সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

ব্যতিরেকী পদ্ধতি উত্তর




১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি উত্তর 
ভূমিকা :– মিল ব্যতিরেকী পদ্ধতিকে নিম্নরূপ ব্যাখা করেছেন । " যদি আলোচ্য ঘটনাটি একটি মাত্র দৃষ্টান্তের উপস্থিত থাকে ও অপর একটি দৃষ্টান্তের অনুউপস্থিত থাকে এবং এই রূপ দুটি দৃষ্টান্তের যদি একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়েই সম্পূর্ণ সাদৃশ্য থাকে ; আর যে ঘটনাটিতে সাদৃশ্য নেই সেটি যদি শুধুমাত্র প্রথম দৃষ্টান্তেই উপস্থিত থাকে ; তাহলে যে ঘটনাটির জন্য দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে পার্থক্য ঘটেছে সেটিই হবে উপস্থিত আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারন বা কারনের অনিবার্য অংশ " ।

[   ] এই পদ্ধতিটি পূর্বের আলোচিত দ্বিতীয় সূত্র টির উপর প্রতিষ্ঠিত । অপসারনের এই সূত্র টি হলো : যদি A ঘটা সত্বেও X  না ঘটে , তবে  A  কে  X – এর কারন বলা যাবে না এবং X – কে A – এর কার্য বলে গ্রহণ করা যাবে না ।

[   ] ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ করার জন্যে মাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন , একটি সদর্থক এবং অপরটি নর্থক ।

[   ] এই রূপ দুটি দৃষ্টান্তের পরীক্ষণের সাহায্য সংগ্রহ করা হয় । প্রথম দৃষ্টান্তে অগ্রবর্তী ঘটনা হিসেবে একটি বিশেষ ঘটনা উপস্থিত এবং অনুবর্তী ঘটনা হিসেবে আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত । দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে বিশেষ ঘটনাটি অনুউপস্থিত , আলোচ্য ঘটনাটিও অনুউপস্থিত । প্রথম দৃষ্টান্তের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনার সব গুলিই অ পরিবর্তী ভাবে দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে উপস্থিত আছে । অন্যান্য দিক থেকে দৃষ্টান্ত দুটি এক রকম এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য,  সেই ঘটনাটি হল আলোচ্য ঘটনার কারন । দুটি দৃষ্টান্তের  ব্যতিরেকী বা পার্থক্যর উপর এই পদ্ধতির ভিত্তি ; সেই কারনে এই পদ্ধতিটিকে ব্যতিরেকী পদ্ধতি বলা হয় ।

• সাংকেতিক উদাহরণ :–

                 

  অগ্রবর্তী ঘটনা                 অনুবর্তী ঘটনা

         ABC                                   abc                                                                                                   
          BC.                                     bc
                                                                                               
সুতরাং A  হলো  a এর কারন ।
উল্লেখিত  দৃষ্টান্ত টি পরীক্ষা করলে যাবে যে , আলোচ্য ঘটনা " a " প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত , বিশেষ ঘটনা হিসেবে " A " প্রথম দৃষ্টান্তে উপস্থিত ।



[  ] দ্বিতীয় দৃষ্টান্তের আলোচ্য ঘটনা "a " অনু উপস্থিত , বিশেষ ঘটনা হিসেবে "A " ও অনু উপস্থিত দুটি দৃষ্টান্তের মধ্যে যেটুকু  পার্থক্য তাহলো " A " এবং " a "  কে নিয়ে । উভয়ই এক সঙ্গে উপস্থিত এবং অনু উপস্থিত । অন্যান্য আনুষঙ্গিক ঘটনা উভয় দৃষ্টান্তের এক । অনুমান করা হলো  "A " হলো " a " এর কারন ।  BC অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা , কারন দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে পূর্ববর্তী ঘটনা রূপে  BC থাকলেও অনুবর্তী রূপে "a " নেই ।





