শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

সমারাজবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া MCQ প্রশ্ন উত্তর






প্রতি প্রশ্নের মান :–১


১) কোন ইউরােপীয় বণিকরা প্রথম ভারতে আসে ?
ক)  পাের্তুগিজরা
খ)  ইংরেজরা
গ) ফরাসিরা
ঘ) দিনেমাররা
উত্তর :- পাের্তুগিজরা

২) সর্বপ্রথম কোন পত্রিকায় বাঙালি মধ্যবিত্তদের কথাবলা হয় ?
ক) হিন্দু প্যাট্রিয়ট
 খ) সােম প্রকাশ
 গ) ইন্দু প্রকাশ
 ঘ) বঙ্গদূত
উত্তর :- বঙ্গদূত

৩) ভারতে ব্রিটিশ শাসনকালে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আবির্ভাব| ঘটেছিল বলে মনে করেন
ক) ইকতিদার আলম খান
 খ) নরেন্দ্রকৃয় সিংহ
গ) এ বি . বি . মিশ্র
ঘ)  যদুনাথ সরকার
উত্তর :- এ বি . বি . মিশ্র

৪)  ব্রিটিশ সরকার কবে ঘােষণা করে যে , সরকারি
চাকরির ক্ষেত্রে ইংরেজি জ্ঞানকে অগ্রাধিকার দেওয়া
হবে ?
ক) ১৮২৯ খ্রি
খ) ১৮৩৪ খ্রি
 গ) ১৮৪০ খ্রি
ঘ) ১৮৪৪ খ্রি .
উত্তর :- ১৮৪৪ খ্রি .

৫) এ . আর . দেশাই আধুনিক ভারতের স্রষ্টা ’ বলে ।উল্লেখ করেছেন
ক) বাঙালিদের
খ) মধ্যবিত্তদের
গ) নিম্নবিত্তদের
 ঘ) পাঞ্জাবিদের
উত্তর :- মধ্যবিত্তদের

৬) ভারতে এশিয়াটিক সােসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন

ক) ওয়ারেন হেস্টিংস
 খ ) জোনাথান ডানকান
গ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ) রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর :- উইলিয়াম জোন্স

৭)  প্রথম বাংলা সংবাদপত্র হল —
 ক) সমাচার দর্পণ
খ  ) সােম প্রকাশ
 গ) হিন্দু পেট্রিয়ট
ঘ) বন্দেমাতরম
উত্তর :- সমাচার দর্পণ

৮) জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন - এর বর্তমাননাম হল —
 ক) লেডি ব্রেবাের্ন কলেজ
খ ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
গ) স্কটিশ চার্চ কলেজ
ঘ) প্রেসিডেন্সি কলেজ
উত্তর :- স্কটিশ চার্চ কলেজ

৯) আত্মীয় সভা প্রতিষ্ঠিত হয় —
ক)  ১৮১৩ খ্রি
 খ) ১৮১৫ খ্রি
 গ) ১৮২৮ খ্রি
 ঘ)  ১৮৩৩ খ্রি
উত্তর :- ১৮১৫ খ্রি

১০)  হিন্দু কলেজের বর্তমান নাম কী ?
ক) স্কটিশ চার্চ কলেজ
 খ) লরেটো কলেজ
গ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ
ঘ) প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
উত্তর :- প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি
১২)  চুঁইয়ে পরা নীতির প্রবর্তক হলেন — চুইয়ে পড়া
ক) রামমােহন রায়
 খ) মেকলে
গ) বেন্টিঙ্ক
ঘ) ডেভিড হেয়ার
উত্তর :- মেকলে

১৩) কলকাতা মেডিকেল কলেজ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
ক) ১৭৯২ খ্রি .
খ)  ১৮৩৫ খ্রি .
গ)  ১৮৫৭ খ্রি
ঘ) ১৮৪৭ খ্রি
উত্তর :- ১৮৩৫ খ্রি .

১৪)  রাজা রাম মোহন পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি   করে কত খিস্টাব্দে লর্ড আমহার্স্টকে চিঠি লেখেন ?
ক) ১৮১৭
খ) ১৮১৮
 গ)১৮২৩
ঘ) ১৮২৮
উত্তর :- ১৮২৩

১৫) হান্টার কমিশনের সুপারিশগুলি কবে প্রকাশিত হয় ?
ক) ১৮২৩ খ্রি .
খ) ১৮৫৪ খ্রি .
গ) ১৮৭৩ খ্রি .
ঘ) ১৮৮২ খ্রি .
উত্তর :- ১৮৮২ খ্রি .

১৬)  কাদের নিয়ে ব্রিটিশদের সহযােগী শ্রেণি
উঠেছিল ?
 ক) নিম্নবিত্তদের
খ) মধ্যবিত্তদের
গ) মুসলিমদের
ঘ)  হিন্দুদের
উত্তর :- মধ্যবিত্তদের

১৭)  শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের সংস্কার আন্দোলনকে এলিটিস্ট আন্দোলন ’ বলে অভিহিত করেছেন
 ক) বি . বি . মিশ্র
খ)  ড . অনীল শীল
গ) তপন রায়চৌধুরী
ঘ)  সুমিত সরকার ।
উত্তর :- ড . অনীল শীল

১৮)  কে রামমােহন রায়কে ‘ রাজা ’ উপাধি দেন ?
ক) লর্ড মিন্টো ।
 খ) মােগল সম্রাট বাহাদুর শাহ ।
গ) মােগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।
উত্তর :- মােগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর

১৯)  তুফাৎ উল - মুয়াহিদিন - এর প্রণেতা —
 ক) স্যার সৈয়দ আহমদ খান
খ) রাজা রামমােহন রায়
গ) বীরসালিঙ্গম পালু
ঘ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
উত্তর :- রাজা রামমােহন রায়

২০)  কাকে ‘ বাংলা গদ্যসাহিত্যের জনক ’ বলা হয় ?
ক) রামমােহন রায়কে
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে
গ) বঙ্কিমচন্দ্রকে
ঘ) রবীন্দ্রনাথকে
উত্তর :- রামমােহন রায়কে
২১)  ড . বিপানচন্দ্র কাকে ভারতীয় সাংবাদিকতার
অগ্রদূত বলে অভিহিত করেছেন ?
ক)  রামমােহন রায়কে
খ)  অক্ষয়কুমার দত্তকে ।
 গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে
ঘ)  বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
উত্তর :- রামমােহন রায়কে

২২)  কে রাজা রামমােহন রায়কে ‘ ভারত পথিক বলে
অভিহিত করেছেন ?
ক)  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।
গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তর :- রামমােহন রায়কে

২৩)  কে রাজা রামমােহন রায়কে ভারতীয়
জাতীয়তাবাদের জনক ’ বলে অভিহিত করেছেন ?
ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ)  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) জওহরলাল নেহরু
ঘ) সুভাষচন্দ্র বসু
উত্তর :- জওহরলাল নেহরু

২৪)  কে কেশবচন্দ্রকে ‘ ব্ৰহ্বানন্দ ’ উপাধি দেন ?
 ক) রামমােহন রায়
খ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) শিবনাথ শাস্ত্রী
ঘ) রামকুমার বিদ্যারত্ন
উত্তর :- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৫)  কেশবচন্দ্র ব্রাহ্রসমাজে যােগ দেন —
ক) ১৮৫৬ খ্রি
খ)১৮৬০ খ্রি
গ) ১৮৬১ খ্রি
ঘ) ১৮৬২ খ্রি
উত্তর :- ১৮৫৬ খ্রি

২৬)  আদি ব্রাহ্বসমাজের নেতা ছিলেন —
 ক) রামমােহন রায়
খ)  দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ) কেশবচন্দ্র সেন
 ঘ) শিবনাথ শাস্ত্রী
উত্তর :- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

২৭)  ডিরােজিও কোন কলেজের অধ্যাপক ছিলেন ?
ক) স্কটিশ চার্চ কলেজের
খ) লরেটো কলেজের
গ) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের
ঘ) হিন্দু কলেজের
উত্তর :- হিন্দু কলেজের

২৮)  ‘ যত মত তত পথ আদর্শের প্রবর্তক কে ছিলেন ?
ক) শ্রীরাম কৃষ্ণ
 খ) স্বামী বিবেকানন্দ
গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
ঘ) পাণ্ডুরঙ্গ আত্মারাম
উত্তর :- শ্রীরাম কৃষ্ণ

২৯)  মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশনের বর্তমান নাম
ক) জেভিয়ার্স কলেজ
খ) বিদ্যাসাগর কলেজ
গ) সেন্ট কলেজ
ঘ) বেথুন কলেজ স্কটিশচার্চ
উত্তর :- বিদ্যাসাগর কলেজ

