Breaking News

“পাহাড়ের নীচে যেদিন থেকে লালনিশান খুঁটি গেড়েছে , সেই দিন থেকে তাদের চোখ ফুটেছে ।”—চোখ ফোটার ফলে ‘তাদের’ কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তা ‘ছাতির বদলে হাতি’রচনা অবলম্বনে লেখো ।

 


উত্তর >>> লেখক সুভাষ মুখোপাধ্যায় সাধারণভাবে গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের সম্বন্ধে এবং বিশেষভাবে সে অঞ্চলের পাশটা গ্রামের ডালুদের সম্বন্ধে একথা বলেছেন । ডালুরাই লেখককে জানিয়েছে যে , আগে তারা নানাভাবে অত্যাচারিত এবং অসম্মানিত হলেও ‘সে-দিন আর নেই ।’ এ প্রসঙ্গেই লেখক প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন ।  

>>> দিনের পর দিন শোষিত-নিপীড়িত-অত্যাচারিত হতে থাকা ডালু তথা গারো-পাহাড়িরা কমিউনিস্ট পার্টির ছত্রছায়ায় এসে জেগে উঠেছিল । দুমনাকুড়া , ঘোষপাড়া , ভুবনকুড়া , নওয়াপাড়া প্রভৃতি গ্রামের চাষিরা একজোট হয়ে জানিয়েছিল যে , তাদের খেতের ধান তারা আর জমিদারের খামারে তুলবে না । সত্যি সত্যি তারা তা আর তোলেওনি । জমিদাররা পুলিশ-কাছারি কোনো কিছু করেই তাদের শায়েস্তা করতে পারেননি । জমিদাররা তাই এই আন্দোলনের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন ।

>>> ক্রমে চেতনাসম্পন্ন হয়ে ওঠে ডালু তথা গারো-পাহাড়িরা নিজেদের প্রাপ্য সম্মানও আদায় করতে সক্ষম হয়েছে । তথাকথিত ভদ্রলোকেরা তাই তাদের আর তুই-তোকারি করতে বা অন্যভাবে অশ্রদ্ধা করতেও সাহস পায় না । থানায় পুলিশও তাদের চেয়ারে বসতে দেয় ।

 

>>> পাহাড়ের লালনিশান তাদের জীবনযাত্রায় অনেক ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে । লেখকের বর্ণনা অনুসরণে দেখা যায় , এই লালনিশান গারো-পাহাড়িদের ঐক্যবদ্ধ করে তুলেছে । হাল-বলদের অভাবের কারণে তাই তারা গাঁতা পদ্ধতিতে অর্থাৎ সম্মিলিতভাবে চাষাবাদ শুরু করেছে এবং গরিব চাষির কাজ অন্যরা বিনা পারিশ্রমিকে করতে শুরু করেছে ।

>>> এসব কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনই ডালু এবং গারো পাহাড়ের অন্যান্য উপজাতির মধ্যে লেখক সুনিপুণভাবে লক্ষ ও ক্রম-পর্যালোচনা করেছেন ।


 

No comments