বাস্তব উদাহরণ :– ১) মস্তিষ্কের কোনো অংশে অস্ত্রোপচার করা হয়নি , শরীরের কোনো বিশেষ অংশ অবশ হয়ে পড়েনি । মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে অস্ত্রোপচার করা হলো , শরীরের একটা বিশেষ অংশ অবশ হয়ে পড়ল । সুতরাং , মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশে অস্ত্রোপচার শরীরের আংশিক অবশতার কারন ।
২) অক্সিজেনপূর্ণ একটি পাত্রে একটি বাতি জ্বালানো । বাতিটি জ্বলতে লাগল । পাত্রটি অক্সিজেন শূন্য করে বাতিটি জ্বালানো হলো ; কিন্তু বাতি। নিভে গেল । সুতরাং অক্সিজেনের উপস্থিতি বাতি জ্বলার কারন ।




এই পদ্ধতির সুবিধা :– ১) ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রমাণের পদ্ধতি হওয়াতে সুনিশ্চিত ভাবে কার্য কারন সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারে ।

২) শুধুমাত্র দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় বলে , এই পদ্ধতি খুবই সরল ।

এই পদ্ধতির অসুবিধা :– ১) এই পদ্ধতি সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগ না করলে " কাকতালীয় " দোষ ঘটতে পারে ।

২) এই পদ্ধতির সাহায্য কারন থেকে শর্ত কে পৃথক করা সম্ভব নয় । এই পদ্ধতির সাহায্য প্রমাণ করা হলো যে , অগ্রবর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারন ।



বিবর্তন কাকে বলে বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো উদহারন সহ ?



১) বিবর্তন কাকে বলে বিবর্তনের নিয়ম গুলি লেখো উদহারন সহ ?

উত্তর :– যে অমাধ্যম অনুমানে যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্যটি সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যে রূপে সৃহত হয় এবং যুক্তি বাক্যের বি বিধেয়টি সিদ্ধান্তের বিধেয়ের বিরুদ্ধ হিসাবে গৃহিত হয় এই ভাবে যুক্তি বাক্যে এবং সিদ্ধান্তের অর্থ এক রাখা হয় এই অনুমান প্রক্রিয়াকে বলা হয় বিবর্তন ।

বিবর্তনের নিয়মাবলী :– ক) যুক্তি বাক্যের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হবে , অথাৎ যুক্তি বাক্যে এবং সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য এক হবে ।

খ) যুক্তি বাক্যের বিধেয় সিদ্ধান্তের বিধেয়ের বিরুদ্ধ পদ হবে ।
গ) যুক্তি বাক্য এবং সিদ্ধান্তের গুণের পরিবর্তন হবে অথাৎ যুক্তি বাক্য যদি সদর্থক হয় সিদ্ধান্ত নর্থক হবে , আর যুক্তি বাক্য যদি নর্থক হয় তাহলে সিদ্ধান্ত সদর্থক হবে ।

ঘ) যুক্তি বাক্য এবং সিদ্ধান্তের পরিমাণ এক হবে যুক্তি বাক্য সামান্য বচন হলে সিদ্ধান্ত সামান্য বচন হবে  আর যুক্তি বাক্য বিশেষ বচন হলে সিদ্ধান্ত বিশেষ বচন হবে ।


              " A " বচনের বিবর্তন

" A " সকল সদস্য হয় সভায় উপস্থিতকারি,বিবর্তনীয়

:· " E "  কোনো সদস্য নয় সভায় অপস্থিত  , বিবর্তিত

                 " E " বচনের বিবর্তন

" E " কোনো ব্যাক্তি নয় কাজটি করতে সক্ষম ,বিবর্তনীয়

:· " A "  সকল ব্যাক্তি হয় কাজটি করতে অ – সক্ষম ,( বিবর্তিত )


              " I " বচনের বিবর্তন

" I "  কোনো কোনো ছাত্র হয় বুদ্ধিমান , ( বিবর্তনীয় )

:· " O "  কোনো কোনো ছাত্র নয় অ – বুদ্ধিমান  ,( বিবর্তিত )


              " O "  বচনের বিবর্তন :–

" O "  কোনো কোনো লোক নয় ধনী , ( বিবর্তনীয় )

:· কোনো কোনো লোক হয় অ – ধনী ,( বিবর্তিত )

1)" A " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " E "  বচন পাই .