৩০)  সর্বশুভকরী সভা প্রতিষ্ঠা করেন
ক) ডিরােজিও
খ) রাজা রামমােহন রায়
গ) স্বামী বিবেকানন্দ
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তর :- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৩১)  বিধবাবিবাহ আইন কত খিস্টাব্দে পাস হয় —
ক) ১৮৫৬
খ)  ১৮৫৭
গ) ১৮৫৮
ঘ) ১৮৫৯
উত্তর :- ১৮৫৬

৩২)  ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় —
ক) উডের ডেসপ্যাচ
 খ) চার্টার আইন ।
গ) মহারানির ঘােষণাপত্র
 ঘ) পুলিশ আইন ।
উত্তর :- মহারানির ঘােষণাপত্র

৩৩)  ‘ হিন্দু ফ্যামিলি অ্যানুইটি ফান্ড ( ১৮৭২ খ্রি . ) থাপন করেন
ক) ডিরােজিও
খ) রামমােহন রায়
 গ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 ঘ) কেশবচন্দ্র সেন
উত্তর :- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

৩৪)  ‘ ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন ফর দ্য
সায়েন্স ’ - এর প্রতিষ্ঠা করেন
ক)  রামমােহন রায়
খ) মহেন্দ্রলাল সরকার
গ) ব্ৰহ্ববান্ধব উপাধ্যায়
ঘ)  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
 উত্তর :- মহেন্দ্রলাল সরকার

৩৫)  বারাণসীতে কেন্দ্রীয় হিন্দু বিদ্যালয়
ক) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
খ) মাদাম ব্লাভাস্কি
গ)  অ্যানি বেসান্ত
ঘ)  কর্নেল ওলকট অ্যানি ।
উত্তর :- অ্যানি বেসান্ত

৩৬)  সত্যশােধক সমাজ - এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন

ক) দয়ানন্দ সরস্বতী
 খ) কেশবচন্দ্র সেন
 গ) জ্যোতিবা ফুলে
ঘ)  শিবনাথ শাস্ত্রী
উত্তর :- জ্যোতিবা ফুলে

৩৭)  সত্যার্থ প্রকাশ ও বেদভাষা গ্রন্থ দুটি রচনা করেন
 ক) স্বামী বিবেকানন্দ
খ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
ঘ) অ্যানি বেসান্ত
উত্তর :- স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী

৩৮)  “ বৈদিক শাস্ত্রে ফিরে যাও ” ” — এটি কার উক্তি ?
ক) স্বামী বিবেকানন্দ
খ) জ্যোতিবা ফুলে
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
ঘ) দয়ানন্দ সরস্বতী
উত্তর :- দয়ানন্দ সরস্বতী

৩৯)  কার উদ্যোগে ‘ শুদ্ধি আন্দোলন গড়ে ওঠে ?
ক) শ্রীরামকৃয়ের
খ) স্বামী বিবেকানন্দের
গ) স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর
ঘ) কেশবচন্দ্র সেনের
উত্তর :- স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর

৪০)  সর্বজনিক সভার মুখপত্র ছিল —
ক) কেশরী
খ)হরিজন
গ)  মারাঠি
ঘ) চাবুক
উত্তর :- কেশরী
৪১)  “ এক জাতি , এক ধর্ম এবং এক ঈশ্বর ” কার মূলআদর্শ ছিল ?
ক) জ্যোতিবা ফুলের
খ) নারায়ণ গুরু
গ) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডের
ঘ) বীরসালিগমের
উত্তর :- নারায়ণ গুরু

৪২)  কার নেতৃত্বে ভাইকম সত্যাগ্রহ ( ১৯২৪ খ্রি . ) শুরু হয় ?
ক) শ্রীনারায়ণ গুরুর
খ)  মহাদেব গােবিন্দ রাণাডের
গ) আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গের
ঘ) জ্যোতিবা ফুলের
উত্তর :- শ্রীনারায়ণ গুরুর

৪৩)  ভাইকম সত্যাগ্রহের অন্যতম নেতা ছিলেন —

ক) কেলাপ্লান
খ) ড . আম্বেদকর
গ) এ . কে . গােপালন
ঘ)   কেশব মেনন
উত্তর :- কেশব মেনন

৪৪) বীরসালিঙ্গম কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদপত্রটি ছিল —
ক) হরিজন
 খ) চিন্তামণি
গ) কেশরী
ঘ) পার্থেন
উত্তর :- চিন্তামণি

৪৫)  ‘ রাজামুন্দ্রি সমাজসংস্কার সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন —
ক) মহাদেব গােবিন্দ রাণাডে
খ) রামকৃয় ভাণ্ডারকর
গ) জ্যোতিবা ফুলে
 ঘ) বীরসালিঙ্গম
উত্তর :- বীরসালিঙ্গম

৪৬)  বিধবাবিবাহ সমিতি ও বিধবাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন —
ক) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ) জ্যোতিবা ফুলে
গ) বীরসালিঙ্গম
ঘ) নারায়ণ গুরু
উত্তর :- বীরসালিঙ্গম

৪৭)  ‘ দীনবন্ধু ’ ও ‘ দীনমিত্র ’ নামে দুটি সংবাদপত্র প্রকাশ ।করেন
ক)  আত্মারাম পাণ্ডুরঙ্গ
খ)  জ্যোতিবা ফুলে
গ) দয়ানন্দ সরস্বতী
 ঘ) নারায়ণ গুরু
উত্তর :- জ্যোতিবা ফুলে

৪৮)  কোন আন্দোলনে থিয়ােডাের বেক - এর গুরুত্বপূর্ণভূমিকা ছিল ?
 ক) আলিগড় আন্দোলনে
 খ) ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন
গ) ভাইকম আন্দোলনে
ঘ)  বিধবাবিবাহ আন্দোলনে
উত্তর :- আলিগড় আন্দোলনে

৪৯)  আলিগড় কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন —
ক) সৌকত আলি
 খ) থিওডাের বেক
গ) সৈয়দ আহমদ খান
ঘ) মহম্মদ আলি
উত্তর :- থিওডাের বেক

৫০)  কার উদ্যোগে আলিগড়ে ‘ ইউনাইটেড ইন্ডিয়ান প্রতিষ্ঠিত
প্যাট্রিয়টিক অ্যাসােসিয়েশন( ১৮৮৮ খ্রি . ) ।হয় ?
ক) স্যার সৈয়দ আহমদ খানের
 খ) থিওডাের বেক
গ) হােসেন আলির
ঘ) খুদা বক্সা - এর
উত্তর :- স্যার সৈয়দ আহমদ খানের
৫১)  কোন সমাজের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ‘
মাজদায়াসন সভা প্রতিষ্ঠিত হয় ?
ক) শিখ

খ) পারসি
গ) গুজরাটি
ঘ)  মারাঠি
উত্তর :- পারসি
৫২)  পারসি বিবাহ সম্মতি আইন ( ১৮৯১ খ্রি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন ।
ক) কেশবচন্দ্র সেন
খ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগার
গ)  বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারি
 ঘ) এস . এস . বেঙ্গলি
উত্তর :- বেহরামজি মেরওয়ানজি মালাবারি

৫৩) নিরাকারি আন্দোলনের সূচনা করেন ?
ক) লালা হংসরাজ
খ) লালা  হরদয়াল
গ) বরবারা সিংহ
 ঘ) বাবা দয়াল সিংহ
উত্তর :- বাবা দয়াল সিংহ


সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৯

উনবিংশ ও বিংশ শতকে ও সান্রাজ্যবাদের প্রসার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর




প্রতি প্রশ্নের মান :–১


১) Colonia যে শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, তা হল-
ক) ফরাসি
খ) লাতিন
গ) গ্রিক
ঘ) ইংরেজ

উত্তর :- লাতিন

২)  ইম্পেরিয়াম শব্দটি হল একটি—
ক) ফরাসি শব্দ
খ) লাতিন শব্দ
গ) গ্রিক শব্দ
ঘ) ইংরেজি শব্দ

উত্তর:- লাতিন শব্দ

৩) ‘নতুন বিশ্ব’ বা ‘New World’ শব্দটি প্রথম উল্লেখ করেন- ?
ক) কলম্বাস
খ) কেব্রাল
গ) লরেঞ্জো দ্য মেডিচি
ঘ) আমেরিগাে ভেসপুচি

উত্তর :- আমেরিগাে ভেসপুচি

৪)  কলম্বাস ‘রেড ইন্ডিয়ান বলেছিলেন- ?
ক) দক্ষিণ ভারতের মানুষদের
খ) দক্ষিণ আমেরিকার মানুষদের
গ) মেক্সিকোর মানুষদের
ঘ) উত্তর আমেরিকার মানুষদের

উত্তর :- দক্ষিণ আমেরিকার মানুষদের

৫)  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববাসীর নিরাপত্তারক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়—
ক) জাতিসংঘ
খ)  ইউরােপীয় ইউনিয়ন
গ) জাতিপুঞ্জ
ঘ) কমিকন

