রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনীমুলক রচনা | Premendra Mitra

 

প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনীমুলক রচনা | Premendra Mitra

 


জন্ম ও বংশ-পরিচয় : প্রেমেন্দ্র মিত্র ১৯০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে তাঁর পিতার কর্মস্থল বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার রাজপুরে ৷ তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগরের সম্ভ্রান্ত মিত্র বংশের সন্তান ৷ তাঁর পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্র এবং তাঁর মাতার নাম সুহাসিনী দেবী ৷ খুব অল্প বয়সেই তিনি মাতৃহারা হন |



সাহিত্যকর্ম :  প্রেমেন্দ্র মিত্র এক সময় কলকাতার ২৮ নম্বর গোবিন্দ ঘোষাল লেনের মেসবাড়িতে বাস করতেন ৷ পরবর্তীকালে পড়াশোনার জন্য তিনি ঢাকাতে থাকতে শুরু করেন ৷ একবার ১৯২৩ খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে এসে ওই মেসবাড়ির ঘরের জানলার ফাঁকে একটি পোস্টকার্ড আবিষ্কার করেন । চিঠিটা পড়তে পড়তে তার মনে দুটো গল্প আসে । সেই রাতেই গল্পদুটো লিখে পরদিন পাঠিয়ে দেন জনপ্রিয় পত্রিকা প্রবাসীতে । ১৯২৪ সালের মার্চে প্রবাসীতে 'শুধু কেরানী' আর এপ্রিল মাসে 'গোপনচারিণী' প্রকাশিত হয়, যদিও সেখানে তার নাম উল্লেখ করা ছিল না। সেই বছরেই কল্লোল পত্রিকায় 'সংক্রান্তি' নামে একটি গল্প বেরোয়। এরপর তার মিছিল(1928) এবং পাঁক(১৯২৬) নামে দুটি উপন্যাস বেরোয়। পরের বছর বিজলী পত্রিকায় গদ্যছন্দে লেখেন 'আজ এই রাস্তার গান গাইব' কবিতাটি।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম কবিতার বই ‌'প্রথমা' প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে। বৈপ্লবিক চেতনাসিক্ত মানবিকতা তার কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য | প্রথম জীবনে তার ছোটোগল্পের তিনটি বই বেরোয় - 'পঞ্চশর', 'বেনামী বন্দর' আর 'পুতুল ও প্রতিমা'। মানুষের সম্পর্কের ভাঙ্গা গড়া, মনের জটিলতা, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ব্যথা বেদনার কথা প্রকাশে প্রেমেন্দ্র মিত্র ছিলেন স্বকীয়তায় অনন্য |

       

কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য :  প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রথম বাঙালি সাহিত্যিক যিনি নিয়মিত কল্পবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান-ভিত্তিক গল্প-উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন। তার বিজ্ঞান সাহিত্য রচনার শুরু ১৯৩০ সালে। রামধনু পত্রিকায় ক্ষিতীন্দ্রনারায়ন ভট্টাচার্য তাকে ছোটদের জন্যে লিখতে অনুরোধ করলে 'পিঁপড়ে পুরান' কাহিনীটি লেখেন। এটিই তার প্রথম কল্পবিজ্ঞান রচনা[৫]। 'কুহকের দেশে' গল্পে তার কল্পবিজ্ঞান ও এডভেঞ্চার কাহিনীর নায়ক মামাবাবুর আত্মপ্রকাশ। ১৯৪৮ সালে 'ড্র্যাগনের নিঃশ্বাস' বের হলে মামাবাবু পাঠক মহলে জনপ্রিয় হন। তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান গল্প ও উপন্যাসের নাম নিচে দেওয়া হল:

ছোটোগল্প: কালাপানির অতলে ,  দুঃস্বপ্নের দ্বীপ , যুদ্ধ কেন থামল , মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী , হিমালয়ের চূড়ায় , আকাশের আতঙ্ক , অবিশ্বাস্য , লাইট হাউসে  ইত্যাদি ।

বড়ো গল্প ও উপন্যাস: পিঁপড়ে পুরাণ, পাতালে পাঁচ বছর, ময়দানবের দ্বীপ, শুক্রে যারা গিয়েছিল, মনুদ্বাদশ, সূর্য যেখানে নীল।

এছাড়া আকাশবাণীর উদ্যোগে লিখিত "সবুজ মানুষ" নামে একটি চার অধ্যায়ের বারোয়ারি কল্পবিজ্ঞান কাহিনির প্রথম অধ্যায় রচনা করেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। অবশিষ্ট তিনটি অধ্যায় লিখেছিলেন অদ্রীশ বর্ধন, দিলীপ রায়চৌধুরী ও সত্যজিৎ রায়।




চলচ্চিত্র জগৎ :  পথ বেঁধে দিল, রাজলক্ষ্মী (হিন্দি), নতুন খবর, চুপি চুপি আসে, কালোছায়া, কুয়াশা, হানাবাড়ী, তাঁর পরিচালিত ছবি। এছাড়াও তিনি বহু সিনেমার কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও উপদেষ্টা ছিলেন।


 পুরস্কার : রবীন্দ্র পুরস্কার ,
আকাদেমি পুরস্কার ,পদ্মশ্রী ,
দেশিকোত্তম


মৃত্যু :  কলকাতায় পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণে অসুস্থ হয়ে ৩ মে, ১৯৮৮ মারা যান। ভগ্নস্বাস্থ্যেও সৃষ্টিশীল ছিলেন ১৯৮৭ পর্যন্ত।






শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা । Tarashankar Bondopaddhay

 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা । Tarashankar Bondopaddhay

জন্ম ও শিক্ষা : ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রভাবতী দেবী। তাদের বাড়িতে নিয়মিত কালী ও তারা মায়ের পুজো হতো। তার বাবা মা দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ। তারাশঙ্করের জন্মগ্রহণ করার আগে প্রভাবতী দেবী ও হরিদাসের জ্যেষ্ঠপুত্রের মৃত্যু হয়। তাই তাদের পরিবারে তারা মায়ের পুজো শুরু হওয়ার ঠিক দশমাস পরে তারাশঙ্করের জন্ম হয়৷তিনি মায়ের দয়ায় জাত হয়েছিলেন বলেই তার নাম রাখা হয় তারাশঙ্কর। তারাশঙ্কর ছোটবেলায় মাদুলি, তাবিচ, কবচ এবং বহু সংস্কারের গন্ডিতে বড় হয়ে ওঠেন। আসলে সততা, ধর্মভাব, ভক্তি ও ধর্মশাস্ত্রীয় বিশ্বাস তিনি পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। যদিও পরবর্তী জীবনে এ সব বিশ্বাস নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা তার মনকে আলোড়িত করেছে। প্রগতিশীল চিন্তার শরিক হয়েছেন। তারাশঙ্করের বাল্যজীবন কাটে গ্রামের পরিবেশেই গ্রামের স্কুল থেকে।

তারাশঙ্কর লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে ১৯১৬ সালে এন্ট্রান্স (প্রবেশিকা) পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে এবং পরে সাউথ সুবার্বন কলেজে (এখনকার আশুতোষ কলেজ) ভর্তি হন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। স্বাস্থ্যভঙ্গ এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের কারণে তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কারণে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেপ্তার হলেও পরে মুক্তি পেয়ে যান। এরপর নিজেকে সাহিত্যে নিয়োজিত করেন। ১৯৩২ সালে তিনি প্রথমবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করেন। একই বছরে তার প্রথম উপন্যাস "চৈতালী ঘূর্ণি" প্রকাশ পায়।

তারাশঙ্কর ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাগবাজারে একটি বাড়ি ভাড়া করে নিজের পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসেন ও ১৯৪১-এ তিনি বরাহনগরে চলে যান। তারাশঙ্কর ১৯৪২-এর বীরভূম জেলা সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এবং ফ্যাসিবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংগঠনের সভাপতি হন।[২] তিনি ১৯৭০ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।



রাজনৈতিক জীবন : তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেলও খাটেন। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদের সদস্য হন।



লেখার বৈশিষ্ট্য    : তার লেখায় বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তার লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তার অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা, নগর জীবনের বিকাশের কথা।

চলচ্চিত্র : তারাশঙ্করের উপন্যাস, গল্প ও নাটক নিয়ে চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ও তারাশঙ্করের জলসাঘর এবং অভিযান উপন্যাসের সফল চিত্ররূপ দিয়েছেন। তার যেসব রচনা চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে: জলসাঘর , অভিযান ইত্যাদি ।





রচিত গ্রন্থাবলি :  উপন্যাস , নিশিপদ্ম ,চৈতালি ঘূর্ণি ,পাষাণপুরী ,নীলকণ্ঠ ,ধাত্রীদেবতা ,গণদেবতা ,মন্বন্তর ,পঞ্চগ্রাম ,কবি ,অভিযান ,হাঁসুলীবাঁকের উপকথা ,



ছোটোগল্প :  জলসাঘর , প্রতিধ্বনি ,কামধেনু , বিষপাথর
 




পুরস্কার : ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে “রবীন্দ্র পুরস্কার” লাভ করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে “সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার” পান। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চীন সরকারের আমন্ত্রণে চীন ভ্রমণে যান। এর পরের বছর তিনি অ্যাফ্রো-এশিয়ান লেখক সঙ্ঘের কমিটি গঠনের প্রস্ততিমূলক সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন গমণ করেন। এর পর তিনি তাসখন্দে অনুষ্ঠিত অ্যাফ্রো-এশিয়ান লেখক সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তারাশঙ্কর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন।

শরৎস্মৃতি পুরস্কার , জগত্তারিণী স্মৃতিপদক , রবীন্দ্র পুরস্কার , সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার , জ্ঞানপীঠ পুরস্কার , পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ উপাধি



মৃত্যু : সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১ সালে ।

 

 

 

 

শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও

 

উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও

 



প্রশ্ন :-  উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও


উত্তর:- স্বাধীন রুপমূল : রুপমূলের মধ্যে কিছু রুপমূল আছে যেগুলো মুক্ত বা স্বাধীন । এই রূপমুল গুলো একা একা ভাষায় ব্যাবহৃত হতে পারে । এই ধরনের রুপমূল গুলোকে স্বাধীন রুপমূল বলে । একটা স্বাধীন রুপমূল কখন ও নিজে একটা পদ হতে পারে । যেমন - মানুষ , বেড়াল , ফুল ইত্যাদি ।  আবার কোনো কোনো শব্দে জায়গা নেয় একাধিক স্বাধীন রুপমূল । সেখানে দুটো রুপমূলেরই স্বাধীন অস্তিত্ব থাকে । যেমন -