2)  " E " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " A " বচন পাই .

3) " I " বচনকে বিবর্তন করে আমরা " O " বচন পাই .

4) " O "  বচনকে বিবর্তন করে আমরা " I " বচন পাই .

আবর্তন কাকে বলে ? আবর্তনের নিয়ম গুলি উদাহরনসহ আলোচনা করো ?



১) আবর্তন  কাকে বলে  ? আবর্তনের   নিয়ম গুলি উদাহরনসহ আলোচনা করো ?

উত্তর :– যে অমাধ্যম অনুমানে একটি বচনের উদ্দেশ্যে ও বিধেয় কে ন্যায় সংগত ভাবে যথাক্রমে অন্য একটি বচনের বিধেয় ও উদ্দেশ্য পরিণত করা হয় , তাকে আবর্তন বলে ।
আবর্তনের ক্ষেত্রে হেতুবাক্য ( আশ্রয় বাক্য ) টিকে বলা হয় আবর্তনীয় এবং সিদ্ধান্ত টিকে বলে আবতিত


আবর্তনের নিয়মাবলী :–
ক) আশ্রয়বাক্যের উদ্দেশ্যেপদ সিদ্ধান্তের বিধেয় হবে ।

খ) আশ্রয়বাক্যের বিধেয় পদ সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যেপদ হবে ।

গ) আশ্রয়বাক্যে ও সিদ্ধান্তের গুন অভিন্ন হবে ।

ঘ) যদি কোনো পদ সিদ্ধান্তে ব্যাপ হয় তবে তাকে আশ্রয়বাক্যে ব্যাপ হতেই হবে ।



            ( A ) বচনের আবর্তন

 " A " সকল শিক্ষক হয় মানুষ    ( আবর্তনীয় )

 " I "  কোনো কোনো মানুষ হয় শিক্ষক ( আবর্তিত )
:–  " A " বচনকে আবর্তন করে আমরা " I "  বচন পাই ।

            ( E ) বচনের আবর্তন

  "E" কোনো মানুষ নয় অমর । ( আবর্তনীয় )

E" কোনো অমর নয় মানুষ । ( আবর্তিত )

:- "E" বচনকে আবর্তন করে আমরা "E" বচন পাই ।

               ( I ) বচনের আবর্তন

 " I " কোনো মানুষ হয় শিক্ষক ।  ( আবর্তনীয় )

" I " কোনো কোনো শিক্ষক হয় মানুষ । ( আবর্তিত )

:– " I " বচনকে আবর্তন করে আমরা  " I " বচন পাই ।

             ( O )বচনের আবর্তন

" O"  কোনো মানুষ নয় শিক্ষক । ( আবর্তনীয় )

" O" কোনো কোনো শিক্ষক নয় মানুষ ।  ( আবর্তিত )

:– O বচনকে আবর্তন করা যায় না ,

                                 


1)" A " বচনকে আবর্তন করে আমরা " I "  বচন পাই

2) "E" বচনকে আবর্তন করে আমরা "E" বচন পাই

3) " I " বচনকে আবর্তন করে আমরা  " I " বচন পাই

4) O বচনকে আবর্তন করা যায় না ,




বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

সংযোজকের স্বরূপ ও কাজ উত্তর


প্রশ্ন :- সংযোজকের স্বরূপ ও কাজ ?