উত্তর :- জাতিপুঞ্জ

৬) নির্জোট আন্দোলনের সূচনাকারী সম্মেলনটি ছিল—
ক) হাভানা
খ) কলম্বাে
গ) নিউ দিল্লি
ঘ) বান্দুং

উত্তর :- বান্দুং

৭) ইস্ট ইন্ডিজ হল আসলে—
ক) মালয়েশিয়া
খ)  ইন্দোনেশিয়া
গ) ইউরেশিয়া
ঘ) ক্রোয়েশিয়া

উত্তর :- ইউরেশিয়া

৮)  আফ্রিকার পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলের মধ্যে যোগসহ গড়ে তােলার প্রচেষ্টা চালায়
ক) পাের্তুগিজরা
খ) ফরাসিরা
গ) ইংরেজরা
ঘ)  ওলন্দাজরা

উত্তর :- ওলন্দাজরা

৯) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়ে প্রথম উপনিবেশ গতে তুলেছিল-
ক) ফরাসিরা
খ) ইংরেজরা
গ) পাের্তুগিজরা
 ঘ) র্জওলন্দাজর

উত্তর :- পাের্তুগিজরা

১০)  আফিম যুদ্ধের পরে চিনে প্রবেশ করে ?
ক) ফরাসিরা
খ) ব্রিটিশরা
গ) রুশরা
ঘ) মার্কিনিরা

উত্তর :- মার্কিনিরা

১১)  অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ নামে পরিচিত
ক) আফ্রিকা
খ) এশিয়া
গ) আমেরিকা
ঘ) ইউরােপ

উত্তর :- আফ্রিকা

১২)  কমােডাের পেরির জাপানে আগমন ঘটে—
ক) ১৮৫৪ খ্রি
খ) ১৪৯২ খ্রি
গ) ১৭৮৩ খ্রি
ঘ) ১৮৯৯ খ্রি

উত্তর :- ১৮৫৪ খ্রি

১৩)  জাপান একুশ দফা দাবি পেশ করেছিল—
ক) ভারতে
খ) চিনে
গ) আমেরিকায়
ঘ) সােভিয়েত ইউনিয়নে

উত্তর :- চিনে

১৪)  ‘নিউ নেদারল্যান্ড আলবানি’তে উপনিবেশ ছিল—
ক) ইংরেজদের
খ) ফরাসিদের
গ) ডাচদের
ঘ)  পর্তুগিজদের

উত্তর :- ফরাসিদের

১৫)  কানাডায় উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল
ক) ফ্রান্স
খ) স্পেন
গ) র্ডেনমার্ক
ঘ) ইংল্যান্ড

উত্তর :- র্ডেনমার্ক

১৬)  ব্রাজিলে ঔপনিবেশিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল—
ক) পাের্তুগাল
খ) ফ্রান্স
গ) ইংল্যান্ড
ঘ) স্পেন

উত্তর :- পাের্তুগাল

১৭) যে ইংরেজের নেতৃত্বে ব্রিটিশরা নিউজিল্যান্ডে এসে বসবাস শুরু করেছিলেন, তিনি হলেন-
ক) র্মাকেয়ার
খ) ক্যাপটেন কুক
গ) ওয়েকফিল্ড
ঘ) ম্যাক আর্থার

উত্তর :- র্মাকেয়ার

১৮)  ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকায় ইংরেজদের স্বাধীন উপনিবেশগুলির সংখ্যা
ক) ১২
খ) ১৩
গ) ১৪
ঘ) ১৫

উত্তর :- ১৩

১৯) এশিয়া এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে খিস্টান
 মিশনারিগণ সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন-

ক) বাণিজ্যিক লেনদেনের দ্বারা
খ) খীষ্টধর্ম প্রচারের দ্বার
গ) পুঁজিবাদী আদর্শ প্রচারের দ্বারা
ঘ) সাম্যবাদী আদর্শ প্রচারের দ্বারা

উত্তর :- খীষ্টধর্ম প্রচারের দ্বার

২০)  ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে নাগাদ নিখিলসভা গঠন করেন-
ক) গান্ধিজি
খ) গোপালকৃয় গোখলে
গ) ড. বি. আর. আস্বেদকর
ঘ) তিলক

উত্তর :- তিলক

২১) . ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়_
ক) ১৬০০ খ্রি
খ) ১৬০২ খ্রি.
গ) ১৬০৪ খ্রি.
ঘ) ১৬৫৭  খ্রি.

উত্তর :- ১৬০২ খ্রি.

২২) উপনিবেশ শব্দটি এসেছে ইতরেজি- ,
ক)  Colany শব্দ থেকে
খ) Coloni শব্দ থেকে
গ) Colony শব্দ থেকে
ঘ) Coleni শব্দ থেকে

উত্তর :- Coloni শব্দ থেকে

২৩) , মার্কেন্টাইলবাদ অনুসারে গৃহীত,লীতি হুল_
আমদানি কমানো
ক) রপ্তানি কমানো
খ) আমদানি বৃদ্ধি
গ) খাদ্যশস্য রপ্তানি
ঘ) আমদানি কমাান

উত্তর :- আমদানি কমানো

২৪)  সোনা ও রুপো সংগ্রহকে খুরুঃ দেওয়া হত
 বাণিজ্য নীতিতে
ক) মার্কেন্টাইলবাদে
খ)  অবাধ বাণিজ্য নীত
গ) মার্কেন্টাইলবাদে
ঘ) কোনোটিই নয়

উত্তর :- মার্কেন্টাইলবাদে

২৫), বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়_
ক) বণিক শ্রেণির হাত ধরে
খ) শ্রমিক শ্রেণির হাত ধরে
গ) বুদ্ধিজীবী শ্রেণির হাত ধরে
ঘ) অভিজাত শ্রেণির হাত ধরে

উত্তর :-বুদ্ধিজীবী শ্রেণির হাত ধরে


রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯

ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগ MCQ প্রশ্ন উত্তর





প্রতি প্রশ্নের মান :–১



১)বিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ।
আমেরিকার মিসৌরি প্রদেশের যে কলেজটিতে তার বিখ্যাত ফালটন বক্তৃতা দেন , সেই কলেজটির নাম হল ?


ক) ট্রিনিটি কলেজ

খ) ওয়েস্টমিনস্টার

 গ) হার্ভার্ড

ঘ) ওয়েলিংটন

উত্তর:- ওয়েস্টমিনস্টার


২) মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ এফ . কেন্নান , মি . এক্স ছদ্মনামে  আমেরিকার যে পত্রিকায় তাঁর “ বেষ্টনী তত্ত্ব প্রকাশ সেই পত্রিকার নাম হল ?

ক) দি ফরেন অ্যাফেয়ার্স

খ) দি ডন

 গ) দি সানডে এক্সপ্রেস

ঘ)  কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স

উত্তর:-  দি ফরেন অ্যাফেয়ার্স

৩) ওয়ারশ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় — ?

 ক)১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে ।

খ)  ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

গ) ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

ঘ) ১৯৫৫  খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

উত্তর:- ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে

৪) দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় সাম্যবাদের প্রসার রােধের লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নীতি কার্যকর করে তা হল ?

ক)ট্রম্যান নীতি

খ) কেন্নানের বেষ্টনী নীতি

গ) শক্তিসাম্য নীতি

 ঘ) জোটনিরপেক্ষ নীতি

উত্তর:- শক্তিসাম্য নীতি

৫)  পটসডাম সম্মেলনে যে সংকটের বীজ বােনা হয়  তা হল ?

ক) সুয়েজ সংকট

খ) ভিয়েতনাম সংকট

 গ)বার্লিন সংকট

ঘ)কঙ্গাে সংকট

উত্তর:- বার্লিন সংকট

৬)  বার্লিন অবরােধ শুরু হয় ?

ক) ২৪ জুন , ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে

 খ)২৪ জুন , ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে

গ) ২৪ জুন , ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে

ঘ) ২৪ জুন , ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে

উত্তর:-  ২৪ জুন , ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে

৭) বার্লিন অবরােধ প্রত্যাহৃত হয় —?

ক)১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

খ) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

গ) ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

ঘ) ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

উত্তর:- ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে

৮) যে দেশটি পূর্ব বা পশ্চিম বার্লিনে প্রবেশের সড়ক পথ অবরােধ করে সেটি হল —?

 ক) সােভিয়েত রাশিয়া

 খ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ)  ফ্রান্স

ঘ)  পারস্য

উত্তর- সােভিয়েত রাশিয়া

৯) বার্লিন প্রাচীর গড়া হয়েছিল ?

 ক) ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

খ) ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

গ) ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

ঘ) ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

উত্তর:- ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ আগস্ট

১০) বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলা হয় — ?