 সম্পূর্ন পদ = স্বাধীন রুপমূল + স্বধীন রুপমূল

রাজপথ = রাজ + পথ ।

জনশূন্য = জন + শূন্য ।



পরাধীন রুপমূল : রুপমূলের মধ্যে আবার কিছুরুপমূল আছে যারা স্বধীন রুপমূলের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে । এই রুপমূল গুলোকে সবন্ত্র ভাবে বা একা একা ভাষায় ব্যাবহার করা যায় না । এই রুপমূল গুলোকে পরাধীন রুপমূল বলে ।

যেমন -

সম্পূর্ণ পদ = স্বধীন রুপমূল + পরাধীন রুপমূল

মানুষকে = মানুষ + কে

বেড়ালগুলো = বেড়াল + গুলো

ফুলওয়ালা = ফুল + ওয়ালা

দেশজ = দেশ + জ

উপরের উদহারন গুলোতে স্বধীন রুপমূল আগে বসেছে আর পরাধীন রুপমূল পড়ে বসেছে । এর বিপরীত অবস্থান ও এক্ষেত্রে হতে পারে । যেমন -

সম্পূর্ণ পদ = পরাধীন রুপমূল + স্বাধীন রুপমূল

অমানুষ                  অ                        মানুষ

বিদেশ                    বি                          দেশ



 

শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনীমূলক রচনা । Bibhutibhushan Bandyopadhyay Biography Bengali





জন্ম ও পরিবার    :  বিভূতিভূষণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচরাপাড়ার নিকটবর্তী ঘোষপাড়া-মুরাতিপুর গ্রামে নিজ মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ'র নিকট বারাকপুর গ্রামে। তবে তাঁদের আদিবাস ছিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত পানিতর গ্রাম৷ তাঁর পিতামহ ছিলেন কবিরাজ এবং তিনি বনগাঁর নিকট ব্যারাকপুর গ্রামে কবিরাজি করতে আসতেন৷ তাঁর পিতা মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত। পাণ্ডিত্য এবং কথকতার জন্য তিনি শাস্ত্রী উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। মাতা মৃণালিনী দেবী। পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে বিভূতিভূষণ জ্যেষ্ঠ ছিলেন।


শিক্ষাজীবন : পিতার কাছে বিভূতিভূষণের পড়ালেখার পাঠ শুরু হয়। এরপর নিজ গ্রাম ও অন্য গ্রামের কয়েকটি পাঠশালায় পড়াশোনার পর " বনগ্রাম উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে" ভর্তি হন। সেখানে তিনি অবৈতনিক শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় পিতা মারা যান। ১৯১৪ সালে প্রথম বিভাগে এনট্রান্স এবং ১৯১৬ সালে কলকাতা'র রিপন কলেজ (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ) থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯১৮ সালে একই কলেজ থেকে বি.এ পরীক্ষায়ও ডিস্টিংশনসহ পাশ করেন। এরপর তিনি এমএ ও আইন বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু পড়াশোনা ছেড়ে দেন ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে।



বিবাহ : ১৯১৯ সালে হুগলী জেলার জাঙ্গীপাড়ায় দ্বারকানাথ হাইস্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ানোর সময় বসিরহাটের মোক্তার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা গৌরী দেবীর সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের এক বছর পরই গৌরী দেবী মারা যান। স্ত্রীর শোকে তিনি কিছুদিন প্রায় সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপন করেন। পরে ১৩৪৭ সালের ১৭ অগ্রহায়ণ (ইংরেজি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) তারিখে ফরিদপুর জেলার ছয়গাঁও নিবাসী ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে রমা দেবীকে বিয়ে করেন। বিয়ের সাত বছর পর একমাত্র সন্তান তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (ডাকনাম বাবলু) জন্মগ্রহণ করেন।



কর্মজীবন: শিক্ষকতার মাধ্যমে পেশাগত জীবনে প্রবেশ করেন। এসময় কিছুদিন গোরক্ষিণী সভার প্রচারক হিসেবে বাংলা, ত্রিপুরা ও আরাকানের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। পরে খেলাৎচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে সেক্রেটারি, গৃহশিক্ষক এবং তার এস্টেটের ভাগলপুর সার্কেলের সহকারী ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিছুদিন আবার ধর্মতলার খেলাৎচন্দ্র মেমোরিয়াল স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর যোগ দেন বনগাঁর নিকট গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশন স্কুলে। এই স্কুলেই তিনি আমৃত্যু কর্মরত ছিলেন। এই মহান কথাসাহিত্যিক ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা নভেম্বর তারিখে বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খন্ড) ঘাটশিলায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার বাড়িটির নাম স্ত্রীর নামে "গৌরীকুঞ্জ" রেখেছিলেন।


সাহিত্যকর্ম: ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে (১৩২৮ বঙ্গাব্দ) প্রবাসী পত্রিকার মাঘ সংখ্যায় উপেক্ষিতা নামক গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ভাগলপুরে কাজ করার সময় ১৯২৫ সালে তিনি পথের পাঁচালী রচনা শুরু করেন। এই বই লেখার কাজ শেষ হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে। এটি বিভূতিভূষণের প্রথম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা। সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় এই লেখাটি পছন্দ করে বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশ করলে তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় পথের পাঁচালী উপন্যাসের কাহিনীকে চলচ্চিত্রে রূপদানের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবনের সূচনা করেছিলেন। এই সিনেমাটির নামও ছিল পথের পাঁচালী। এই চলচ্চিত্রটি দেশী-বিদেশী প্রচুর পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছিল। এরপর "অপুর সংসার" টেমপ্লেট:The world of apu আর "অপরাজিত" রচনা করেন, যেগুলি "পথের পাঁচালির"ই পরবর্তী অংশ। সত্যজিৎ এই দুটি গল্প নিয়েও চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। উভয় উপন্যাসেই তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিফলন ঘটেছে। পথের পাঁচালী উপন্যাসটি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা এবং ইংরেজি ও ফরাসি সহ বিভিন্ন পাশ্চাত্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বিভূতিভূষণের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি



 গল্পগ্রন্থ হল: মেঘমল্লার, মৌরীফুল, যাত্রাবদল। তার লেখা চাঁদের পাহাড় একটি অনবদ্য এ‍্যাডভেঞ্চার কাহিনী, যার পটভূমি আফ্রিকা। ২০১৩ সালে বিখ্যাত চিত্র পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জী "চাঁদের পাহাড়"টেমপ্লেট:"Chander Pahar"কে বাংলা চলচ্চিত্রে রূপান্তর করেন। এই চলচ্চিত্রটিও বাংলা চলচ্চিত্র জগতে যথেষ্ট খ্যাতি লাভ করে।



পুরস্কার ও সম্মাননা : উপন্যাসের জন্য।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার (লেখকের জন্মস্থান) পারমাদান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের নাম লেখকের সম্মানার্থে রাখা হয়েছে "বিভূতিভূষণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য"।



গ্রন্থতালিকা : উপন্যাস , পথের পাঁচালি , অপরাজিত , দৃষ্টিপ্রদীপ , আরণ্যক , দেবযান ,





কিশোরপাঠ্য : চাঁদের পাহাড় ,আইভ্যানহো ,মরণের ডঙ্কা বাজে,মিসমিদের কবচ, হীরা মাণিক জ্বলে,সুন্দরবনের সাত বৎসর



মৃত্যু : অধুনা ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলাতে,) পহেলা নভেম্বর ১৯৫০ (১৭ই কার্তিক ১৩৫৭ বঙ্গাব্দ,বুধবার ) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। পরদিন দুপুরে সুবর্ণরেখা নদীর ওপরে 'পঞ্চপাণ্ডব ঘাট'-এ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

< />






শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন পত্র ২০২০ [ HS History Questions Papers 2020 ]


 

 

                          ইতিহাস


                         বিভাগ -  ক
            
                        Marks - 40




১। যে - কোনো পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দাও । ( প্রতিটি খন্ড থেকে নূন্যতম দুটি প্রশ্নের উত্তর আবশ্যক )


                        খন্ড - ক


i) পেশাগত ইতিহাস বলতে কি বোঝায় ? অপেশাদারী ইতিহাসের সঙ্গে পেশাদারী ইতিহাসের পার্থক্য কি ?


ii) সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কে হবসন - লেলিন তত্ত্ব আলোচনা করো ।


iii) ভারতে অবশিল্পায়নের কারণ গুলি কি ছিল ? ভারতীয় অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব আলোচনা করো ।


iv) ব্রিটিশ শাসনে ভারতে আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের আন্দোলনের বিবরণ দাও ।


 
                            অথবা



নানকিং সন্ধির ( ১৮৪২ খিস্টাবে ) শর্ত গুলি কি ছিল ?




                             খন্ড - খ


 
v) ১৯১৯ সালে ভারত শাসন আইনের বৈশিষ্ঠ ও ত্রুটি গুলি আলোচনা করো ।



vi) ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন সম্পর্কে একটি নিবন্ধ লেখো ।



vii) জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের মূল্যায়ন করো ।




                         অথবা



করিয়ো যুদ্ধের ( ১৯৫০ সালে ) ফলাফল ও তাৎপর্য কী ছিল ?



Viii) সার্কের উদ্ভবের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোচনা করো । এর উদ্দেশ্য কী ছিল ?






শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উচ্চ মাধ্যমিক দর্শন প্রশ্ন পত্র ২০২০ [ HS Philosophy Questions Papers 2020 ]


 


1)

A) নিরপেক্ষ বচনের " পদের বেপ্যতা " বলতে কি বোঝায় ? চার প্রকার নিরপেক্ষ বচনের কোন কোন পদ ব্যাপ অব্যাপ তা উদাহরণসহ লেখো । পদের  ব্যাপতা সংক্রান্ত সাধারণ নিয়ম গুলি কী কী ?


                              অথবা


নিম্নলিখিত বাক্যগুলি কে তর্ক বিজ্ঞানসম্মত আকারে রূপান্তরিত করো এবং তাদের গুন ও পরিমাণ উল্লেখ করো ।


i) দার্শনিকরা কখনোই সুখী নয় ।

ii) বিনয় ছাড়া সৎ কাজ হয় না ।

iii) কোন মা তার সন্তানকে ভালোবাসেন না ।

iv) কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি অসাধু ।



২। আবর্তন কাকে বলে ? আবর্তনের নিয়ম গুলি উদাহরণসহ উল্লেখ করো । " A " বচনের সরল আবর্তন নয় কেন ?