উত্তর :– যে শব্দ বচনের উদ্দেশ্যে ও বিধেয়ের মধ্যে একটা সমন্ধ স্থাপন করে তাকে বলে সংযোজক । সংযোজক সদর্থক ও নর্থক দুই রকমেরই হতে পারে ।

[    ]  সংযোজকের স্বরূপ সম্পর্কে যুক্তি বিজ্ঞানের মধ্যে মতবেধ থাকলেও আমরা সংযোজকের স্বরূপ সম্পর্কে বলতে পারি –
১) সংযোজক কোনো পদ নয় উদ্দেশ্যে ও বিধেয় পদের সম্পর্ক প্রকাশক একটি শব্দ মাত্র ।

২) সংযোজক সব সময় ' হওয়া ' টা ক্রিয়া বর্তমান কালে রূপে হবে । ' বাংলায় হয় ' হন , হয় , হও , প্রভুতি শব্দ সংযোজক হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

৩) সংযোজক সদর্থক ও নর্থক দুই হতে পারে । কোনো বচনের বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্যে পদ সম্পর্কে কিছু স্বীকার করে তবে সংযোজকটি সদর্থক হবে । আর বিধেয় পদটি যদি উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কিছু অধিকার করে তবে সংযোজকটি নর্থক হবে ।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রশ্ন সেট পার্ট ১০




        PART - A ( MARKS :- 40 )


    ১) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও ।
     

১) জাতীয় স্বার্থ বলতে কি বোঝায় ? জাতীয় স্বার্থের ধারনা বিশ্লেষণ করো  ।

২) মার্কসবাদের মূল সূত্রগুলি আলোচনা করো ?


৩) ভারতের রাষ্ট্রপ্রতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো ?


৪) লোকসভার গঠন , ক্ষমতা ও কার্যাবলী আলোচনা করো ।


৫) ক্রেতা আদালত কাকে বলে ? ক্রেতা আদালতের উদ্দেশ্যে কি ? ক্রেতা আদালতের গঠন ও বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ।





                    PART - B




১) বিকল্প উত্তর গুলির মধ্যে থেকে সঠিক উত্তর টি বেছে নিয়ে লেখো ।


১) কত সালে ভারত পাকিস্থানের মধ্যে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ?

ক) ১৯৬৫
                                         
খ) ১৯৭০

 গ) ১৯৭১ 
                               
  ঘ )১৯৭৫


২) ঠান্ডা যুদ্ধকে " গরম শান্তি " বলে বর্ণনা করেছেন ?

ক) বার্নেট
                               
খ) জন কেনেডি

গ) ফ্রিডম্যান
               
ঘ) বার্নাড বারূচ



৩) জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM ) এর ১৮ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ?

ক) ২০১৫ 
                           
 খ)২০১৭

গ) ২০১৯

 ঘ) ২০১৮



৪) সার্ক - এর নতুন সদস্য হয়েছে কোন দেশটি ?
ক) আফগানিস্থান

খ) নেপাল

গ) বাংলাদেশ

  ঘ) ভুটান



৫) " Indian's Foreign Policy  " গ্রন্থটির রচয়িতা কে ?

ক) ভি . পি . দত্ত 

 খ) মোগেনথাউ

গ) নেহেরু.           

 ঘ) এদের কোনোটিই নয়



৬) স্বাধীন ভারতের বৈদেশিক নীতির প্রধান স্থপতি কে ছিলেন ?


ক) আম্বেদকর   

 খ) জহরলাল নেহেরু.
   
 গ) রাজীব গান্ধী   

 ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু


৭) কোন সম্মেলনে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কথাটি ব্যাবহার করা হয় ?

ক) লন্ডন ঘোষনা.             

 খ) ওয়াশিংটন ঘোষণা

 গ) আটলান্টিক সনদ           

ঘ) মস্কো ঘোষনা



৮) সাধারন সভা সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণা পত্র পাস করে কোন সালে ?


ক) ১৯৪৫. 

                         
খ) ১৯৪৭


গ) ১৯৪৮ 
                     
 ঘ) ১৯৫০



৯) নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংখ্যা হল ?


ক) ৯         
       
খ) ১০

গ) ১১     

ঘ) ১২


১০) আন্তজার্তিক বিচারালয়ের বিচারপতির কার্যকালের মেয়াদ হলো ?

ক) ৫ বছর
                 
 খ) ৬ বছর

গ) ৯ বছর.

 ঘ) ১০ বছর



১১) Spirit Of The Laws  - এর গ্রন্থটির লেখক হলেন ?