ক) ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

খ) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

গ) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

ঘ) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

উত্তর :- ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ।

১১) দুই জার্মানি পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয় — ?

ক) ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর ।

খ) ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর ।

গ) ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

ঘ) ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

উত্তর:- ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ৩ অক্টোবর

১২) NATO গঠিত হয় — ?

ক) ১৯৪৭ খ্রি .

খ) ১৯৪৮ খ্রি

গ) ১৯৪৯ খ্রি .

ঘ) ১৯৫০ খ্রি .

উত্তর:- ১৯৪৯ খ্রি

১৩)  বিশ্বে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্র ছিল —

ক) ২৪টি দেশ

খ)  ২৬টি দেশ

গ) ২৮টি দেশ

ঘ)  ৩০টি দেশ
উত্তর:- ২৮টি দেশ

১৪)  ন্যাটো জোটের সদস্য ছিল না এমন একটি দেশ হল —?

ক) ব্রিটেন

খ) ফ্রান্স

গ) ইতালি

ঘ)  কিউবা


উত্তর:- কিউবা

১৫) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে হাঙ্গেরিতে

ক্ষমতায় আসে ?

ক) সমাজতন্ত্রী দল ও কমিউনিষ্ট দলের মিলিত জোট

খ) স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং সমাজতন্ত্রী দলের মিলিত জোট

গ) স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং কমিউনিষ্ট দলের মিলিত জোট

ঘ) গণতন্ত্রী দল এবং ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেস জোট

উত্তর :- স্মল ল্যান্ড হল্ডাস দল এবং সমাজতন্ত্রী দলের মিলিত জোট

১৬)  মিশরের সুয়েজ খালকে কেন্দ্র করে সুয়েজ সংকট তৈরি হয় —

ক) মিশরের শাসক কামাল আতাতুর্কের আমলে

খ) মিশরের রাজা মিনেসের আমলে

গ)  মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দুল গামাল নাসেরের আমলে

ঘ) আনােয়ার সাদাতের আমলে

উত্তর:- মিশরের রাষ্ট্রপতি আব্দুল গামাল নাসেরের আমলে

১৭)  সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানিতে ?

ক)  ব্রিটেনের শেয়ার ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ ।

খ) ফ্রান্সের শেয়ার ছিল শতকরা ১৫ ভাগ ।

গ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার ছিল শতকরা ২৫

ঘ) জার্মানির শেয়ার ছিল শতকরা ১৬ ভাগ ।

উত্তর:- ব্রিটেনের শেয়ার ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ ।

১৮) নাসেরের সুয়েজ খাল জাতীয়করণের ক্ষেত্রেইজরায়েলের প্রতিক্রিয়া ছিল —?

 ক) মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরের বিরােধিতা

 খ)মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরকে সমর্থন

গ)  মধ্যপ্রাচ্যে নাসেরের প্রাধান্য খর্বের দ্বারা ব্রিটেন ওফ্রান্সের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সাহায্য

 ঘ) সুয়েজ ক্যানাল কোম্পানিতে ইজরায়েলের প্রাপ্তির দাবি উত্থাপন

উত্তর:- মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদুল গামাল নাসেরের বিরােধিতা

১৯) কোন সরকারের পতন ঘটিয়ে কিউবায় কাস্ত্রো ক্ষমতায় আসেন ?

ক) বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে

খ) চে গুয়েভারা সরকারের পতন ঘটিয়ে

গ)মহম্মদ তারাকি সরকারের পতন ঘটিয়ে

ঘ)আয়াতুল্লা খােমেইনির সরকারের পতন ঘটিয়ে

উত্তর:- বাতিস্তা সরকারের পতন ঘটিয়ে


২০)  বিদেশের মাটিতে সােভিয়েত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি প্রথমনির্মিত হয় —

ক) ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে কিউবায় ।

খ) আরব সাগরের বুকে কিউবায় ।

গ) ভূমধ্যসাগরের বুকে কিউবায় ।

ঘ) বঙ্গোপসাগরের বুকে কিউবায়

উত্তর:- আরব সাগরের বুকে কিউবায় ।


২১) ন - দিন - দিয়েম ( Ngo - Dinh - Diem ) সরকারের পতনের
পর দক্ষিণ ভিয়েতনামের ভাগ্যনিয়ন্তা হয়ে ওঠে ?

ক)উত্তর ভিয়েতনামের সােভিয়েত অনুগ্রহপুষ্ট রাষ্ট্রপতি ।

খ) দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন অনুগ্রহপষ্ট রাষ্ট্রপতি ।

গ) রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গঠিত ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ।


ঘ)সােভিয়েত মদতে গঠিত জনগণতান্ত্রিক কতনামে সরকার ।


উত্তর:- দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন অনুগ্রহপষ্ট রাষ্ট্রপতি ।


২২)  মার্শাল টিটো ছিলেন ?

ক) চেকোশ্লোভাকিয়ার

খ) পােল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ।

গ)বালগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী

ঘ) যুগােশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী

উত্তর :- যুগােশ্লাভিয়ার প্রধানমন্ত্রী

২৩)  পেন্টাগন কোন দেশের সমর দপ্তর ?

ক) রাশিয়া

খ)  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ)  ইংল্যান্ড

ঘ) ফ্রান্স

উত্তর:- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

২৪)  প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্য গঠিত হয় —

ক) ন্যাটো

খ) আনরা

গ) মিডাে

 ঘ) অ্যানজাস

উত্তর:-  অ্যানজাস


২৫)  USSR ’ বলতে বােঝায় — ?

ক) United States of Soviet Republic

খ)  Union of Soviet Socialist Republic

গ) United States of Soviet Russia

ঘ) United States of Siberian Republic


উত্তর:- Union of Soviet Socialist Republic

২৬) সােভিয়েত রাশিয়া পশ্চিমি জোটের কাছে দ্বিতীয় রণাঙ্গন খােলার অনুরােধ রাখলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ?

ক) উইনস্টন চার্চিল দুমুখাে নীতি নেন ।

খ) ট্রুম্যান দুমুখাে নীতি নেন ।

গ) আইজেনহাওয়ার দুমুখাে নীতি নেন ।

ঘ)  মার্শাল দুমুখাে নীতি নেন

উত্তর:- উইনস্টন চার্চিল দুমুখাে নীতি নেন ।

২৭)  পােল সীমান্ত নিয়ে সােভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গেপশ্চিমি দেশগুলির মতপার্থক্য দেখা দেয় —?

ক) পটল্ডাম সম্মেলনে

খ) ইয়াল্টা সম্মেলনে

গ) বান্দুং সম্মেলনে

ঘ)  প্যারিস সম্মেলনে

উত্তর:- ইয়াল্টা সম্মেলনে

২৮) ইরানের পার্লামেন্টের নাম হল

ক) মজলিস

খ) ক্রেমলিন

গ) রাইখস্ট্যাগ

ঘ) হােয়াইট হাউস
উত্তর :- মজলিস

২৯)  ইয়াল্টা সম্মেলন আয়ােজিত হয় — ?

 ক) ক্রিমিয়ায়

 খ) রাশিয়ায়

গ)  তুরস্কে

ঘ) পারস্য

উত্তর:- ক্রিমিয়ায়

৩০)  ঠান্ডা লড়াইয়ের সূচনা হয়েছিল — ?

ক) ইউরােপ মহাদেশে

খ)  এশিয়া মহাদেশে ।

গ) আফ্রিকা মহাদেশে ।

ঘ) উত্তর আমেরিকা মহাদেশে

উত্তর:- ইউরােপ মহাদেশে

৩১)  ঠান্ডা লড়াই - এর ক্ষেত্রে দু - পক্ষের প্রধান শক্তিগুলি ছিল ?