                           অথবা


নিম্নলিখিত বাক্যগুলি আদর্শ আকারে রূপান্তরিত করো এবং আবর্তন বিবর্তন করো :


i)কদাচিৎ চিকিৎসকেরা আবেগপ্রবণ ।

ii) প্রত্যেক কবি হন দার্শনিক ।

iii) জড়বাদীরা আস্তিক নন ।

iv) বেশিরভাগ লোক কুসংস্কারছন্ন ।



৩ | নিম্নলিখিত যুক্তিগুলিকে আদর্শ আকারে পরিণত করে তাদের মূর্তি ও সংস্থান উল্লেখ করো এবং বৈধতা বিচার করো :




i) এই ন্যায় টি অবশ্যই বৈধ কেননা সকল বৈধ ন্যায়ের মতো এটিও তিন পদ বিশিষ্ঠ ।


ii) সব সফল ব্যাক্তি পরিশ্রমী সুতরাং সব ছাত্র সফল নয় যেহেতু সব ছাত্র পরিশ্রমী নয় ।




                          অথবা



নিম্নলিখিত বিবৃতি গুলি প্রমাণ করো :



i) একটি ন্যায় অনুমানে প্রধান আশ্রয়বাক্য ( হেতুবাক্য ) বিশেষ হলে এবং অপ্রধান আশ্রয়বাক্য ( হেতুবাক্য ) নর্থক হলে তা থেকে কোনো বৈধ সিদ্ধান্ত নি : সৃত হয় না ।


ii)  দ্বিতীয় সংস্থানের বৈধ ন্যায়ের একটি আশ্রয় বাক্য ( হেতুবাক্য ) অবশ্য নোর্থক হবে ।



৪ । মিলির অন্নয়ী পদ্ধতি টি আলোচনা করো : সংজ্ঞা , আকার , দৃষ্টান্ত , সুবিধা ( দুটি ) , অসুবিধা ( দুটি )


৫। নিচের আরহ যুক্তি গুলি বিচার করো এবং কোন দোষ থাকলে তা উল্লেখ করো :



i) একটি দেশের রাজধানী হল জীব দেহের হিৎপিন্ডের মতো । সুতরাং জীব দেহের হিৎপিন্ডের আয়তন বৃদ্ধি যেমন ক্ষতিকারক তেমনই রাজধানীর আয়তন বৃদ্ধি দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক ।


ii) জোয়ারের পর ভাটা আসে । সুতরাং জোয়ার হলো ভাটার কারণ ।



                             অথবা

                            ( টিকা )



i) অবান্তর ঘটনাকে কারণ হিসেবে গণ্য করা জনিত দোষ ।

ii) অবৈধ সামানিকরন দোষ  ।



মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মুজিবুর রহমান জীবনীমূলক রচনা | Mujibur Rahman Biography in Bengali


ভূমিকাঃ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি যুগে যুগে এমন সব ব্যক্তিত্বের আগমন ঘটেছে, যাদের হাত ধরে মানবতার মুক্তির সনদ রচিত হয়েছে। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারের এই ছোট্ট ভূ-খন্ডটির জন্মের সাথে যার নাম অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত তিনি আর কেউ নন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

 

জন্ম ও শৈশবঃ গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতি নদীর তীরবর্তী টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে শেখ লুৎফুর রহমান ও সাহেরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ (বাংলা ২০ চৈত্র ১৩৫৯) শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে গ্রামের অন্য দশটি সাধারণ ছেলের মতো হেসে-খেলে দুরন্তপনায়।

 

শিক্ষা জীবনঃ শেখ মুজিব প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। অতঃপর গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে ১৯৪২ সালে তিনি মেট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৪৪ সালে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) এবং ১৯৪৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসে বিএ পাস করেন। সে বছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। উল্লেখ্য ৬১ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেখ মুজিবুর রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ১৪ আগস্ট, ২০১০ সালে।



বৈবাহিক জীবনঃ ১৯৩৯ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান শেখ ফজিলাতুন্নেসাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘর আলোকিত করেছে তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল এবং দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

 

বৈপ্লবিক রাজনৈতিক জীবনঃ ছাত্রজীবন থেকেই শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন রাজনীতি সচেতন মানুষ। রাজনীতি যেন তাঁর রক্তে মিশে আছে। তিনি উপলব্ধি করতেন যে, রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমেই বৃহৎ কল্যাণ সম্ভব। তাইতো এ দেশের সকল রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি সবসময় অগ্রভাগে ছিলেন। গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে থাকাকালীন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য সাত দিন কারাভোগ করেন।



- নেতৃত্বগুণের কারণে ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

 

 

- ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ (বর্তমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

- ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পিকেটিং এর সময় গ্রেফতার হন।

 

 

- ১৯৪৯ সালে মাওলানা ভাসানীর সাথে ভূখা মিছিলে নেতৃত্ব দান কালে গ্রেফতার হন।

 

 

- ১৯৪৯ সালে ২৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগ এর জন্ম হলে কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

 

 

- ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

 

 

- ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরে বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা উত্থাপন করেন। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের একটি বৃহৎ অংশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটান।

 

 

- ১৯৬৮ সালে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় কারাভোগ করেন।

 

 

- এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন।

 

 

শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধুঃ শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি যেমন নিঃস্বার্থভাবে জনকল্যাণের রাজনীতি করতেন তেমন জনগণের ভালোবাসাও পেয়েছেন। তার মুক্তির দাবিতে রাজপথে বিশাল মিছিল, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ-অনশন তারই প্রমাণ। তিনি ছিলেন জনগণের বন্ধু। এর স্বীকৃতি স্বরূপ তৎকালীন ঢাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এই উপাধিটি যে কেবল তার জন্যই যথাযথ ছিল তার প্রমাণ হলো পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুই তাঁর নাম হয়ে যাওয়ায়।

 

 

বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতাঃ বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জাতির কল্যাণে চিন্তামগ্ন থাকতেন। ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ শহিদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুদিবসে তিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের নামকরণ করেন “বাংলাদেশ” নামে। যা তাকে পিতার ভূমিকায় নিয়ে যায়। তাই পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ঢাকসু’র ভিপি আসম আব্দুর রব বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেন।