ক) বর্দা   

খ) মন্তেস্কূ

গ) জন লক   

 ঘ) হারিংটন



১২) ব্রিটেনের আইনসভার উচ্চ কক্ষের নাম কি ?


ক) লর্ড সভা   

 খ) সিনেট

গ) রাজ্যসভা. 
                     
ঘ) কমন্স সভা



১৩) কোন দেশের সংবিধানে প্রথম ক্ষমতা সতন্ত্রী করন নীতি গৃহীত হয় ?

ক) ব্রিটেন   
খ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গ) ফ্রান্স             
ঘ) ভারত ।

১৪) এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার একজন সমর্থক হলেন ?

ক) জে. এস . মিল     
খ) লর্ড ব্রাউস
 গ) গেটেল           
ঘ) বেন্তাম ।

১৫) " বিচার বিভাগের অস্তিত্ব ব্যতিরেখে সভ্য রাষ্ট্রের কল্পনা করা যায় না " - কে এ কথা বলেছেন ?

ক) গার্নার.     
খ) ব্রাউস
গ) কে. সি .হোয়ার         
ঘ) গেটেল

১৬) আইনসভার দ্বারা বিচারপতি নিয়োগ করা হয় ?

ক) ব্রিটেনে         
খ) ভারতে
গ) বাংলাদেশে         
ঘ) সুইজারল্যান্ডে ।

১৭) কোন অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারন ?

ক) ৩৫২.       
খ) ৩৫৫
 গ) ৩৫৬         
ঘ) ৩৬০ ।

১৮) রাজ্যের মন্ত্রিসভার নেতা বা প্রধান হলেন ?

ক) রাজ্যপাল.   
খ) রাষ্ট্রপতি
 গ) মুখ্যমন্ত্রী.       
ঘ) প্রধানমন্ত্রী ।

১৯) বর্তমানে পৌরসভার নির্বাচিত প্রতিনিধি দের বলা হয় ?

ক) কাউন্সিলার   
খ) চেয়ারম্যান
 গ) মেয়র         
ঘ) কমিশনার ।

২০) পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনিক প্রধান হলেন ?

ক) প্রধান       
খ) সভাধিপতি
 গ) বি. ডি. ও         
ঘ) সভাপতি ।



২) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ।


১) গ্লাসনস্ত কথাটির অর্থ কি ?

২) বেলগ্রেড সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ?

৩) নিরপেক্ষ ও জোট নিরপেক্ষতার মধ্যে প্রধান পার্থক্য কি ?

৪) জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের জনক কে ?

৫) এন . পি.টি - তে স্বাক্ষর করেনি এমন একটি রাষ্ট্রের নাম লেখো ?

৬) কূটনীতি ও বৈদেশিক নীতির মধ্যে পার্থক্য কি ?

৭) সার্ক এর সম্পূর্ণ কথাটি কি ?

৮) কে প্রথম সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ নামটি দেন ?

৯) মহাসচিব কিভাবে নির্বাচিত হন ?

১০) দ্বৈত ভেটো কাকে বলে ?

১১) ইউনেস্কো এর সম্পূর্ণ কথাটি কি ?
১২) আটলান্টিক সনদে কারা স্বাক্ষর করেন ?

১৩) এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে একটি যুক্তি দাও ?

১৪) অঙ্গরাজ্য গুলিতে মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে নির্বাচিত হন ?

১৫) পৌরণিগমের আয়ের একটি উৎস লেখো ?

১৬) গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অবশ্য পালনীয় কাজ লেখো ?

