রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো | Tapan Singher Obodan

 



প্রশ্ন :- বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো ।





উত্তর : বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে সুবর্ন রথের এক বর্ণময় সারথী তপন সিংহ । তিনি বহু আলোচিত , কিন্তু অনালোকিত । আসলে তপন সিংহ কে দেখার চোখ সেদিনের শিল্প বোদ্ধা দের ছিল না । কারণ , আমাদের শিল্প বোদ্ধ যেমন এক দেশ দশী , তেমনি যুক্তি ও শৃঙ্খলার । তাই তপন সিংহের মতো শিল্পীও আমাদের বিচারে গৌণ , অকিঞ্চিৎকর হয়ে পড়েছিলেন ।

[  ] ছাত্রবস্থা থেকেই দেশ বিদেশের চলচ্চিত্র ভক্ত তপন সিংহ । জীবনের প্রথম পর্বেই শিক্ষানবিশ হিসেবে পেয়েছিলেন বাণী দত্ত এবং বিমল রায়ের মতো পরিচালকের দীক্ষা তারপর লাভ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত পরিচালক জা রেনোয়ার সান্নিধ্য । তারপর " ক্যালকাটা মুভি টোন " এ শব্দ যন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে করতে লোগুন যাত্রা । সেখানে " সাউন্ড এফেকশন " নিয়ে ডিগ্রী লাভ করে চার্লস ক্রাইটনের সহকারী হওয়ার দুর্লভ সুযোগ লাভ । অন্তঃপর দেশে ফিরে আসা । এ খানে এসে " সৈনিক " নামের বিখ্যাত ছোটো গল্প নিয়ে তৈরী করেন প্রথম সিনেমা " অঙ্কুশ" । কিন্তু সিনেমাটি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় । কটূক্তি , বাঙ্গণতক সমালোচনায় তপন সিংহ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন । তারপর রবীন্দ্রভক্ত হিসেবে তিনি রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নেন । আর এই পথেই আসে সাফল্য । তার দ্বিতীয় সিনেমা " কাবুলিওয়ালা " দারুন ভাবে শুধু বাণিজ্য - সফলই হয় না । রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার এবং বার্লিন চলচ্চিত্রও পুরষ্কার লাভ করে । এরপর তিনি সিনেমার জগতে তৈরী করে ফেলেন নিজস্ব পরিচিতি ।

সতীর্থ সত্যজিৎ এবং হাদ্র ঋত্বিকের সঙ্গে তাঁর চলচ্চিত্র ভাবনার প্রধান পার্থক্য এই যে , তিনি নব্য তার ভাষা ও পরিশীলিত শিল্প টেকনিকের সঙ্গে এক পেশে আপস না করে এক অভিনব বিবর্তন রেখা অঙ্কন করতে চান । তিনি আজীবন বিশ্বাস করেছেন যে , সিনেমা যেহেতু একটা বাণিজ্য ব্যাবস্থা , তাই তাকে যদি সুন্দরের অভিযানে যেতেও হয় তবে সেই অভিযান কে বানিজ্য সমথিত হতেই হবে । যদি সিনেমা স্বয়ং শাসিত হয় ও , তবু তাকে গল্পের উপর নির্ভরশীল থেকে যেতে হবে । তবে সেই গল্প বলা হলিউডি মার্কা হবে না তা হবে আমাদের কথকতার ধরনের । তপন সিংহের ধারণা ছিল ছবির কোনো অধিকার ই নেই বিমূর্ত হওয়ার তাকে আলো শব্দ চিত্র দিয়ে বিচিত্র স্বাদের গল্প বুনে যেতে হবে । আসলে তপন সিংহের মধ্যে ছিল স্বদেশ্চিয়ানা বা বাঙালিয়ানার বিস্তৃত মনো পরিসর । তাই যে মধ্যবিত্ত দারিদ্র্য দু:খ  চেনে অথচ দিন্তামুক্ত , যে মধ্যবিত্ত শব্দের সোজন্য হৃদয়ের উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য আকুল  - তপন সিংহ তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন । তাই তো সৃষ্টি হয় " কাবুলিওয়ালা " " নির্জন সৈকতে" " হারমোনিয়াম " " গল্প হলেও সত্যি " " সাগিনা মাহাতো ' " সবুজ দ্বীপের রাজা "  ইত্যাদি সিনেমা ।