 

 

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণঃ ৭ই মার্চ, বাঙালি জাতির নতুন দিগন্তের সূচনার এক ঐতিহাসিক দিন। এ দিন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন- “রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। তবু এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

 

 

মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুঃ ৭ই মার্চের ভাষণ থেকেই আঁচ করা যায় যে তিনি আগাম যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ মার্চ রাত্রে গ্রেফতারের পূর্বমুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, This is my last message to you. From today Bangladesh is independent. তার ডাকে সমগ্র বাঙালি মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

 

 

রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবঃ বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভায় সমবায়, কৃষি ও বন বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালের প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় শিল্প, শ্রম ও দুর্নীতি দমন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তিনি পার্লামেন্টারি দলের নেতা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা না ছাড়তে চাইলে এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্বও গ্রহণ করেন।

 

 

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও দেশ গঠনঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানের করাচির মিওয়ালী কারাগারে বন্দি থাকার পর অবশেষে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেন বাঙালির প্রাণের স্পন্দন, কল্যাণকামী স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। লাখো মানুষের ঢল বেয়ে মহান নেতা আসলেন চিরচেনা সেই রেসকোর্স ময়দানে। দিলেন দেশ গড়ার দিক নির্দেশনা। ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সহযোগীতা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এমন এক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যেখানে সবাই সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। আর এ জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।

 

 

বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অত্যন্ত স্পষ্টভাষী ও রসিক মানুষ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সভায়ও সমানভাবে সমাদৃত ছিলেন। তিনিই প্রথম ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন। তিনি ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদের দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘জুলিও কুরী’ পুরস্কার লাভ করেন।

 

 

অবেলায় বিদায়ঃ বাংলার ইতিহাসে জঘন্যতম দিন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। যার অঙ্গুলী হিলনে কোটি মানুষ প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই মহামানবকে কতিপয় নরপিশাচ স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলার মাটিকে কলঙ্কিত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার কতিপয় মানুষ নামের জানোয়ারেরা পিতৃহত্যার মতো ঘৃণ্য কাজের মাধ্যমে তাঁর স্বপ্নকে বিলীন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। কারণ তার স্বপ্ন সারথীরা আজও জেগে আছে।

 

 

শেষ কথাঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহানুভবতা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছেন- “আমি হিমালয় দেখিনি, আমি দেখেছি শেখ মুজিবকে।” উপসংহারের উপকূলে দাঁড়িয়ে তাই বলতে হয়- “যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরি, যমুনা বহমান ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”

 

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আমি দেখি MCQ প্রশ্ন ও উত্তর






:· উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি  কবিতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হলো ।

১) শহরের অসুখ যা করে  ?
ক) মৃত্যু ডেকে আনে
খ) সবুজ খায়
গ) বিসঙ্খলা তেরী করে
ঘ) শিল্প সংস্কৃতির বিপর্যয় ঘটায়

উত্তর :–সবুজ খায়

২) ' সবুজের অনটন ' - এর অর্থ হলো
ক) ফসলের অভাব
খ) তারুণ্যের অভাব

গ) বৃক্ষ নিধন
ঘ) জমির অভাব

উত্তর :– বৃক্ষ নিধন

৩) সবুজ বাগানের আখাঙ্কা করে
ক) কবির কল্পনা
খ) কবির হৃদ়য়
গ) কৃষকেরা
ঘ) কবির দেহ

উত্তর :– কবির দেহ

৪) " আমি দেখি " কবিতায়  কবি যা দেখতে চান
ক) বাগানের গাছ
খ) পাহাড়ের বিশালতা
গ) সমুদ্রের ঢেউ
ঘ) মানুষের উচ্ছাস

উত্তর :–বাগানের গাছ

৫) " আমি দেখি " কবিতা টি উৎস হল
ক) অঙ্গুরী তোর হিরন্য জল
খ) ধর্মেও আছো জিরাফেও আছো
গ) ভাত নেই পাথর রয়েছে
ঘ) প্রভু নষ্ট হয়ে যায়

উত্তর :– অঙ্গুরী তোর হিরন্য জল

৬) " আমি দেখি " কবিতায় কবির যা দরকার
ক) জঙ্গলে যাওয়া
খ) বেড়াতে যাওয়া
গ) গাছ দেখা
ঘ) গাছ লাগানো

উত্তর :–গাছ দেখা

৭) " গাছের –– শরীরের দরকার "।
ক) পাতা টুকু
খ) সবুজ টুকু
গ) ফল টুকু
ঘ) রস টুকু

উত্তর :–সবুজ টুকু

৮) " আমি দেখি " কবিতায় স্তবক সংখ্যা হল
ক) ২
খ) ১
গ) ৩
ঘ) ৪

উত্তর :–৩ টি

৯) কবি বহু দিন কোথায় আছেন
ক) গ্রামে
খ) জঙ্গলে
গ) পাহাড়ে
ঘ) শহরে

উত্তর :–শহরে

১০) " আমি দেখি " কবিতার শেষ পংক্তি টি হল
ক) আমি দেখি
খ) আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষন দরকার
গ) তাই , বলি গাছ তুলে আনো
ঘ) গাছ আনো, বাগানে বসাও

উত্তর :–আমি দেখি

১১) " আমি দেখি " কবিতায় কবির দেহ চায়
ক) সবুজ বাগান
খ) জঙ্গল
গ) নিশ্চিন্ত বিশ্রাম
ঘ) আরোগ্যে

