Breaking News

“তবে হ্যাঁ , মানতে পারে , যদি সাহেব মানে । যেমন রমি ঠাকুরকে মেনেছিল ।”— মন্তব্যটির তাৎপর্য আলোচনা করো ।

 


উত্তর » চারপাশের যে অজস্র প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে থিয়েটারকে নাটকের অভিনয় করতে হয় , শম্ভু মিত্র তাঁর ‘বিভাব’ নাটকের সূচনায় তার উল্লেখ করেছেন । এইসব সমস্যার মধ্যে একদিকে যেমন আছে সরকারি নিয়মের কঠোরতা , তাদের বিমাতৃসুলভ আচরণ তেমনি অন্যদিকে রয়েছে মঞ্চের অভাব , মঞ্চসজ্জা , আলো ইত্যাদি অভিনয়ের প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবও । এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য নাট্যকার শম্ভু মিত্র নিজের মতো করে পথ সন্ধান করেছেন । প্রাচীন বাংলা নাটক , উড়ে যাত্রা কিংবা মারাঠি তামাশায় তিনি দেখেছেন যে শুধুমাত্র ভঙ্গিকে আশ্রয় করে কল্পনার সাহায্য নিয়ে বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা হয় । আসল জিনিসটি না থাকলেও কেবল ভঙ্গির সাহায্যে বক্তব্যের বা বিষয় আস্বাদনে দর্শকদের এক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হয় না । এখান থেকেই শম্ভু মিত্রের মনে হয়েছে এটি তাদের নাট্যাভিনয়ের পথও হতে পারে । কিন্তু পরমুহূর্তে শহরের তথাকথিত শিক্ষিত এবং সাহেবি কেতায় অভ্যস্ত ইংরেজি জানা মানুষদের কাছে এই ধরনের অভিনয় গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সে বিষয়ে নাট্যকার সংশয়ী হয়েছেন । তাঁর মনে হয়েছে যদি ইংরেজরা বা সাদা চামড়ার লোকেরা এই অভিনয় ধারাকে মেনে নেয় , তাহলেই তা সহজে এ দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে , ঠিক যেমনটা হয়েছিল । নোবেল পদক পাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে । বলা বাহুল্য শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালির ঔপনিবেশিক মানসিকতাকেই এখানে নাট্যকার ব্যক্ত করেছেন ।

No comments