এই সিনেমা গুলি থেকেই বোঝা যায় তিনি মধ্যে সিনেমার পর্থিক নন বরং আমাদের ঐতিহ্য । মূল কাহিনী পর্থের ই এক সফল পদাতিক মধ্যপন্থী নন , বরং একটি সম্মাবস্থা তার শিল্পরা কথা বলে , কিন্তু কোলাহল করে না , তার চরিত্ররা সংলাপমুখোর ,

এ রকম অপ্রত্যাশিত কাহিনী নির্বাচন কে স্বা ভাবিক প্রত্যাশার মধ্যে বুনে দেওয়া যে কত বড়ো কৃতিত্ব তা আজ বাংলা ছবির পতিত ।






শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।

 

বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।

 




প্রশ্ন :- বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।





উত্তর :- বাংলা তথা ভারতীয় নাট্য জগতে এক প্রবাদপ্রতিম ব্যাক্তিত্ব শম্ভু মিত্র । তার নাটক গণ্য নাট্য থেকে নব্য নাট্য , অ্যান্টি ড্রামা থেকে রাবীন্দ্রিক রূপকথা  সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছন্দ বিচনরণ করে । কিন্তু এ সবের পরেও তার নাটকে মূলত যা প্রতিফলিত হয় , তা হল জীবন এবং একমাত্র জীবন । আলোচ্য " বিভাব" নাটকটিও সেই ভাবনারই প্রতিচ্ছবি ।

হাসির নাটকে প্রেম - বিষয়ক নির্বাচন : নাটকে নাট্যকার ও চরিত্র শম্ভু মিত্র হাসির ভাব জাগিয়ে তোলার জন্য অমরের বাড়িতে আসে । উদ্দেশ্য হাসির নাটক তৈরি করে " বক্স অফিস " কাপানো । সেই উদ্দেশ্য চলে বিশেষ ভাব সংগ্রহের নাটকীয় আলোচনা । আলোচনায় উঠে আসে " পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে প্রেম "। তাতে " হিউম্যান ইন্টারেস্ট " এবং " পপুলার অ্যাপিল " দুটোই আছে । সুতরাং তড়িঘড়ি একটা সিন অ্যারেঞ্জ করা হয় । দৃশ্যের পটভূমিও নির্বাচিত হয়  বৌদির ভাবনা অনুযায়ী । আবার , বৌদির পছন্দেই নায়কের রোল প্লে করে শম্ভু । আর নায়িকা তো নিশ্চিত ভাবেই বৌদি ।

লাভ সিনে জখমী সংঘটন : নায়ক নায়িকা নির্বাচন হয়ে গেছে । বেশ এবার সমগ্র দৃশ্যের নির্দেশনায় বৌদি একটা কাল্পনিক রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করে । মানে ব্যাপারটা হল নায়িকা কলেজ থেকে ফিরছে । উল্টো দিক থেকে শম্ভু মানে নায়ক কোনো অনির্দিষ্ট জায়গা থেকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে আসতে থাকে । ব্যাস স্বাভাবিক ভাবেই নায়ক নায়িকার পূর্ব নির্দিষ্ট নিশ্চিত ধাক্কা । নায়িকা রেগে উঠে স্বাভাবিক তেমন টাই হওয়া উচিৎ আর কি । নাট্য পরিকল্পনায় সেটাই তো ডিমান্ড । ফলত প্রচন্ড বিরক্তি আর তীব্র ঝাঁঝি দিয়ে নায়িকা বলে ওঠে - " কেয়া আপ দেখতে নেহি - চোখ খুলে চলতে জানেন না ?" নায়ক বেচারা একেবারেই গোবেচারা ফলত এই আকস্মিক মেজাজ খেয়ে আমতা আমতা করতে হয়  । আর তক্ষুনি সপাটে এক চর মারে নায়িকা । নায়ক বিমর্ষ, সিন জখমী হয়ে পড়ে ।