উত্তর :–সবুজ বাগান

১২) " আমি দেখি" কবিতায় কবির চোখ চায়
ক) লাল
খ) নীল
গ) সবুজ
ঘ)  হলুদ

উত্তর :– সবুজ

১৩) বহুদিন ধরে কোথায় না যেতে পেরে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দুঃখিত
ক) পাহাড়ে
খ) জঙ্গলে
গ)  সমুদ্রে
ঘ) দেশের বাড়িতে

উত্তর :–জঙ্গলে

১৪)" গাছ গুলো তুলে আনো "। তুলে আনার পর সেগুলিকে কি করতে বলেছেন কবি
ক) টবে বসাতে
খ) বাগানে বসাতে
গ) ফেলে দিতে
ঘ) কেটে ফেলতে

উত্তর :– বাগানে বসাতে



বিভাব MCQ প্রশ্ন ও উত্তর





:· উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা নাটক বিভাব কিছু গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হলো ।

নানা রঙ্গের দিন MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

১) সংস্কৃত পরীক্ষায় অমর কত পেয়েছিলেন
ক) তেরো
খ) সতেরো
গ) তেইশ
ঘ) নয়

উত্তর :– তেরো

২) শম্ভু মিত্র , অমর গাঙ্গুলী কোন নাট্য দলের সদস্য ছিলেন
ক) নান্দিকার
খ) নান্দিমুখ
গ) পঞ্চম বৈদিক
ঘ) বহুরূপী

উত্তর :–বহুরূপী

৩) " বিভাব ' নাটকের যথাথ নাম হওয়া উচিত বলে নাট্যকার মনে করেছেন তা হলো
ক) হাসির সন্ধানে তিনটি চরিত্র
খ) অভাব নাটক
গ) তামাশা নাটক
ঘ) অভাবিত নাটক

উত্তর :– অভাব নাটক

৪) সরকারের পেয়াদা কীসের লক্ষে নাট্যদলের কাছে আসে
ক) নিমন্ত্রনপত্র নিতে
খ) অনুমতি পত্র নিতে
গ) খাজনা আদায় করতে
ঘ) সংবর্ধ্ণা জানাতে

উত্তর :–খাজনা আদায় করতে

৫) " তাই ভেবে চিন্তে আমরা একটা প্যাঁচ বের করেছি ।" এই প্যাঁচ হলো
ক) জনমত গঠন
খ) নিজস্ব নাট্যমঞ্চ তেরি
গ) ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ
ঘ) নাটক অভিনয় বন্ধ রাখা

উত্তর :–ভঙ্গিনির্ভর নতুন নাট্যরীতি প্রয়োগ

৬) " এমনি সময় হঠাৎ এক সাহেবের লেখা পড়লাম "। এই সাহেব ছিলেন
ক) আইনস্টাইন
খ) আইজেনস্টাইন
গ) শেক্সপিয়ার
ঘ) বানাড' শ

উত্তর :–আইজেনস্টাইন

৭) শম্ভু মিত্র  ' বিভাব ' নাটকে যে তামাশা দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন তা ছিল
ক) উড়িয়া তামাশা
খ) মারাঠি তামাশা
গ) রাজস্থানি তামাশা
ঘ) অসমীয়া তামাশা

উত্তর :–মারাঠি তামাশা

৮) ' এক জাপানি থিয়েটার মস্কোতে গিয়েছিল ।' এই জাপানি থিয়েটার ছিল
ক) নো
খ) কিয়োগেন
গ) কাবুকি
ঘ) বানরাকু

উত্তর :–কাবুকি

৯) " আমরা বাঙালিরা শুনি কাঁদুনে জাত " একথা কে বলে গিয়েছেন
ক) রবীন্দ্রনাথ
খ) দ্বিজেন্দ্রলাল
গ) বল্লভ ভাই
ঘ) জহরলাল নেহরু

উত্তর :– বল্লভ ভাই

১০) " বিভাব " নাটকে ' বৌদি ' হলেন
ক) শোভা সেন
খ) তৃপ্তি মিত্র
গ) চিত্রা সেন
ঘ) শাওলী মিত্র

উত্তর :–তৃপ্তি মিত্র

১১) " পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে ।" ' বৌদি ' তৃপ্তি মিত্র যাকে সবচেয়ে পপুলার জিনিস বলেছেন , সেটি হল
ক) সিনেমা
খ) আড্ডা
গ) খেলা ধুলা
ঘ) প্রেম

উত্তর :–প্রেম

১২) " বিভাব" নাটকে অমর গাঙ্গুলী কোথায় ' লভ সিন ' দেখার কথা বলেছেন
ক) বায়োস্কোপ
খ) বাস্তব জীবনে
গ) থিয়েটার
ঘ) লোক কোথায়

উত্তর :–বায়োস্কোপ

১৩) " বিভাব" নাটকে তৈরি হওয়া প্রেমের দৃশ্য নায়িকা ফিরছিল
ক) অফিস থেকে
খ) কলেজ থেকে
গ) বন্ধুর বাড়ি থেকে
ঘ) গ্রাম থেকে

উত্তর :–কলেজ থেকে

১৪) " বিভাব" নাটকে প্রেমের দৃশ্য নৈপন্থে কি বেজেছিল
ক) পিয়ানো
খ) বেহালা
গ) হারমোনিয়াম
ঘ) বাঁশি

