তি, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেকোনো ধরনের শব্দ দূষণই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি করে দারুণভাবে। শব্দ দূষণে মানুষের স্থায়ী মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।

তেজস্ক্রিয় দূষণ: পারমাণবিক যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি নিহিত। ১৯৬৩ তে একটি মার্কিন নিউক্লিয় সাবমেরিন আটলান্টিক সাগরে হারিয়ে যায়। তা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিউক্লিয় জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

দূষণের প্রতিকার: দূষণের ভয়াবহ পরিণামের কথা ভেবে বিশ্বের সভ্য মানুষ আজ আতঙ্কিত। কী উপায়ে এ ভয়ংকর সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব তা নিয়ে ভাবনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। বায়ু দূষণের প্রতিকারের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে কলকারখানার দহন-প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত দূষকের পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা। তা ছাড়া গ্রহণ করা হয়েছে বৃক্ষ রোপণ পরিকল্পনা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র বনায়নের মাধ্যমেই প্রায় সব ধরনের পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দূষিত পানিকে পানযোগ্য করে তুলতে হলে উপযুক্ত পরিস্রবণ দরকার। শব্দ দূষণের কুপ্রভাব কমানোর প্রধান উপায় হলো, শব্দবিরোধী কক্ষের ব্যবহার। প্রযুক্তিবিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এমন কতকগুলো পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে পরমাণু চুল্লির আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নিউক্লিয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশে কোনো তেজস্ক্রিয় থাকবে না।

উপসংহার: পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সব দেশই চিন্তিত। সভ্যতার অস্তিত্বই আজ এক সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। তাই ১৯৭২ সালে ‘মানুষের পরিবেশ’ নিয়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অধিবেশন হয়ে গেল স্টকহোমে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখানেও প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। আজ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।