বলিউডি ভাব বিলাসিতা প্রেম : সিন যখন জখমী নায়ক যখন আহত তক্ষুনি অদ্ভুত সংঘটন ক্রিয়ায় একেবারে বিস্ময়কর ভাবে সম্পূর্ন বিপরীত ভাবাবেগে নায়িকা হয়ে পড়ে পূর্বাগাছন্ন । একেবারে ফিল্মি ঢংয়ে ন্যাকামির ভঙ্গিতে পঞ্চাশ ষাট দশকের বলিউড ঘরনায় । কল্পিত গাছের ডাল ধরে  হারমোনিয়াম সহযোগে প্লে ব্যাকের দৌলতে নায়িকা গান গেয়ে ওঠে - " ওই মালতিলতা দোলে " ।



বিশ্বভারতীর বংশদন্ডের ভয়ে লভ সিনের যবনিকা পতন : নায়িকা গান গায় - " মালতী লতা দোলে কিন্তু সেই গানের " দোলে" " দোলে " - এমন দুলিয়ে দিয়ে যায় যে বিশ্ব ভারতীর বংশ দন্ডের ভয়ে হৃদপিন্ড পর্যন্ত দুলে ওঠে ।

এ ভাবেই বৌদির উদ্ভাবনী প্রকল্পনা সত্বেও প্রথম লভ সিনকে ক্যানসেল করতে হলো ।









শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও । Keshob O Oliporbar Porichoy Dao

কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও । Keshob O Oliporbar Porichoy Dao



প্রশ্ন :- কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও ।


উত্তর: শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত বনগুতা গুহা পাঠাংশে কশ্যপ ও অলিপর্বা সহোদর দুই ভাই । তারা পারস্য দেশের অধিবাসী । সেই দেশের কোনো এক নগরে তাদের বসবাস । তাদের পিতা ছিলেন দরিদ্র । সামান্য কিছু সম্পত্তি তার ছিল যা দিয়ে সন্তানদের প্রতিপালন করেছিলেন । দুই সন্তানই তার অত্যন্ত প্রিয় ছিল । মৃত্যুকাল আসন্ন দেখে নিজের সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দেন । তিনি এও চেয়েছিলেন যে তারা যেন ধন সম্পদ অর্জনে সমান অবস্থা বজায় রাখতে পারে ।


[  ] কশ্যপ ছিল বড়ো । তার লক্ষ্য একটু উচ্চ । পিতা সাধারন সরল জীবনযাপনের অধিকারী হলেও কশ্যপ নিজেকে ধন সম্পদের অধিকারী করে তোলার জন্য উদগ্রীব ছিল । তাই সে কোনো এক ধনীর কন্যাকে বিবাহ করে । তারই সহায়তায় শীগ্রই নগরের শ্রেষ্ঠ বণিকদের মতো বিত্তশালী হয়ে ওঠে । তবে কশ্যপ পরিশ্রমী ছিল না বরং সর্বদা বিলাসের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাতো । ভোগবিলাসের জীবনে তার কাছে কোন কিছুই অপ্রাপ্য ছিল না ।



[    ] ছোটো ভাই অলিপর্বা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির । পৈতৃক সম্পত্তিতে তার কোনো রকমে দিন কাটত । সে বিবাহও করেছিল এক গরীব বাড়ীর কন্যাকে । আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার জন্য সে এক কুঠিরে বসবাস করত । স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটত । তবে অলিপর্বার ছিল পরিশ্রমী । প্রত্যেহ ভোরে উঠে বনে যেত কাঠ কাটতে । সংগৃহিত কাঠ তিনটি গাধার পিঠে চাপিয়ে নগরে এনে বিক্রি করত । আর সেই অর্থে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করত ।  কশ্যপ ছিল লোভী , অলস , সার্থপর ও উচ্চাকাঙ্খী , অলিপর্বা ছিল সহজ সরল পরিশ্রমী নির্লোভ সৎ মানুষ ।








মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জীবনীমূলক রচনা । Upendra Kishore Ray Chowdhury

 

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জীবনীমূলক রচনা । Upendra Kishore Ray Chowdhury