 ক) ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন

খ) সােভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

গ) ব্রিটেন ও জার্মানি

ঘ)  জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর:- সােভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৯

পরিবেশ দূষণ বাংলা রচনা





ভূমিকা: লাখ লাখ বছর আগে পৃথিবীর বুকে যে প্রাণ ও প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন প্রকৃতি ও পরিবেশে সাম্য ছিল। এ ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশের। সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের পথ ধরেই মানুষ একটু একটু করে গড়ে তুলেছে নিজের পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতার বিবর্তন ফসল। মানুষ তার নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রতিভা, পরিশ্রম আর দক্ষতা দিয়ে সংগ্রহ করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন পদ্ধতি। অধিগত করেছে জীবন-বিকাশের নানা উপকরণ। তাই দিয়ে সে তার নিজের প্রয়োজন ও রুচি অনুযায়ী তৈরি করেছে তার পরিবেশ। এ পরিবেশের মধ্যেই তার বিকাশ, তার বিনাশের ইঙ্গিত।

পরিবেশ দূষণের কারণ: জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদ জল, মাটি, বায়ুর ওপর পড়েছে প্রচণ্ড চাপ। শুরু হয়েছে বন সম্পদ বিনষ্টের অমিত উল্লাস। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উদ্ভিদ জগৎ ও প্রাণী জগৎ। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য এসে পৌঁছেছে এক সংকটজনক অবস্থায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ক্রমবর্ধমান হারে শক্তি উৎপাদনের চাহিদা। শক্তি উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে নির্গত হয় মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-দূষক নানা রাসায়নিক দ্রব্য। দূষিত রাসায়নিক দ্রব্যই নানা দুরারোগ্য ব্যাধির দ্রুত প্রসারণের কারণ। এতে বায়ু-জল-খাদ্যদ্রব্য মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

বায়ু দূষণ ও নানা প্রতিক্রিয়া: দূষণের প্রকৃতি ও পদ্ধতির মধ্যেও রয়েছে বিভিন্নতা। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্যতম উপকরণ হলো বায়ু। সেই বায়ু দূষণ আজ বিশ্বজুড়ে। সবার স্বাস্থ্যের পক্ষেও এ এক গুরুতর সমস্যা। বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ নিয়ত বাড়ছে। ফলে আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অকাল-বর্ষণ, ঝড়জল, কুয়াশা এরই ফল। এ রকম আবহাওয়ায় চাষবাস হয় অনিশ্চিত। কুয়াশা আর তেল, কয়লা দহনের ফলে নির্গত গ্যাসের মিশ্রণে ধোঁয়াশার সৃষ্টি। তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা মারাত্মক। মাথাধরা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, ফুসফুস-ক্যানসার এ জাতীয় দূষণের ফল। বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত ধোঁয়া সূর্যের আলোর সংস্পর্শে এসে তৈরি করে আলোক রাসায়নিক ধোঁয়াশা। অক্সাইড ও
পানি দূষণ: পানি দূষণ আধুনিক সভ্যতার আরেক অভিশাপ। পৃথিবীর সমুদ্র, নদ-নদী, পুকুর, খালবিল ইত্যাদির পানি নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। নদীর তীরে গড়ে উঠেছে সমৃদ্ধ জনপদ, শহর। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক চটকল, কাপড়কল, কয়লা ধোলাইকল, চিনিকল, কাগজের কল, ভেষজ তেল তৈরির কারখানা, চামড়া পাকা করার কারখানা ইত্যাদি। এসব কলকারখানার আবর্জনা প্রতিনিয়ত নদ-নদীর পানি দূষিত করছে। প্রতি দিন বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল থেকে ক্ষার, অ্যামোনিয়া, সায়ানাইড, ন্যাপথালিন, ফিনল ও বিবিধ রাসায়নিক জল দূষক উপাদান এসে মিশছে। দূষণের কবলে বাংলাদেশের প্রায় সব নদীর পানি। পুকুর, খাল-বিল দূষণের জন্য নালা-নর্দমা, ঘরবাড়ির আবর্জনা ইত্যাদি দায়ী। এর থেকেই দূষিত হয় মাটি, দূষিত হয় পানীয় জল। সমুদ্র নদী খালবিল পুকুরের মাছেও নানারূপ দূষণ ঘটছে। ছড়িয়ে পড়ছে নানা রকমের সংক্রামক রোগ। মাঝেমধ্যে তা মহামারির আকার ধারণ করে। মৃত্যু এসে ছিনিয়ে নিয়ে যায় কত জীবন। এমনি করেই দিনের পর দিন জনস্বাস্থ্য বিনষ্ট হচ্ছে।

শব্দ দূষণ: শব্দ দূষণ এ যুগের এক গুরুত্বপূর্ণ, জলজ্যান্ত সমস্যা। দিন দিন এ সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। শহরে শব্দ দূষণের মাত্রা সর্বাধিক। প্রতিনিয়তই এখানে মোটরগাড়ির হর্ন, কলকারখানার বিকট আওয়াজ, বাজি পটকার শব্দ, রেডিও, টেলিভিশনের শব্দ, লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি, উৎসবের মত্ততা, মাইকে চড়া সুর, সব মিলেমিশে এক অপস্বর সৃষ্টির মহাযজ্ঞ চলছে। শব্দ দূষণের পরিণাম ভয়াবহ।শব্দ দূষণের উৎস অনেক এবং অনেক ধরনের। যথাযথ কারণ ছাড়া যত্রতত্র মাইক বা ক্যাসেট প্লেয়ার বাজানো বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো এবং হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো আইনগতভাবে বন্ধ করতে হবে। আবাসিক এলাকায় যাতে কলকারখানা গড়ে উঠতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।বন ও পরিবেশ আইন ১৯৯৭ অনুসারে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকাকে নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শব্দ দূষণ রোধে মানুষের সচেতনতা সবচেয়ে বেশি।ঢাকা এখন শব্দ দূষণের নগর। ২০০৩ সালে দুই স্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা ঢাকা শহর থেকে উঠিয়ে দেওয়ার পর বায়ু দূষণের পাশাপাশি শব্দ দূষণের মাত্রাও অপেক্ষাকৃত কমে যায়, ফলে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। কিন্তু তাদের সে স্বস্তি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শব্দ দূষণের ফলে যে অসুখ হয়, তার মেয়াদ দীর্ঘমেয়াদি হয় বলে মানুষ তৎক্ষণাৎ এর কুফল বুঝতে পারে না। তাই এদিকে মানুষের নজরও থাকে কম। এ কারণে ঢাকার আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন, কারখানার উচ্চশব্দ, মাইক ও সিডি প্লেয়ারের উদ্দাম আওয়াজ থেকে।

শব্দ দূষণের ভয়াবহতা: শব্দ দূষণ যে শুধু বিরক্তি সৃষ্টি করে তাই নয়, মানবদেহের আর্টারিগুলো বন্ধ করে দেয়, এড্রনালিনের চলাচল বৃদ্ধি করে এবং হূৎপিণ্ডকে দ্রুত কাজ করতে বাধ্য করে। ধারাবাহিক উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, শব্দ দূষণ স্নায়বিক বৈকল্যের কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধারাবাহিক শব্দ দূষণ শ্রবণশক্তি নষ্ট করে এবং স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি সাধন করে। তাঁদের মতে, রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষের হার্ট, কিডনি ও ব্রেনের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। শব্দ দূষণে শিশুদের মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। তারা শ্রবণশক্তি হারাচ্ছে, হারাচ্ছে তাদের একনিষ্ঠতা। এর প্রভাব তাদের লেখাপড়ার ওপর পড়ছে। সব ধরনের শব্দ দূষণের ফলেই মানুষের ঘুম, শ্রবণশক্তি, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। যেকোনো ধরনের শব্দ দূষণই গর্ভবতী মায়েদের ক্ষতি করে দারুণভাবে। শব্দ দূষণে মানুষের স্থায়ী মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।

তেজস্ক্রিয় দূষণ: পারমাণবিক যুদ্ধ, পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে তেজস্ক্রিয় দূষণের বিপদ সবচেয়ে বেশি নিহিত। ১৯৬৩ তে একটি মার্কিন নিউক্লিয় সাবমেরিন আটলান্টিক সাগরে হারিয়ে যায়। তা থেকে প্রচুর পরিমাণে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশে। নিউক্লিয় জ্বালানি উৎপাদনকেন্দ্রের আবর্জনা তার ক্ষতিকারক ক্ষমতা নিয়ে ৬০০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

দূষণের প্রতিকার: দূষণের ভয়াবহ পরিণামের কথা ভেবে বিশ্বের সভ্য মানুষ আজ আতঙ্কিত। কী উপায়ে এ ভয়ংকর সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব তা নিয়ে ভাবনা, পরিকল্পনার শেষ নেই। বায়ু দূষণের প্রতিকারের জন্য গ্রহণ করা হয়েছে কলকারখানার দহন-প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্গত দূষকের পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা। তা ছাড়া গ্রহণ করা হয়েছে বৃক্ষ রোপণ পরিকল্পনা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একমাত্র বনায়নের মাধ্যমেই প্রায় সব ধরনের পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। দূষিত পানিকে পানযোগ্য করে তুলতে হলে উপযুক্ত পরিস্রবণ দরকার। শব্দ দূষণের কুপ্রভাব কমানোর প্রধান উপায় হলো, শব্দবিরোধী কক্ষের ব্যবহার। প্রযুক্তিবিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে এমন কতকগুলো পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে পরমাণু চুল্লির আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নিউক্লিয় বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশে কোনো তেজস্ক্রিয় থাকবে না।

উপসংহার: পরিবেশ দূষণ সমস্যা নিয়ে আজ সব দেশই চিন্তিত। সভ্যতার অস্তিত্বই আজ এক সংকটের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। তাই ১৯৭২ সালে ‘মানুষের পরিবেশ’ নিয়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের অধিবেশন হয়ে গেল স্টকহোমে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ দিনব্যাপী ধরিত্রী সম্মেলন। বাংলাদেশের সংবিধানেও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এখানেও প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে। আজ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্যে যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।





