Breaking News

“বুদ্ধিটা কী করে এল তা বলি ।”— কোন্ বুদ্ধি এবং তা কীভাবে এল — নাট্যকারকে অনুসরণ করে আলোচনা করো ।

 


উত্তর : শম্ভু মিত্র তাঁর ‘বিভাব’ নাটকে গ্রুপ থিয়েটারের নানারকম সমস্যার কথা বলতে গিয়ে সেই সমস্যা মুক্তির পথও সন্ধান করেছেন । মঞ্জু বা মঞ্চসজ্জার উপকরণসমূহ না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নাটক মঞ্চস্থ করা যায় তার উপায় খুঁজে বের করাকেই ‘বুদ্ধি’ শব্দটির দ্বারা নাট্যকার বোঝাতে চেয়েছেন ।

>>> নাট্যকারের একবার চোখে পড়ে , কোনো এক পুরোনো বাংলা নাটকে ‘রাজা রথারোহণম নাটয়াতি’ অর্থাৎ রাজা রথে আরোহণ করার ভঙ্গি করলেন —একথা লেখা ছিল । অর্থাৎ রথ বা ঘোড়া ছাড়াই অভিনয় সম্পন্ন করার একটি রেওয়াজ বাংলা নাটকে আগে থেকেই ছিল । উড়ে দেশের যাত্রাতেও রাজার নির্দেশ — ঘোড়ায় করে দ্রুত খবর নিয়ে আসার জন্য দূত দু-পায়ের ফাঁকে লাঠি গলিয়ে আওয়াজ করতে করতে বেরিয়ে গেল । ঘোড়া থাকল না , কিন্তু ভঙ্গিটাকে ব্যবহার করা হল । মারাঠি তামাশাতেও নাট্যকার দেখেছিলেন জমিদারের কাছে আবেদন ব্যর্থ হওয়ায় চাষি ভগবানের কাছে নালিশ জানাতে গেল । এখানেও সে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেল না , শুধু ভঙ্গিকে অবলম্বন করে গ্রাম অতিক্রম করল এবং মন্দিরের সামনে পৌঁছে নিজের দুঃখের কথা জানাতে লাগল । অন্যদিকে , জমিদার দর্শকদের সামনেই সামান্য সাজ পালটে পুরুত হয়ে গিয়ে শুরু করে দেয় তাঁর ধর্মীয় তর্জন গর্জন । এইভাবে দর্শকদের কল্পনার সাহায্য নিয়ে নাট্য অভিনয়ের যে ঐতিহ্য সেখান থেকেই নিজেদের নাটক মঞ্চস্থ করার বুদ্ধি পেয়ে গিয়েছিলেন নাট্যকার শম্ভু মিত্র ।

No comments