জন্ম ও পরিবার :
উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম ১২৭০ বঙ্গাব্দের ২৭ বৈশাখ (১৮৬৩ সালের ১২  | ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে, যা অধুনা বাংলাদেশে অবস্থিত। তার পিতা কালিনাথ রায় ছিলেন সুদর্শন ও আরবি, ফারসি ও সংস্কৃতে সুপণ্ডিত। তার ডাকনাম ছিল শ্যামসুন্দর মুন্সী। উপেন্দ্রকিশোর শ্যামসুন্দরের আটটি সন্তানের মধ্যে তৃতীয় পুত্রসন্তান। তার পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়। পাঁচ বছরেরও কম বয়সে তার পিতার অপুত্রক আত্মীয় জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন ও নতুন নাম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বাংলা সাহিত্য জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। যদিও নবাব সিরাজ উদ দৌলার বংশধরদের সঙ্গে বাংলার বিখ্যাত রায় পরিবারের কোনও যোগাযোগ নেই।



শিক্ষা জীবন : মেধাবী ছাত্র বলে পড়াশোনায় ভাল ফল করলেও ছোটোবেলা থেকেই উপেন্দ্রকিশোরের পড়াশোনার থেকে বেশি অনুরাগ ছিল বাঁশী, বেহালা ও সঙ্গীতের প্রতি। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে উপেন্দ্রকিশোর প্রবেশিকা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি পান। তারপর কলকাতায় এসে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে।


সাহিত্যজীবন : একুশ বছর বয়সে বিএ পাস করে ছবি আঁকা শিখতে আরম্ভ করেন উপেন্দ্রকিশোর। এই সময় তিনি ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য হওয়ায় তার অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ঘটে। ছাত্র থাকাকালীনই তিনি ছোটোদের জন্যে লিখতে আরম্ভ করেন। সেই সময়কার সখা, সাথী, মুকুল ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত বালক নামে মাসিক পত্রিকাগুলিতে তার লেখা প্রকাশ হতে শুরু হয়। প্রথমদিকের (যেমন সখা, ১৮৮৩) প্রকাশিত লেখাগুলি ছিল জীববিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ। তার পরে চিত্র অলঙ্করণযুক্ত গল্প প্রকাশিত হতে আরম্ভ হয়। ১৮৮৬ সালে ২৩ বছরের উপেন্দ্রকিশোরের সঙ্গে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর বিবাহ হয়, এবং তখনকার কলকাতার কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ব্রাহ্ম সমাজের মন্দিরের বিপরীতে লাহাদের বাড়ির দোতলায় কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে উপেন্দ্রকিশোরেরর সংসার জীবন শুরু হয়। উপেন্দ্রকিশোরের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেরা হলেন সুকুমার, সুবিনয় ও সুবিমল, এবং মেয়েরা হলেন সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা। প্রত্যেকেই শিশু সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। জ্যেষ্ঠা কন্যা সুখলতা রায় ও জ্যেষ্ঠ পুত্র সুকুমার রায় উল্লেখযোগ্য।

যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি থেকে তার প্রথম বই "ছেলেদের রামায়ণ" প্রকাশিত হয়। এই বইটি সমাজে অতি আদরের সঙ্গে সমাদৃত হলেও মুদ্রণ সম্বন্ধে অতৃপ্ত উপেন্দ্রকিশোর ১৮৮৫ সালে বিদেশ থেকে তখনকার দিনের আধুনিকতম মুদ্রণযন্ত্রাংশাদি নিজের খরচায় আমদানি করেন, এবং ৭ নম্বর শিবনারায়ণ দাস লেনে নতুন ভাড়াবাড়ি নিয়ে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামে নতুন ছাপাখানা খোলেন। এখানের একটি কামরায় তিনি নিজের আঁকার স্টুডিও খোলেন এবং সেখানে হাফটোন ব্লক প্রিন্টিং নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। ১৯১১ সালে তিনি বড় ছেলে সুকুমারকে বিলাতে পাঠান ফোটোগ্রাফী ও মুদ্রণ সম্বন্ধে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্যে।




মৃত্যু : ১৯১৫ সালের ২০শে ডিসেম্বর মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি পরলোক গমন করেন।




রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১

প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনীমুলক রচনা | Premendra Mitra

 

প্রেমেন্দ্র মিত্র জীবনীমুলক রচনা | Premendra Mitra

 