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২০

প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্য বাংলা রচনা



ভূমিকা: মানুষ সামাজিক জীব। সে একা বসবাস করতে পারে না। সমাজবদ্ধ হয়ে পাড়া- প্রতিবেশীর সাথে মিলেমিশে বসবাস করা মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য। ঘরের পাশে ঘর, বাড়ির পাশে বাড়ি এবং পরিবারের পাশে অন্য একটি পরিবার অবস্থিতির মাধ্যমে পাড়া বা মহল্লা গড়ে উঠে। এভাবে যারা পাশাপাশি বসবাস করে তারা পরস্পরের প্রতিবেশী। মানব জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ- বেদনায় তারা এগিয়ে আসে। এ জন্য প্রতিবেশীদের প্রতি আমাদের অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে।
প্রতিবেশী কারা: সাধারণ অর্থে আমাদের আশেপাশে বসবাসকারীদের প্রতিবেশী বলা হয়। এ প্রসঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন- “আশেপাশে চল্লিশ বাড়ি পর্যন্ত সকলেই প্রতিবেশী।” অর্থাৎ নিজ গৃহের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিকের চল্লিশ বাড়ি পর্যন্ত প্রতিবেশী হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার অন্যভাবে বলা যায় যে, আত্মীয় সম্পর্কিত না হওয়া সত্ত্বেও যারা আমাদের পাশাপাশি বাড়িতে কাছাকাছি অবস্থান করে তাদের প্রতিবেশী বলে।
প্রতিবেশীর বৈশিষ্ট্য: প্রতিবেশীর মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য থাকে। গ্রামীণ জীবনে মানুষ স্থায়ীভাবে পাশাপাশি বাস করে। বংশানুক্রমে বসবাসের ফলে মানুষের মধ্যে একান্ত আত্মীয় পরিজনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অনাত্মীয় লোকজনের সঙ্গেও পাশাপাশি প্রতিবেশী হিসেবে বাস করার ফলে আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু শহরাঞ্চলের প্রতিবেশী দুই ধরণের হয়। শহরের বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে অনেকে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে। তাদের অস্থায়ী প্রতিবেশী হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। মানুষের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে অন্যের সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। আর প্রাথমিকভাবে এই সাহায্য সহযোগিতা মানুষ প্রতিবেশীর নিকট থেকেই পেয়ে থাকে।
প্রতিবেশীর ধরন: প্রতিবেশী হিসেবে যারা পাশাপাশি অবস্থান করে তাদের সকলের ধরণ এক রকম না হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রতিবেশীদের মধ্যে নানা ধরণের লোক থাকে। প্রতিবেশী হিসেবে যেমন ধনী লোক আছে তেমনি গরীব লোকও আছে। আবার এক দিকে যেমন শিক্ষিত লোক আছে তেমনি অশিক্ষিত লোকেরও অভাব নেই। কেউ বিশাল বাড়িতে বাস করে, কেউ সামান্য কুঁড়ের ঘরে দিন কাটায়। এভাবে বিচিত্র মানুষ নিয়েই প্রতিবেশীর অবস্থান। পেশাগত দিক দিয়েও প্রতিবেশীদের মধ্যে বৈচিত্র্য দেখা যায়। তাদের মধ্যে নানা ধরণের বৈচিত্র্য থাকলেও এক দিকে তাদের মিল রয়েছে তা হলো তারা পরস্পরের প্রতিবেশী। বাইরের সম্পর্ক যাই হোক না কেনো তাদের প্রতিবেশী সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তারা প্রতিনিয়ত দেখা হলে সৌজন্য প্রকাশ করে, খোঁজ-খবর নেয় এবং আপদে-বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য: প্রতিটি মানুষই তার প্রতিবেশীর প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। কারণ সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ তার প্রতিবেশীর সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমেই জীবনযাপন করে। মানুষ সব দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই জীবন যাপনের জন্য প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়। আর প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতে হয়।

