Breaking News

“ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল , পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন ?” কে , কখন , কাকে উদ্দেশ্যে করে মন্তব্যটি করেছেন ? মন্তব্যটির পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো ।

 


উত্তর :-  কর্তার সিং দুগ্গাল-এর ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখক বা গল্পের কথক তাঁর বোনকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন । মার কাছে নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় আটকানোর গল্প শুনে লেখকের বোন যখন অবিশ্বাস ব্যক্ত করে তখনই লেখক তাঁকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেন ।  

>>> কুয়োতে জল না থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলী কান্ধারী দেখেন পাহাড়ের নীচে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে , আর তার নিকটেই বসে আছেন শিষ্যসহ গুরু নানক । নানকের উপরে জাতক্রোধের অধিকারী বলী কান্ধারী এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে পাহাড়ের ওপর থেকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন নীচের দিকে । কিন্তু নানক তা হাতের পাঞ্জা দিয়ে আটকে দেন । লেখকের বোনকে তাঁদের মা যখন এই গল্পটি বলছিলেন , তখন তার কাছে ঘটনাটি অবিশ্বাস্য মনে হয় । কিন্তু লেখকের অভিজ্ঞতায় তখন রয়েছে তাঁর মায়ের বান্ধবীর কাছে শোনা জীবন দিয়ে ট্রেন থামানোর কাহিনি । বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে ট্রেনের মধ্যে রুটি , ডাল , লুচি , পায়েস পৌঁছে দিতে গিয়ে যেভাবে তারা নিজেদের মৃত্যু ডেকে এনেছিল তা খুব সহজ ব্যাপার ছিল না । এইভাবে সাধারণ মানুষেরাই যেখানে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিল , সেখানে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঁই ঠেকানো অবাস্তব হতে পারে না । এইভাবেই দেশচেতনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঞ্জা সাহেবের ‘অলৌকিক’ ঘটনার মধ্যে যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন লেখক ।

No comments