জন্ম ও বংশ-পরিচয় : প্রেমেন্দ্র মিত্র ১৯০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে তাঁর পিতার কর্মস্থল বারাণসীতে জন্মগ্রহণ করেন ৷ তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার রাজপুরে ৷ তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার কোন্নগরের সম্ভ্রান্ত মিত্র বংশের সন্তান ৷ তাঁর পিতার নাম জ্ঞানেন্দ্রনাথ মিত্র এবং তাঁর মাতার নাম সুহাসিনী দেবী ৷ খুব অল্প বয়সেই তিনি মাতৃহারা হন |



সাহিত্যকর্ম :  প্রেমেন্দ্র মিত্র এক সময় কলকাতার ২৮ নম্বর গোবিন্দ ঘোষাল লেনের মেসবাড়িতে বাস করতেন ৷ পরবর্তীকালে পড়াশোনার জন্য তিনি ঢাকাতে থাকতে শুরু করেন ৷ একবার ১৯২৩ খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে এসে ওই মেসবাড়ির ঘরের জানলার ফাঁকে একটি পোস্টকার্ড আবিষ্কার করেন । চিঠিটা পড়তে পড়তে তার মনে দুটো গল্প আসে । সেই রাতেই গল্পদুটো লিখে পরদিন পাঠিয়ে দেন জনপ্রিয় পত্রিকা প্রবাসীতে । ১৯২৪ সালের মার্চে প্রবাসীতে 'শুধু কেরানী' আর এপ্রিল মাসে 'গোপনচারিণী' প্রকাশিত হয়, যদিও সেখানে তার নাম উল্লেখ করা ছিল না। সেই বছরেই কল্লোল পত্রিকায় 'সংক্রান্তি' নামে একটি গল্প বেরোয়। এরপর তার মিছিল(1928) এবং পাঁক(১৯২৬) নামে দুটি উপন্যাস বেরোয়। পরের বছর বিজলী পত্রিকায় গদ্যছন্দে লেখেন 'আজ এই রাস্তার গান গাইব' কবিতাটি।

প্রেমেন্দ্র মিত্রের প্রথম কবিতার বই ‌'প্রথমা' প্রকাশিত হয় ১৯৩২ সালে। বৈপ্লবিক চেতনাসিক্ত মানবিকতা তার কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য | প্রথম জীবনে তার ছোটোগল্পের তিনটি বই বেরোয় - 'পঞ্চশর', 'বেনামী বন্দর' আর 'পুতুল ও প্রতিমা'। মানুষের সম্পর্কের ভাঙ্গা গড়া, মনের জটিলতা, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ব্যথা বেদনার কথা প্রকাশে প্রেমেন্দ্র মিত্র ছিলেন স্বকীয়তায় অনন্য |

       

কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য :  প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রথম বাঙালি সাহিত্যিক যিনি নিয়মিত কল্পবিজ্ঞান বা বিজ্ঞান-ভিত্তিক গল্প-উপন্যাস রচনায় মনোনিবেশ করেন। তার বিজ্ঞান সাহিত্য রচনার শুরু ১৯৩০ সালে। রামধনু পত্রিকায় ক্ষিতীন্দ্রনারায়ন ভট্টাচার্য তাকে ছোটদের জন্যে লিখতে অনুরোধ করলে 'পিঁপড়ে পুরান' কাহিনীটি লেখেন। এটিই তার প্রথম কল্পবিজ্ঞান রচনা[৫]। 'কুহকের দেশে' গল্পে তার কল্পবিজ্ঞান ও এডভেঞ্চার কাহিনীর নায়ক মামাবাবুর আত্মপ্রকাশ। ১৯৪৮ সালে 'ড্র্যাগনের নিঃশ্বাস' বের হলে মামাবাবু পাঠক মহলে জনপ্রিয় হন। তার রচিত কয়েকটি বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান গল্প ও উপন্যাসের নাম নিচে দেওয়া হল:

ছোটোগল্প: কালাপানির অতলে ,  দুঃস্বপ্নের দ্বীপ , যুদ্ধ কেন থামল , মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী , হিমালয়ের চূড়ায় , আকাশের আতঙ্ক , অবিশ্বাস্য , লাইট হাউসে  ইত্যাদি ।

বড়ো গল্প ও উপন্যাস: পিঁপড়ে পুরাণ, পাতালে পাঁচ বছর, ময়দানবের দ্বীপ, শুক্রে যারা গিয়েছিল, মনুদ্বাদশ, সূর্য যেখানে নীল।