উত্তর :–হারমোনিয়াম

১৫) " বিভাব" নাটকে প্রেমের দৃশ্য যে গানটি গাওয়া হয়েছিল , সেটি হল
ক) সখি ভালোবাসা কারে কয়
খ) আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
গ) তুমি কোন কাননের ফুল
ঘ) মালতি লতা দোলে

উত্তর :–মালতি লতা দোলে

১৬) "মালতি লতা দোলে " গানটি গাওয়া হয়েছিল যেভাবে
ক) ফিল্মি কায়দায়
খ) শাস্ত্রীয় ভঙ্গিতে
গ) কিতন আঙ্গিকে
ঘ) ঠুংরি ধরনে

উত্তর :–ফিল্মি কায়দায়

১৭) রবীন্দ্রনাথের গানের অনুমোদন যারা দেয় বলে " বিভাব" নাটকে উল্লেখ আছে, তারা হল
ক) রাজ্য সরকার
খ) বিশ্বভারতী
গ) সাহিত্য অ্যাকাডেমি
ঘ) সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি

উত্তর :–বিশ্বভারতী

১৮) শম্ভু মিত্র মতে , কত ইঞ্চি বুক হলেই পুলিশ হওয়া যায়
ক) ৩২ ইঞ্চি
খ) ৩৩ ইঞ্চি
গ) ৪২ ইঞ্চি
ঘ)৪৮ ইঞ্চি

উত্তর :–৩২ ইঞ্চি

১৯) " পথিক " নাটকটি কার লেখা
ক) বিজন
খ) উৎপল দত্ত
গ) শম্ভু মিত্র
ঘ) তুলসী লাহিড়ী

উত্তর :–তুলসী লাহিড়ী

২০) " কয়েকজন মেয়ে এবং কয়েক জন ছেলে । সামনের কয়েক জন হাতটা উচু করে থাকে ।" হাতে কি ছিল
ক) ভাতের থালা
খ) পতাকা ও ফেস্টুন
গ) প্রচার পত্র
ঘ) ফুল

উত্তর :–পতাকা ও ফেস্টুন

২১) শোভা যাত্রার লোকেরা যার জন্য দাবি জানিয়েছিল
ক) চাল ও কাপড়
খ) সঠিক মজুরী
গ) শিক্ষার সুযোগ
ঘ) আইন শৃঙ্খলার উন্নতি

উত্তর :–চাল ও কাপড়

২২) " The night is calling me " সংলাপ টি কর লেখা
ক) বানার্ড' শ
খ) শেক্সপিয়ার
গ) শেলি
ঘ) বায়রন

উত্তর :–বানার্ড' শ

২৩) হটাৎ পেছন থেকে শোভা যাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায়
ক) চাল চাই, কাপড় চাই
খ) অন্ন চাই , গৃহ চাই
গ) ফ্যান চাই , ভাত চাই
ঘ) এর কোনোটিই নয়

উত্তর :–চাল চাই, কাপড় চাই

২৪) " বিভাব " নাটকটির অনুপ্ররনা হলো
ক) জাপানি কাবুকি থিয়েটার
খ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাটক
গ) রবীন্দ্রনাথের নাটক
ঘ) দীনবন্ধু মিত্রের নাটক

উত্তর :–জাপানি কাবুকি থিয়েটার

২৫) " বিভাব " নাটকটির প্রধান চরিত্রের সংখ্যা হলো
ক) দুই
খ) তিন
গ) পাঁচ
ঘ) সাত

উত্তর :–তিন

২৬) " আমদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিৎ ' অভাব নাটক ' ।" কারন
ক) এ নাটকের জন্ম দুরন্ত অভাব থেকে
খ) এ নাটকে অর্থাভাব দেখানো হয়েছে
গ) এ নাটকের চরিত্র সংখ্যার অভাব রয়েছে
ঘ) এ নাটকে অভিনয় উপকরনের অভাব

উত্তর :– এ নাটকের জন্ম দুরন্ত অভাব থেকে

২৭) অমর বাবু তৃপ্তি মিত্রের কাছে ক - কাপ চা চেয়েছেন
ক) এক
খ) দুই
গ) তিন
ঘ) চার

উত্তর :–দুই কাপ

২৮) ঠিক আছে ফেলে দিন না ....কি ?
ক) চা
খ) বিড়ি
গ) সিগারেট
ঘ) দেশলাই

উত্তর :–সিগারেট

২৯) " বিভাব" নাটকে লভ সিনের নায়ক হয়েছিলেন
ক) অমর
খ) শম্ভু
গ) ম্যানেজার
ঘ) বল্লভভাই

উত্তর :–শম্ভু

৩০) " এর মাথায় খালি লভ সিন ঘরে রে ?" কার মাথায় ?
ক) অমর
খ) শম্ভু
গ) তৃপ্তি
ঘ) নাট্য দলের ম্যানেজার


উত্তর :–তৃপ্তি


বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১

বাসন্তিকস্বপ্নম কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন









বাসন্তিকস্বপ্নম  কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

:·উচ্চ মাধ্যমিক সংস্কৃত নাটক " বাসন্তিকস্বপ্নম " কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন দেওয়া হলো ।

১)  " বাসন্তি কস্বপ্নম " নাটকের বিষয়বস্তুটি সংক্ষেপে নিজের ভাষায় বর্ণনা করো ।

২) " বাসন্তিকস্বপ্নম " নাটকে কনকলেখার সাথে বিবাহ প্রসঙ্গে রাজা ইন্দ্রবমার আবেগের একটি বর্ননা দাও ।

৩) " বাসন্তিকস্বপ্নম " নাটক অনুসারে কৌমুদীর চরিত্র সম্পর্কে লেখো