Breaking News

‘নানা রঙের দিন’ নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেন-এর চরিত্র আলোচনা করো ।

 


উত্তর » অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক ‘নানা রঙের দিন’-এ কালীনাথ সেন হলেন থিয়েটারের প্রম্পটার , যার বয়স ষাটের কাছাকাছি । গভীর রাতে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যখন নেশার ঘোরে বুঁদ হয়ে একা মঞ্চে অসংলগ্ন আচরণ করছেন , তখনই ময়লা পাজামা পরে , কালো চাদর গায়ে এলোমেলো চুলের কালীনাথ সেনের মঞ্চে প্রবেশ ঘটে ।

>>> কালীনাথের ব্যক্তিগত জীবনও রজনীকান্তের মতো বা তার থেকেও দুঃখের । কালীনাথের কোনো শোবার জায়গাও নেই । তাই নাটকের শেষে রোজ লুকিয়ে তাঁকে গ্রিনরুমে ঘুমোতে হয় । তাঁর এই আশ্রয়টুকুও যাতে চলে না যায় সেজন্য মালিকের কানে বিষয়টি না তোলার জন্য তিনি রজনীকান্তকে অনুরোধ করেন ।


>>> প্রম্পটার কালীনাথও যে নাটকের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক ব্যক্তিত্ব , তা বোঝা যায় যখন রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি মঞ্চের উপরে অনায়াসে ‘সাজাহান’ নাটকে মহম্মদের সংলাপ বলে যান । একের পর এক সংলাপ অনায়াস দক্ষতায় যেভাবে কালীনাথ বলে গেছেন তা নাটকের সঙ্গে তাঁর গভীর সংযোগেরই পরিচয় বহন করে ।

 

>>> কালীনাথের চরিত্রে মানবিকতার প্রকাশ দেখা যায় । হতাশ এবং অবসাদগ্রস্ত রজনীকান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি । সেই তে গভীর রাতে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিতেও চেয়েছেন । “আপনার প্রতিভা এখনো মরেনি...”– এই কথার মাধ্যমে তিনি হতাশ রজনীকান্তকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছেন । এককথায় বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্তের চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলায় পার্শ্বচরিত্র হিসেবে প্রম্পটার কালীনাথ সেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ।



No comments