সমাজসেবা বাংলা রচনা





ভূমিকা: মানুষ যেদিন থেকে গুহাবাস ছেড়ে সমাজবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জীব হিসেবে বসবাস করতে অভ্যস্ত হলো, সেদিন থেকে এক বৃহত্তর মঙ্গল কামনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার অঙ্গীকার গ্রহণ করলো। মানুষ আজ সভ্যতার চরম শিখরে আরোহন করছে। আর এটা মানুষের একক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়নি বরং যুগ যুগান্তর ধরে চলে আসা মানব সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থ অর্জনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সমাজজীবন মাত্রই সহযোগিতা, সহিষ্ণুতা, মনুষ্যত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ ও প্রতিফলন। সমাজ সেবার মাধ্যমে একটি কর্মমুখর, সচল ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব। সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যেই জীবনের যথার্থ সার্থকতা নিহিত। অপরের কল্যাণ কামনাকে প্রাধান্য দিয়ে নিজের স্বার্থকে ত্যাগ করার নামই সমাজসেবা।

সমাজসেবার বৈশিষ্ট্য: প্রখ্যাত কবি কামিনী রায় তাঁর ‘পরার্থে’ কবিতায় যথার্থই উল্লেখ করেছেন-

‘আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে,
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’সমাজে একসাথে বাস করতে গেলে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য ব্যক্তির উপর আপনা আপনিই বর্তায়। প্রকৃত সামাজিক জীব হিসেবে প্রত্যেক মানুষের উচিত স্ব স্ব অবস্থান থেকে যথাসাধ্যভাবে এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পালন করা। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির কল্যাণ কামনাই সমাজ সেবা। যে বিশ্বমানব গোষ্ঠির জন্য নিজেকে নিবেদিত রাখে সেই প্রকৃত মহৎ হৃয়ের মানুষ। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন- ‘আপনা রাখিলে ব্যর্থ জীবন সাধনা/জনম বিশ্বের তরে পরার্থে কামনা।’ পাশ্চাত্য মনীষী Ruskinবলেন- “There are three kinds of duties; duties towards God, duties towards Parents and duties towards mankind.”

সমাজ সেবার ধর্মীয় মূল্যবোধ: বিভিন্ন ধর্মে সমাজ সেবাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে। বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদ (স.) বলেছেন- ‘মানুষের মধ্যে তিনিই শ্রেষ্ঠ যিনি মানুষের উপকার করেন। মানব সেবা সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বলে গেছেন- ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। মানবতার কল্যাণ সাধনের মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহাপুরুষ বুদ্ধদেব সংসার জীবন, সুখ-ঐশ্বর্য ও সাম্রাজ্য সব কিছুর সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে পথে বের হয়েছিলেন। বিভিন্ন ধর্ম শাস্ত্র-, প্রবিত্র কুরআনে, রামায়ন-মহাভারতে, মহাকাব্যে, পুরাণে সমাজ সেবা তথা জনসেবাকেই শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

সমাজ সেবার গুরুত্ব: পারস্য কবি শেখ সাদী বলে গেছেন-

সেজদা ও তসবিহ দেখে, খোদ এলাহি ভুলবে না
মানবসেবার কুঞ্জি ছাড়া স্বর্গদ্বার খুলবে না’সুতরাং একথা অকপটে বলা যায় যে, ইহলৌকিক ও পরলৌকিক মুক্তির পথ নিশ্চিত করতে সমাজ সেবার গুরুত্ব অপরিসীম। মানবতার সেবা তথা সমাজসেবার মাধ্যমেই জীবনের প্রকৃত আত্মতৃপ্তি লাভ করা যায়। সমাজসেবার মহান ব্রতে সবাই একতাবদ্ধভাবে এগিয়ে আসলে সমাজের রূপই পাল্টে যায়, যার প্রভাব উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অন্যের কল্যাণ কামনায় নিয়োজিত করতে পারার মধ্যেই মানুষের জীবন সুখময় ও আনন্দময় হয়ে ওঠে। যে জাতি যতো সমৃদ্ধ ও উন্নত তাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ও সমাজসেবার প্রবণতা ততো বেশি।

সমাজসেবার ধরণ ও পদ্ধতি: রজনীকান্ত সেন সমাজসেবার পরিচয় ও পদ্ধতি উল্লেখ করে বলেছেন:

‘অন্নহীনে অন্নদান, বস্ত্রহীনে বস্ত্রদান তৃষ্ণাতুরে জল দান,
ধর্ম ধর্মহীনে, মুর্খজনে বিদ্যাদান,
বিপন্নে আশ্রয়, রোগীর ঔষধ দান,
ভয়ার্তে অভয়, গৃহহীনে গৃহদান,
অন্ধেরে নয়ন, পীড়াতে আরোগ্যদান,
শোকার্তে সান্তনা, স্বার্থ শূণ্য হয়
যদি এ দ্বাদশ দান
স্বর্গের দেবতা নহে দাতার সমান’।সমাজে কেউ বিত্তবান, আবার কেউ অসহায়। যারা সম্পদশালী তারা আর্থিকভাবে সাহায্য দিয়ে সমাজের দীন-দুঃখীদেরকে সাহায্য করতে পারে। আর যাদের সে সামর্থ্য নেই, তারা সান্তনা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে, অসুস্থকে সেবা দিয়ে, সাধ্যমতো শ্রম দিয়ে অপরের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে পারে। সমাজসেবা করতে যখন বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের লোক একতাবদ্ধ হয় তখন সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে সঙ্গতি রেখে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা ও স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যথা-অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, বন্যা, ভূমিকম্প-এসবের সময় জনসাধারণের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে এবং পূর্ব থেকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রাজনৈতিক দল ও সমাজ সেবা: সমাজ সেবার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর এক নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সমাজসেবা করার এক অন্যতম মাধ্যম হতে পারে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলগুলো জনবল, প্রশাসনিক ও আর্থিক সব দিক দিয়েই ক্ষমতাসম্পন্ন। তারা যদি ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে এসব ক্ষমতাকে কাজে লাগায় তাহলে সমাজে মানুষ উপকৃত হবে। আর তারা যেহেতু জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন সেহেতু জনগণের কল্যাণসাধনা তাদের ক্ষমতা অর্জনের প্রধান ব্রত হওয়া উচিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ প্রতিশ্রুতিমূলক কথাবার্তা আর আশার আলো দেখিয়ে ক্ষমতা অর্জন এবং অধীকৃত ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার দিকেই তাদের প্রাণান্ত প্রচেষ্ঠা।

সমাজসেবার নিয়মিত চর্চা: সভা-সমাবেশ, সিম্পোজিয়াম, পোস্টার ছাপানোসহ বিভিন্নভাবে জনমনে সমাজসেবা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সমাজ সেবা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা একটি প্রথা। যুগের বিবর্তনে সমাজ ক্রমশ বিকাশ ও উন্নতি লাভ করছে। সমাজ সেবার প্রবণতা যদি প্রাচীন আমল থেকে প্রচলিত না থাকতো তাহলে বর্তমানে আমরা এমন সুসভ্য সমাজজীবন উপভোগ করতে পারতাম না।

মহান আদর্শ: সমাজসেবার ক্ষেত্রে বাংলার ক্ষুদিরাম, নূর হোসেন, হাজী মুহম্মদ মহসীন, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, আফ্রিকার বর্ণপ্রথা বিরোধী বিশ্বখ্যাত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, আর্জেন্টিনার চে গুয়েভার প্রমুখ মহান নেতার নাম উল্লেখযোগ্য। জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার মাধ্যমেই ইতিহাসে তারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তারা শুধুমাত্র অর্থদিয়ে নয়, নিঃস্বার্থভাবে জীবন দিয়ে মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করে গেছেন। এসব মহৎপ্রাণ ব্যক্তির জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সমাজসেবায় আমরা নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে পারি।

আন্তর্জাতিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা:বিশ্বব্যাপী মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পৃথিবীর সবদেশে সমাজসেবার ধারণা জনপ্রিয়তা লাভ করছে। সামাজিক সুযোগ-সুবিধাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বিশ্বব্যাপী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে OIC, RED CRESENT SOCIETY, UNO, UNICEF, UNESCO প্রভৃতি সংস্থার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন এনজিও, রামকৃষ্ণ মিশন, বাঁধন ইত্যাদি।