এছাড়া আকাশবাণীর উদ্যোগে লিখিত "সবুজ মানুষ" নামে একটি চার অধ্যায়ের বারোয়ারি কল্পবিজ্ঞান কাহিনির প্রথম অধ্যায় রচনা করেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। অবশিষ্ট তিনটি অধ্যায় লিখেছিলেন অদ্রীশ বর্ধন, দিলীপ রায়চৌধুরী ও সত্যজিৎ রায়।




চলচ্চিত্র জগৎ :  পথ বেঁধে দিল, রাজলক্ষ্মী (হিন্দি), নতুন খবর, চুপি চুপি আসে, কালোছায়া, কুয়াশা, হানাবাড়ী, তাঁর পরিচালিত ছবি। এছাড়াও তিনি বহু সিনেমার কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও উপদেষ্টা ছিলেন।


 পুরস্কার : রবীন্দ্র পুরস্কার ,
আকাদেমি পুরস্কার ,পদ্মশ্রী ,
দেশিকোত্তম


মৃত্যু :  কলকাতায় পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণে অসুস্থ হয়ে ৩ মে, ১৯৮৮ মারা যান। ভগ্নস্বাস্থ্যেও সৃষ্টিশীল ছিলেন ১৯৮৭ পর্যন্ত।






শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা । Tarashankar Bondopaddhay

 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনী মূলক রচনা । Tarashankar Bondopaddhay

জন্ম ও শিক্ষা : ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মায়ের নাম হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রভাবতী দেবী। তাদের বাড়িতে নিয়মিত কালী ও তারা মায়ের পুজো হতো। তার বাবা মা দুজনেই ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ও আদর্শনিষ্ঠ। তারাশঙ্করের জন্মগ্রহণ করার আগে প্রভাবতী দেবী ও হরিদাসের জ্যেষ্ঠপুত্রের মৃত্যু হয়। তাই তাদের পরিবারে তারা মায়ের পুজো শুরু হওয়ার ঠিক দশমাস পরে তারাশঙ্করের জন্ম হয়৷তিনি মায়ের দয়ায় জাত হয়েছিলেন বলেই তার নাম রাখা হয় তারাশঙ্কর। তারাশঙ্কর ছোটবেলায় মাদুলি, তাবিচ, কবচ এবং বহু সংস্কারের গন্ডিতে বড় হয়ে ওঠেন। আসলে সততা, ধর্মভাব, ভক্তি ও ধর্মশাস্ত্রীয় বিশ্বাস তিনি পেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। যদিও পরবর্তী জীবনে এ সব বিশ্বাস নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা তার মনকে আলোড়িত করেছে। প্রগতিশীল চিন্তার শরিক হয়েছেন। তারাশঙ্করের বাল্যজীবন কাটে গ্রামের পরিবেশেই গ্রামের স্কুল থেকে।

তারাশঙ্কর লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে ১৯১৬ সালে এন্ট্রান্স (প্রবেশিকা) পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে প্রথমে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে এবং পরে সাউথ সুবার্বন কলেজে (এখনকার আশুতোষ কলেজ) ভর্তি হন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার সময় অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন। স্বাস্থ্যভঙ্গ এবং রাজনৈতিক কার্যকলাপের কারণে তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।

ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার কারণে ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেপ্তার হলেও পরে মুক্তি পেয়ে যান। এরপর নিজেকে সাহিত্যে নিয়োজিত করেন। ১৯৩২ সালে তিনি প্রথমবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে দেখা করেন। একই বছরে তার প্রথম উপন্যাস "চৈতালী ঘূর্ণি" প্রকাশ পায়।

তারাশঙ্কর ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে বাগবাজারে একটি বাড়ি ভাড়া করে নিজের পরিবারকে কলকাতায় নিয়ে আসেন ও ১৯৪১-এ তিনি বরাহনগরে চলে যান। তারাশঙ্কর ১৯৪২-এর বীরভূম জেলা সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন এবং ফ্যাসিবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংগঠনের সভাপতি হন।[২] তিনি ১৯৭০ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।



রাজনৈতিক জীবন : তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেলও খাটেন। একবার তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও হয়েছিলেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদের সদস্য হন।



লেখার বৈশিষ্ট্য    : তার লেখায় বিশেষ ভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তার সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তার লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তার অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা, নগর জীবনের বিকাশের কথা।

চলচ্চিত্র : তারাশঙ্করের উপন্যাস, গল্প ও নাটক নিয়ে চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ও তারাশঙ্করের জলসাঘর এবং অভিযান উপন্যাসের সফল চিত্ররূপ দিয়েছেন। তার যেসব রচনা চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে: জলসাঘর , অভিযান ইত্যাদি ।





রচিত গ্রন্থাবলি :  উপন্যাস , নিশিপদ্ম ,চৈতালি ঘূর্ণি ,পাষাণপুরী ,নীলকণ্ঠ ,ধাত্রীদেবতা ,গণদেবতা ,মন্বন্তর ,পঞ্চগ্রাম ,কবি ,অভিযান ,হাঁসুলীবাঁকের উপকথা ,



ছোটোগল্প :  জলসাঘর , প্রতিধ্বনি ,কামধেনু , বিষপাথর
 




পুরস্কার : ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে “রবীন্দ্র পুরস্কার” লাভ করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে “সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার” পান। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চীন সরকারের আমন্ত্রণে চীন ভ্রমণে যান। এর পরের বছর তিনি অ্যাফ্রো-এশিয়ান লেখক সঙ্ঘের কমিটি গঠনের প্রস্ততিমূলক সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন গমণ করেন। এর পর তিনি তাসখন্দে অনুষ্ঠিত অ্যাফ্রো-এশিয়ান লেখক সম্মেলনে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তারাশঙ্কর ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন।

শরৎস্মৃতি পুরস্কার , জগত্তারিণী স্মৃতিপদক , রবীন্দ্র পুরস্কার , সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার , জ্ঞানপীঠ পুরস্কার , পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ উপাধি



মৃত্যু : সেপ্টেম্বর ১৪, ১৯৭১ সালে ।

 

 

 

 

শুক্রবার, ২ এপ্রিল, ২০২১

উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও

 

উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও

 



প্রশ্ন :-  উদাহরণসহ স্বাধীন রুপমূল ও পরাধীন রুপমূল বুঝিয়ে দাও


উত্তর:- স্বাধীন রুপমূল : রুপমূলের মধ্যে কিছু রুপমূল আছে যেগুলো মুক্ত বা স্বাধীন । এই রূপমুল গুলো একা একা ভাষায় ব্যাবহৃত হতে পারে । এই ধরনের রুপমূল গুলোকে স্বাধীন রুপমূল বলে । একটা স্বাধীন রুপমূল কখন ও নিজে একটা পদ হতে পারে । যেমন - মানুষ , বেড়াল , ফুল ইত্যাদি ।  আবার কোনো কোনো শব্দে জায়গা নেয় একাধিক স্বাধীন রুপমূল । সেখানে দুটো রুপমূলেরই স্বাধীন অস্তিত্ব থাকে । যেমন -


 সম্পূর্ন পদ = স্বাধীন রুপমূল + স্বধীন রুপমূল

রাজপথ = রাজ + পথ ।

জনশূন্য = জন + শূন্য ।



পরাধীন রুপমূল : রুপমূলের মধ্যে আবার কিছুরুপমূল আছে যারা স্বধীন রুপমূলের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে । এই রুপমূল গুলোকে সবন্ত্র ভাবে বা একা একা ভাষায় ব্যাবহার করা যায় না । এই রুপমূল গুলোকে পরাধীন রুপমূল বলে ।

যেমন -

সম্পূর্ণ পদ = স্বধীন রুপমূল + পরাধীন রুপমূল

মানুষকে = মানুষ + কে

বেড়ালগুলো = বেড়াল + গুলো

ফুলওয়ালা = ফুল + ওয়ালা

দেশজ = দেশ + জ

উপরের উদহারন গুলোতে স্বধীন রুপমূল আগে বসেছে আর পরাধীন রুপমূল পড়ে বসেছে । এর বিপরীত অবস্থান ও এক্ষেত্রে হতে পারে । যেমন -

সম্পূর্ণ পদ = পরাধীন রুপমূল + স্বাধীন রুপমূল

অমানুষ                  অ                        মানুষ

বিদেশ                    বি                          দেশ