পারস্পরিক সহযোগিতা: পারস্পরিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করেই মূলত প্রতিবেশী সম্পর্ক টিকে থাকে। জীবনের নানা প্রতিকূলতায় প্রথম প্রতিবেশী খবর পায় এবং সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। এভাবে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতায় প্রতিবেশীদের মধ্যে এক ধরণের মধুর সম্পর্ক তৈরি করে। তাই জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে হলে প্রতিবশীর নিকট থেকে যেমন সহযেগিতা দরকার তেমনি তাদের আপদ-বিপদেও এগিয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন।
প্রতিবেশীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা: পৃথিবীতে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। এতে মানুষের মনুষ্যত্ব লোপ পায়। তাই জীবনকে সার্থকভাবে গড়ে তুলতে হলে সমাজের প্রতিটি মানুষকে নিয়ে ভাবতে হবে। প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। তাদের আপদে-বিপদে, সুখে-দুঃখে, অভাব-অনটনে খোঁজখবর নিতে হবে। যারা বিত্তবান তাদের কাজ হলো গরীব প্রতিবেশীদের অভাব-অনটন দূর করা। তাদের জীবনের স্বাচ্ছন্দ্যের বিধান করা। এভাবে আমরা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করতে পারি।
প্রতিবেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা: সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে নিরাপত্তার প্রয়োজন। নিরাপত্তার অভাবে মানুষের জীবন সবসময় ভয়-ভীতির মধ্যে কাটে। এর ফলে শুধু সমাজে বসবাসরত প্রতিবেশীই নয়, জাতীয় জীবনেও নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তাই এক প্রতিবেশীর অন্য প্রতিবেশীর জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। প্রতিবেশী যাতে নিরাপদে এবং নিশ্চিতভাবে বসবাস করতে পারে সেদিকে আমাদের সবারই নজর দিতে হবে। তাহলে প্রতিবেশীদের আচার ব্যবহার জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে।

সদ্ব্যবহার ও সুসম্পর্ক: প্রতিবেশীরা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। প্রতিটি দিনই তাদের সাথে কোনো না কোনোভাবে দেখা সাক্ষাৎ হয়। আর প্রতিবেশীদের সাথে দেখা হলে সদ্ব্যবহার করা উচিত। সদ্ব্যবহারে প্রতিবেশীরা শান্তি পায়। আবার প্রতিবেশীদের সাথে কখনো ঝগড়া-ফ্যাসাদ করা উচিত নয়। তাদের সাথে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।

সহানুভূতিশীলতা: আমাদের সমাজে এমনক কিছু লোক আছে যারা প্রতিবেশীদের নিয়ে ভাবার সময় পায় না। আবার কিছু লোক আছে সময় পেলেও প্রতিবেশী সম্পর্কে উদাসীন থাকে। তারা সব সময় নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। এ শ্রেণির লোকেরা পারলে প্রতিবেশীদের ঠকানোর চেষ্টা করে। যদিও এরা সমাজের উচ্চপদে অসীন থাকে এবং লোক দেখানো সম্মান পায় কিন্তু প্রতিবেশীদের কোনো প্রকৃত সম্মান পায় না। তাই প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়।
মহৎ ব্যক্তিগণের সহানুভূতিশীলতা: পৃথিবীর সকল ধর্মের মহৎ ব্যক্তিগণ প্রতিবেশীর প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (স.), গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দ ও যিশু খ্রিস্ট এরা সবাই প্রতিবেশীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। প্রতিবেশী সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন- “আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার নিজ প্রতিবেশীর নিকট উত্তম।” মহৎ ব্যক্তিরা শুধু প্রতিবেশীদের প্রতি সহানুভূতিশীলই ছিলেন না বরং প্রতিবেশীদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়েও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এভাবে তারা প্রেম, ভালোবাসা, ধৈর্য ও আদর্শ দিয়ে প্রতিবেশীদের মন জয় করেছিলেন।
প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্কের সুফল: প্রতিবেশীদের প্রতি যথাযথ কর্তব্য পালন করলে তাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তা জীবনযাপনের জন্য বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভালো হলে আপদে-বিপদে সাহায্য এবং নিরাপদে নিশ্চিতে বসবাস করা যায়। আর প্রতিবেশী খারাপ হলে অশান্তির শেষ থাকে না। কিন্তু প্রতিবেশীদের সাথে সু-সম্পর্ক এক দিক থেকে হয় না। পারপস্পরিক আচার-আচরণের মধ্যে দিয়ে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন।
উপসংহার: প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক থাকলে আত্মীয়ের চেয়েও গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সামাজিক জীবনে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা মানুষ প্রতিবেশীর নিকট থেকে পেয়ে থাকে। সে জন্য আমাদের ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ভালো-মন্দ সকল রকম প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাহলেই পরস্পরের মঙ্গল সাধিত হবে। এ প্রসঙ্গে কামিনী রায় তাঁর পরার্থে কবিতায় বলেন- “সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।”