উপসংহার: সমাজসেবায় মনুষ্যত্বের বিকাশ লাভ হয়। সমাজসেবার মাধ্যমে একজন অপর জনের কাছাকাছি আসতে পারে। ফলে সমাজে মানুষের সাথে মানুষের আত্মার বন্ধন গড়ে ওঠে। নিঃস্বার্থ সমাজসেবা মানুষের অনিন্দ্য সুন্দর গুণাবলির একটি। প্রত্যেক মানুষের উচিত নিজের ভিতরে লুকিয়ে থাকা হিংসা-বিদ্বেষ, কপটতা-ভন্ডমি, এসব কুপ্রবৃত্তিকে শক্ত হাতে দমন করে সমাজসেবার মহান আদর্শে নিজেকে পরিচালিত করা।






মাতা-পিতার প্রতি কর্তব্য বাংলা রচনা




ভূমিকা: পৃথিবীতে হাজারও সম্পর্কের মাঝে সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ সম্পর্কের বন্ধন গড়ে ওঠে সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। যারা আমাদেরকে এই পৃথিবীতে এনে এর অফুরন্ত সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ করে দিল তারা আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবা-মা। খুব অসহায় অবস্থায় একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাঝে বেড়ে ওঠে সন্তান। সুতরাং সন্তানের জীবনে পিতামাতার অবদান অনস্বীকার্য। পিতা-মাতার এই অবদান পরিমাপ করা বা এর মূল্য নির্ণয় করা কোনো সন্তানের পক্ষেই পুরোপুরিভাবে সম্ভব নয়। সন্তানের জন্য পিতামাতা একমাত্র নিরাপদ স্থান। সুতরাং প্রত্যেক সন্তানের উচিত মাতা-পিতার প্রতি তাদের যে কর্তব্য তা সঠিকভাবে পালন করা এবং সব সময় তাদের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা।

মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য: সন্তানের জন্য আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছে তার মাতাপিতা। একারণে সন্তানের জীবনে মাতা-পিতার গুরুত্বও সবচেয়ে বেশি। তাদের অধিকার প্রদান করাই সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সন্তানদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে সব থেকে প্রথমে যেটা আসে তা হলো পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাবা-মা’র সন্তুষ্টি অনুযায়ী সন্তানের পথ চলা উচিত। প্রত্যেক সন্তানের উচিত সব সময় পিতা-মাতার বাধ্য থাকা এবং তাদের আদেশ নিষেধ মেনে চলা। বাবা-মায়ের যখন বার্ধক্য চলে আসে তখন তারা নবজাতক শিশুর মতোই অসহায় হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে বোঝা না ভেবে তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা সন্তানের দায়িত্ব। ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে- ‘যে ব্যক্তি বৃদ্ধ অবস্থায় তার বাবা-মাকে পেল কিন্তু তাদের সেবা-যত্ন করল না তার মতো হতভাগা আর কেউ নেই।’ পাশ্চাত্য মনীষী রাস্কিন মনে করেন পৃথিবীতে মানুষের তিনটি কর্তব্য আছে-‘‘Duty towards God, duty towards parents and duty towards mankind’’. ফলে পেশাগত সফলতা টিকিয়ে রাখতে এবং তথাকথিত অভিজাত সমাজে নিজের মূল্যবোধ বজায় রাখতে গিয়ে সন্তানের কাছে তার নিজের বৃদ্ধ বাবা-মার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। এই অপসংস্কৃতির হাওয়া আমাদের দেশেও বইছে। আমাদের শিক্ষিত সচেতন সমাজের উচিত এটা রোধ করা। তাই পিতা-মাতা মনে কষ্ট পায় এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়।

বিভিন্ন ধর্মে পিতামাতার স্থান: ধর্ম যাই হোক সন্তান এবং পিতা-মাতার মধ্যকার ভালোবাসার অনুভূতিগুলো একই রকম ও অকৃত্রিম। প্রত্যেক ধর্মেই মাতাপিতাকে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মের পবিত্র কুরআন এবং হাদীস শরীফে মাতা-পিতাকে সর্বোচ্চ আসনে ভূষিত করে বলা হয়েছে। হাদিসে আছে- ‘পৃথিবীতে যদি সৃষ্টিকর্তা ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করার হুকুম দেওয়া হতো, তবে তা হতো মাতা-পিতাকে সেজদা করা।’ হিন্দু ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ আছে ‘জননী স্বর্গ অপেক্ষা গরীয়সী। পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাই পরম তপস্যার ব্যক্তি।’ খ্রিস্টান ধর্মেও একই রকমের কথা উল্লেখ আছে। বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটকে বলা হয়েছে ‘মাতাপিতার সেবা করাই সবচেয়ে উত্তম’।

মাতাপিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত: ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীতে মরেও যারা অমর এবং চিরস্মরণীয় হয়ে মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন। তাঁরা সকলেই মাতৃ ও পিতৃভক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী রাসূল (স.) শৈশবেই তাঁর মাকে হারিয়ে দুধমাতা হালিমার স্নেহ-মমতায় বেড়ে ওঠেন। দুধমাতা হলেও তিনি তাঁকে নিজের মায়ের মতোই ভালোবাসতেন। হযরত বায়েজীদ বোস্তামি ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ইতিহাসে মাতৃভক্তদের তালিকায় চিরকালই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাম পিতৃসত্ব পালনের উদ্দেশ্যে চৌদ্দবছর বনবাস কাটিয়েছিলেন। হযরত আব্দুল কাদির জিলানী, হাজী মুহম্মদ মহসীন, জর্জ ওয়াশিংটন ও আলেকজান্ডার প্রমুখ মহান ব্যক্তিগণ মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইতিহাসে যুগ-যুগান্তর ধরে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।

পিতা-মাতার প্রত্যাশা পূরণ: সন্তানের বেড়ে ওঠা, তার যথাযথ লালন-পালন, তাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলা এসব ঘিরেই পিতা-মাতার জগৎ। পিতামাতা সন্তানের জন্য সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেন। সব বাবা-মার একটাই প্রত্যাশা-‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’। সন্তানের সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠার পেছনে বাবা-মার নিরলস সাধনা বিরাট ভূমিকা পালন করে। প্রত্যেক মাতা-পিতাই চান তাদের ছেলেমেয়েরা সুসন্তান হিসেবে সমাজে মাথা তুলে দাঁড়াক, সকল প্রকার অন্যায় ও মিথ্যাকে প্রতিহত করার ক্ষমতা অর্জন করুক। এসব প্রত্যাশা পূরণ করার মাধ্যমেও তাদের প্রতি কর্তব্য পালন করা যায়।

অনুগত ও সন্তুষ্ট থাকা: সব রকম পরিস্থিতিতে পিতামাতার প্রতি অনুগত থাকতে হবে এবং বিরক্ত হওয়া যাবে না। সন্তান যতো বড় মাপের মানুষই হোক না কেনো বাবা-মার কাছে সে শুধুমাত্র তাদের সন্তান। বাবা-মা তাদের সাধ্যমতো আমাদেরকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কখনও কিছু দিতে ব্যর্থ হলে তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না। সন্তানের কাছ থেকে তারা সন্তানস্বরূপ বিনয়ী আচরণই আশা করেন। পিতামাতা সন্তানের সর্বোত্তম বন্ধু তাদেরকে শান্তিতে এবং চিন্তামুক্ত অবস্থায় রাখা সন্তানের কর্তব্য।

পিতামাতার আদর্শ ও সম্মান বজায় রাখা: প্রত্যেক সন্তানেরই উচিত তাদের পিতামাতার আদর্শ ও ন্যায়নীতি অনুসরণ করে চলা। সমাজে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ করা উচিত নয়। পিতামাতার ভালোবাসা এতটাই গভীর যে সন্তান বিপথগামী হলেও তাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে না। তাই সব সময় তাদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। তবে পিতামাতা যদি ধর্মবিরোধী কোনো কাজ যেমন-শিরক ও কুফরে লিপ্ত হতে বলে তবে সে ক্ষেত্রে তাদের নির্দেশ মানা যাবে না। সমাজে যারা পিতা-মাতার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মী তাদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে পিতামাতার সম্মান বৃদ্ধি করা যায়।

সন্তান ও পিতামাতার মধ্যকার সম্পর্ক: সন্তান তার পিতামাতার সাথে সব সময় সদাচরণ করবে এবং কোমল কণ্ঠে ও মার্জিত ভাষায় কথা বলবে। কোনো অবস্থাতেই পিতামাতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে পিতা তার ভরণ-পোষণ ও লালন পালনের ব্যবস্থা করে। মাতৃদুগ্ধ সন্তানের আহারের সংস্থান করেন। সুতরাং সন্তানের সাথে পিতামাতার রক্তের এবং নাড়ীর বন্ধন। বিপথগামীতা এবং অবাধ্যতার দ্বারা এই বন্ধনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা উচিত নয়।