দর্শন মিলের অন্বয়ী পদ্ধতি উত্তর মান ৮ [ Higher secondary Philosophy Mill Questions Answer Marks 8 ]


 

তর্কবিদ মিল কার্য কারন সম্পর্ক নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে যে পাঁচটি পরীক্ষামূলক পদ্ধতি পরিবর্তন করেন তাঁর মধ্যে অন্যতম হলো অন্বয়ী পদ্ধতি ।

[   ] মিলের এই পদ্ধতিটি অপসারনের যে নিয়মের উপর প্রতিষ্ঠিত সেটি হল " পূর্ববর্তী ঘটনার যে অংশকে বাদ দিলে কার্যের কোনো হানি হয়না , সেই অংশটি কখনো কারন বা কারনের অংশ হতে পারে না ।

[   ] মিল অন্বয়ী পদ্ধতির সূত্রটিতে এইভাবে ব্যাখা করেছেন - " আজব ঘটনা দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তে যদি একটি মাত্র সাধারন ঘটনা উপস্থিত থাকে এবং যদি এই সাধারন ঘটনাটির সমন্ধে দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে মিল থাকে , তাহলে সেই সাধারন ঘটনাটি হবে আলোচ্য ঘটনার কারন বা কার্য ।

বাস্তব উদাহরণ :– মনে করা যাক , আমরা ম্যালেরিয়া জ্বরের কারন অনুসন্ধান করতে চাই , এজন্যে যে সব জায়গায় ম্যালেরিয়া জ্বর বেশি হচ্ছে , সেই সব জায়গায় গুলি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেল যে । সমস্ত ক্ষেত্রেই ম্যালেরিয়া জ্বরের অনুবর্তী ' এনফিলিক্স ' নামে এক জাতিও মশার দংশন এবং পূর্ববর্তী ঘটনা (যেমন  দরিদ্র , আবর্জনা , ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসস্থান বেশ ভুষা প্রকৃতি ) কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকছেনা এর থেকে অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত করা যেতে পারে পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে যে ' এনফিলিক্স  ' মশার দংশন হল ম্যালেরিয়া জ্বরের কারন । 


সুবিধা :–১) অন্বয়ী পদ্ধতির প্রয়োগ ক্ষেত্র অন্যান্য পদ্ধতির প্রয়োগের ক্ষেত্রেও অপেক্ষা অনেক বেশি এবং ব্যাপক ।

২) অন্বয়ী পদ্ধতির সাহায্য আমরা কারন থেকে কার্য এবং কার্য থেকে কারন আবিষ্কার করতে পারি এই দিক থেকে এই পদ্ধতি অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় সুবিধাজনক ।

৩) অন্বয়ী পদ্ধতির সাহায্য আমরা কার্য বা কারনের সঙ্গে যুক্তি অপ্রয়োজনীয় অপসারন বা বর্জন করতে পারি ।


অসুবিধা :–১) মিলের বহুকারনবাদের সম্ভবনা কে এই পদ্ধতির প্রকৃতিগত অপূর্ণতা বলা হয় । কারন এই দোষটির অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতির মধ্যেই ।

২) অপর্যবেক্ষণ দোষ কে অন্বয়ী পদ্ধতি ব্যাবহারিক দোষ বা অপূর্ণতা বলা হয় । এই পদ্ধতি মূলত পর্যবেক্ষনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেক সময় আসল কারনটি আমাদের কাছে আত্মগোপন করে থাকতে পারে ।

৩) অন্বয়ী পদ্ধতির সহ অবস্থান থেকে কার্য কারন সমন্ধকে পৃথক করতে পারে না ।