মৃত্যুর পর তাদের জন্য করণীয়: মৃত্যুর পর পিতামাতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তিকামনা করে সন্তানের দোয়া করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন- ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ীয়ানী সাগীরা’ অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! আমার পিতা-মাতার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন’। মৃত্যুর পূর্বে পিতামাতার কোনো ঋণ বা দেনা থাকলে তা পরিশোধ করা সন্তানেরই কর্তব্য। ঋণ পরিশোধ করলে পিতামাতা ও সন্তান উভয়েই পরকালে লাভবান হবে। পূর্বে কারও সাথে ওয়াদাবদ্ধ হলে তা পূরণ করা সন্তানের দায়িত্ব।

উপসংহার: ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী- মাতা-পিতার সন্তুষ্টি অর্জন ব্যতীত কোনো ব্যক্তি বেহেশতে স্থান পাবে না। পিতামাতার সাথে নফরমানী করলে পার্থিব জীবনেও লাঞ্চনার স্বীকার হতে হবে এবং পরকালেও কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। অন্যান্য ধর্মেও পিতামাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ব্যাপারে কঠোর বাণী উচ্চারিত হয়েছে। সুতরাং ইহকালীন এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করতে হলে পিতামাতার প্রতি কর্তব্যগুলো ঠিকভাবে পালন করতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে প্রত্যেক বাবা-মা তার সন্তানের ভালো চান। সুতরাং তাদেরকে মেনে চলতে হবে।





কৃষিকাজে বিজ্ঞান বাংলা রচনা




ভূমিকা: বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ধারাবাহিকতায় কৃষির বিবর্তন মানুষের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। কৃষি নির্ভরশীলতা, কৃষি উৎপাদন আজ এক অনন্য মাত্রায় স্থান পেয়েছে। বিজ্ঞানের জয়জয়কারের মাঝে সনাতনী কৃষি ব্যবস্থা আবির্ভূত হয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থায়। এই বিবর্তনের সুফল যেমন কৃষক ভোগ করছে তেমনি সাধারণ মানুষ। যা একশ বছর আগের মানুষের কল্পনাতেও ছিল না। পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশা কৃষিতে আধুনিক বিজ্ঞানের ছোঁয়া ফসলের সংরক্ষণ ব্যবস্থার এক বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধন করেছে। যা আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম বিস্ময়।

কৃষির সনাতন পদ্ধতি: কৃষি সরাসরি মানুষের অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত বিষয়। আদিম সমাজ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত কৃষির গুরুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে টিকে থাকার প্রয়োজনে। প্রয়োজন যেমন উদ্ভাবন করতে অনুপ্রাণিত করে তেমনি আদিম সমাজের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কৃষির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে তারা চাষাবাদ করত। প্রাথমিক অবস্থায় গরু, ঘোড়া, মহিষ প্রভৃতি জন্তুর সাহায্যে লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হতো। আবহাওয়া নির্ভরশীল কৃষি ব্যবস্থার কারণে প্রচ- খরায় ও অতিবৃষ্টিতে ফসলহানির কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। একই ফসল একই জমিতে ধারাবাহিক উৎপাদনের ফলে জমির উর্বরতা হ্রাস পেত। ভাল ও উন্নত বীজের গুণগত মান নির্ণয় করা যেত না, যে কারণে ফসলের উৎপাদন ভাল হত না। বৃষ্টির উপর একক নির্ভরশীলতার কারণে কৃষকের ফসল পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। সনাতন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণে মাঠের ফসলের উপর বেঁচে থাকার নির্ভরতা ছিল। যার মাধ্যমে কৃষক ও কৃষির প্রাচীন পদ্ধতিতে হতাশার প্রতিচ্ছবি সহজেই অনুমেয়।

বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা: মানুষের খাদ্যের যোগান হয় কৃষি থেকে। আজ বিজ্ঞানের কল্যাণে কৃষিকাজের সনাতনী পদ্ধতির পরিবর্তে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে এবং উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের সূচনা ঘটে। তখন থেকে কৃষকেরা আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির সাথে পরিচিত হয়। লাঙ্গল-জোঁয়াল, গরু-মহিষ এর পরিবর্তে কৃষকের হাতে আসে কলের লাঙ্গল, ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার। সনাতনী সেচ পদ্ধতি ও প্রাকৃতিক বৃষ্টি নির্ভরতার বিপরীতে কৃষকের হাতে এসেছে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ও কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর মত যন্ত্র। উন্নতমানের বীজ উৎপাদন ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এর মান নিয়ন্ত্রণসহ সঠিক বীজ নির্বাচন বিজ্ঞানের অন্যতম সাফল্য যা এখন কৃষকের হাতের নাগালে। রাসায়নিক সার আবিষ্কার ফসলের অধিক ফলনের ক্ষেত্রে এনেছে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজ: উন্নত বিশ্বে কৃষিকাজ একটি সম্মানজনক পেশা। কৃষির সাথে সম্পৃক্তরা সমাজের বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। কারণ কৃষির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই তাদেরকে উন্নত জীবনযাত্রা দিয়েছে, কমিয়েছে পরনির্ভরশীলতা। মাটির উর্বর ক্ষমতা নির্ণয় থেকে শুরু করে ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের কৃষি ব্যবস্থাকে অনন্য মাত্রায় স্থান করে দিয়েছে। বর্তমানে তাদের দেশের কৃষিকাজ সম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় একদিকে শ্রমশক্তি কম লাগছে, অন্যদিকে সময়ও কম অপচয় হচ্ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে শীতপ্রধান দেশে তাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপাদন হচ্ছে। মরুভূমিতে বালি সরিয়ে মাটি ফেলে সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে। কোনো কোনো উন্নত দেশে একটি মেশিনে দৈনিক ১০০ একর জমি চাষ হচ্ছে। জাপানের জমির উর্বরতা বাংলাদেশের জমির চেয়ে ৩গুণ কম হওয়া স্বত্তেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে তারা বাংলাদেশের চেয়ে ৬ গুণ বেশি ফসল পায়।

অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি: বিজ্ঞান নির্ভর কৃষি ব্যবস্থার অন্যতম চমক হলো অত্যাধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। যা মানুষের সময় ও শ্রম বাঁচিয়েছে বহুগুণে। এরমধ্যে কয়েকটি হলো-

মোয়ার (শস্য ছেদনকারী যন্ত্র), রূপার (ফসল কাটার যন্ত্র), বাইন্ডার (ফসল বাধার যন্ত্র), থ্রেশিং মেশিন (মাড়াই যন্ত্র), ম্যানিউর স্প্রেডার (সার বিস্তারণ যন্ত্র), ট্রাক্টর (চাষাবাদ করার যন্ত্র)।

এছাড়াও রয়েছে মাটি পরীক্ষা করা, মাটির সাথে মিলিয়ে বীজ উৎপাদন করার আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। আর কৃষি যন্ত্রের সর্বশেষ ব্যবহার হলো আধুনিক বিজ্ঞানের বিস্ময় কম্পিউটার। এর মাধ্যমে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তাই কৃষি এখন কম্পিউটারাইজড বিজ্ঞানের অংশ।


কৃষিতে বিজ্ঞানের ক্ষতিকর প্রভাব: বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার পাশাপাশি কৃষিতে কিছু ক্ষতিসাধন হচ্ছে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিকাজের মাধ্যমে। তাই বলে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই বরং সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে ক্ষতিকর বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন:অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার কৃষি জমির স্বাভাবিক উর্বরতা কমাচ্ছে যা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং পানিতে মিশে গিয়ে মৎস সম্পদেরও ক্ষতি করছে। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে কৃত্রিম ঘরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে সবুজ শাক-সবজি চাষাবাদ গ্রিন হাউজ ইফেক্টের কারণে বায়ুম-লের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এসব সমস্যা একসময় বড় আকার ধারণ করে রূপ নিচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে, যাতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকরা। তাই ইতিবাচক ব্যবহারই পারে অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতি থেকে বাঁচাতে।

উপসংহার: মানব কল্যাণে বিজ্ঞানের ব্যবহারের অন্যতম প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো কৃষিবিজ্ঞান। মানুষের উদ্ভাবনী শক্তি কৃষিকে আজ এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। সনাতনী পদ্ধতি থেকে কম্পিউটার এই বিবর্তনের সবচেয়ে পুরনো সাক্ষী হিসেবে কৃষি তার আদিম নামেই পরিচিত। স্বল্প জায়গায় অধিক ফসলের প্রয়োজনীয়তা তাই কৃষিকে নিয়ে গেছে বিজ্ঞানীর ল্যাবরোটরিতে। যেখানে উন্নয়ন হয়েছে কৃষি ও কৃষকের পরিবর্তন হয়েছে পদ্ধতির। উঠে এসেছে আধুনিক সব ব্যবস্থাপত্র যার মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ।