বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৯

উচ্চমাধ্যমিক ২০১৫ রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন পত্র



                         উচ্চ মাধ্যমিক    ২০১৫
                              রাষ্ট্র বিজ্ঞান

বিভাগ :- " ক "                                      নাম্বার ৪০
 ১) নিম্নলিখিত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও ( বিকল্প প্রশ্ন গুলি লক্ষণীয় ) ৮×৫ = ৪০

i) আন্তজার্তিক সম্পর্ক বলতে কি বোঝো ? আন্তজার্তিক সম্পর্ক ও আন্তজার্তিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য কি ?

                            অথবা

 বিশ্বায়নের প্রকৃতি আলোচনা করো ।

ii) উদারনীতিদের মূল বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো ।

iii) ক্ষমতাসতন্ত্রিকরন নীতির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি বিশ্লেষণ করো ।



                             অথবা

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইন সভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও।

iv) ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সমূহ আলোচনা করো।

v) ভারতের হাইকোটের গঠন ও কার্যাবলী ব্যাখা করো ।

                                 অথবা

ভারতের লোক আদালতের গঠন ও কার্যাবলী সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করো ।



মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯

কারন অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর




দর্শন "  কারন " কিছু  গুরুত্বপূর্ণ অতি  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো । আশা করি এই প্রশ্ন ও উত্তর গুলি তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে ।

প্রতিটি প্রশ্নের মান :- ১ 

১) শর্ত কি ?

উত্তর :– শর্ত হলো কারনের এমন এক অপরিহার্য অংশ যা অপুস্থিত বা অনুপুস্থিত থেকেও কার্য কে ঘটাতে পারে।

২) কারন ও শর্তের মধ্যে সম্পর্ক কি ?

উত্তর :– কারন হলো সদথকও নর্থক কাণ্ডের ।

৩) শর্ত কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ৩ প্রকার , আবশ্যিক শর্ত , পর্যাপ্ত শর্ত , আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত ।

৪) আবশ্যিক শর্ত  কাকে বলে ?

উত্তর :– যদি কোনো শর্ত অপুস্থিত থাকলে কোনো ঘটনা ঘটা সম্ভবনা না হয় তাহলে সেই বিশেষ শর্তটিকে বলা হয় আবশ্যিক শর্ত বা অনিবার্য শর্ত ।

৫) পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে ?

উত্তর :– একটি ঘটনার পর্যাপ্ত শর্ত হলো সেই শর্ত যার অপুস্থিতে উক্ত ঘটনাটি ঘটবেই ।


৬) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত  কাকে বলে ?

উত্তর :– যদি দুটি ঘটনার সমন্ধ এমন হয় যে প্রথম টি না ঘটলে দ্বিতীয় টি ঘটেনা এবং প্রথম ঘটনাটিকে বলা হয় দ্বিতীয় ঘটনার আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত   ।

৭) কারনের কথক কয় প্রকার লক্ষণ করা যায় ?

উত্তর :– ২ প্রকার
                          ক) কারনের গুন ঘনত্ব লক্ষণ
                         খ) কারনের পরিমাণ ঘনত্ব লক্ষণ

৮) কারনের গুন লক্ষণ কি ?

উত্তর :– কারন হলো কোনো ঘটনার শর্তহীন অববহিত নিয়ত পূর্বগামী ঘটনা ।

৯) বহূকারনবাদ কাকে বলে ?

উত্তর :– বহূকারনবাদ কথাটির অর্থ হলো একই কার্যের বহূ কারন থাকতে পারে , উপর কোথায় একই কার্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনের দ্বারা উৎপন্ন হতে পারে ।

১০) বহূকারনবাদের সমর্থক করেন এমন কয়েকজন নাম লেখো ?

উত্তর :– মিল , বেন বহূকারনবাদের সমর্থক ।

১১) বহূকারনবাদের একজন সমালোচক হলেন ?

উত্তর :– I .M .Copy

১২) কার্য সমীকরণ কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তর :– ২ প্রকার

                      ক) সমজাতি ও কার্যসমীকরণ ।

                     খ) বিজাতি ও কার্যসমীকরণ ।

১৩) কোন অনুমানের সিদ্ধান্ত সর্বদায় সমভাব হয় ?

উত্তর :– অবৈজ্ঞানিক আরোহের অনুমান ।

১৪) অবৈজ্ঞানিক আরোহের মূল কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তর :– দৃষ্টান্তের সংখ্যার উপর ।

১৫) অপ্রমার অনুমান কীসের উপর নির্ভর করে ?

উত্তর :– সাদৃশ্যের গুরুত্বর উপর ।



শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯

ঔ পনিবেশিক আধিপত্যের প্রকৃতি : নিয়মিত ও অনিয়মিত সাম্রাজ্য কয়েকটি গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন




১) ' দস্তক ' - এর অপব্যাবহার কি ? সিরাজ - উদ দৌলা র সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের কারন কি ছিল ?

২) বক্সারের যুদ্ধের প্রধান কারন গুলি কি ছিল ? এই যুদ্ধের ফলাফল বা গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করো ?

৩) ১৭৭৩ খিষ্টাবদে র রেগুলে টিং আইনের শতাবলি কি ছিল ? এই আইনের মূল্যায়ণ করো ?

৪) ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কিভাবে বাংলার দেওয়ানী লাভ করে ? দেওয়ানী লাভের গুরত্ব বা ফলাফল আলোচনা করো ?

৫) পলাশী যুদ্ধের পরবর্তী কালে বাংলায় কিভাবে ? দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চালু হয় ? এই ব্যাবস্থার ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো ?

৬) ' অব শিল্পায়ন ' বলতে কি বোঝো ? ঔ পনিবেশীক আমলে ভারতে অব শিল্পায়নের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো ?

৭) বাংলার সমাজ ও অর্থ নীতিতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবাহ সমূহ পর্যালোচনা করো ? দেশীয় বস্ত্র শিল্পের ওপর  অব শিল্পায়নের কি প্রভাব পড়েছিল ?

৮) ভারতে কে , কবে সর্ব প্রথম রেলপথ স্থাপন করেন ? ব্রিটিশ শাসন কালে ভারতে রেল পথ স্থাপনের বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বা কারণ গুলি উল্লেখ্য করো ?

৯) ' ক্যান্টন বাণিজ্য ' বলতে কি বোঝো ? ক্যান্টন বাণিজ্য র বৈশিষ্ট্য গুলি উল্লেখ করো ?

ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্য বাদের প্রসার কয়েকটি গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন



১) উপনিবেশ বাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সম্পর্কে আলোচনা করো ?

২) সাম্রাজ্য বাদ বলতে কি বোঝো ? সাম্রাজ্য বাদের বিভিন্ন রূপ গুলি আলোচনা করো ?

৩) উপনিবেশ বাদের সঙ্গে সাম্রাজ্য বাদের সম্পর্ক নিধারণ করো ?

৪) মার্কসীয় তত্ত্বের আলোকে সাম্রাজ্যবাদ সম্পর্কিত লেনিনের মত আলোচনা করো ?

৫) উপনিবেশিক রাষ্ট্র গুলিতে জাতিগত ব্যবধানের প্রভাব গুলি লেখো ?

সোমবার, ২৭ মে, ২০১৯

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন সেট পার্ট ১


উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন পার্ট ১


হ্যালো বন্ধুরা , আমরা আজ থেকে শুরু করলাম বাড়িতে প্র্যাকটিস করার জন্যে কিছু প্রশ্ন PART "A"এবং  PART  "B" ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে এবং তোমরা সে গুলি বাড়িতে প্র্যাকটিস করলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে তোমাদের অবশ্যই সাহায্য করবে আশা করি ।। ধন্যবাদ

                               PART - A

১)  "কে বাঁচায় কে বাঁচে " গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের চরিত্রের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করো ।

২) কি হয়েছে বাবু , কে এই প্রশ্নটি করেছিল ? কোন প্রসঙ্গে উল্লেখ করো ?

১) একটি তারা এখনো আকাশে রয়েছে " - আকাশের তারা কে কেন্দ্র করে কবির ভাবনার যে মানুষ বিশিষ্টতা প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো ।

২)  " রুপনারানের কূলে / জেগে উঠিলাম " - কবির এই জেগে ওঠার তাৎপর্য আলোচনা করো ?


১) বুদ্ধিটা কি করে এল তা বলি । কোন বুদ্ধি এবং তা কীভাবে এল – নাট্যকারকে অনুসরণ করে আলোচনা করো । 

২) আমার প্রতিভা এক্ষণ ও মরেনি - শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা । মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখ ।

১) এত যে শুনি বাইজেন্টিয়াম , সেখানে কি সবাই প্রসাদেই থাকত ? কবির মন্তব্যের তাৎপর্য আলোচনা করো । 


২) বলী কান্ধারী র সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দনার কি অভিজ্ঞতা হয়েছিল ? 

১) চেংমানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো চেংমান কে ? কেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল ।

২) মেঘের গায়ে জেলখানা অবলম্বনে সাধুচরনের পরিচয় দাও ?

১) বিভাজ্য ধ্বনি মূল ও অবিভাজ্য ধ্বনি মূলের তুলনামূলক আলোচনা করো ।

২) গঠনগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণীবিভাগ করো ? 

১) বাংলা গানের সাহিত্যের  ইতিহাসে  মান্না দে এর অবদান আলোচনা করো ।


২) বাংলা চিত্রকলা সাহিত্যের ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর অবদান আলোচনা করো 

৩) বাংলা গানের সাহিত্যের ইতিহাসে মৃণাল সেন এর অবদান আলোচনা করো 

৪) বাংলা গানের সাহিত্যের ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ বসু এর অবদান আলোচনা করো ।

                 বাংলা রচনা 

১) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২) নির্বাক জীবন 

৩) বিতর্কের বিষয় - পাস ফেল তুলে দেওয়া এক প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত 

৪) বেগম রোকেয়া 


                   PART-2 


১) নিখিলকে বার বার আসতে হয় । নিখিল আসে

ক) মৃত্যুর কাছে , ফুটপাতে 

খ) মৃতুঞ্জয়ের বাড়িতে 

গ) অফিসে

 ঘ) রিলিফ সোসাইটিতে 

২) সে সর্গসুখ পায় ভাতের স্পর্শে । - উচ্ছবের সর্গসুখ লাভের কারন 

ক) বহুদিন সে ভাত খেতে পায়নি 

খ) এত ভালো চালের ভাত সে আগে কখনো খায়নি 

গ) প্রচন্ড খাটুনির পর  সে একমুঠো ভাত পেয়েছিল

 ঘ) ভাতই তার প্রথম পছন্দ 

৩) সে অত্যন্ত ঘাবরে যায় । - উচ্ছবের ঘাবরে যাওয়ার কারন 

ক) বুড়ো কর্তা হটাৎ মারা গেল 

খ) রাস্তায় বেশ কয়েকটা গাড়ি সে দেখতে পেল 

গ) বড়ো পিসিমার কান্নার শব্দ তার কানে এলো 

ঘ) মন্দিরের চাতালের ছেলেরা তাকে ঘুম ভাঙিয়েছিল 

৪) চৌকিদার কে খবর দেওয়া হলো । - চৌকিদার কে কেন খবর দেওয়া হলো  

ক) বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে তাদের সমস্যা হতে পারে 

খ) দোকান বন্ধের নির্দেশ একমাত্র সেইই দিতে পারে

 গ) দাঙ্গা বাঁধার উপক্রম হয়েছিল তাই 

ঘ) রাস্তায় বুড়ি টি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে তাই ।

৫) সংসারে তার নাকি মন নেই । – এ খানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হলো 

ক) মৃতুঞ্জয় 

খ) মৃতুঞ্জয়ের স্ত্রী 

গ) নিখিল 

ঘ) নিখিলের স্ত্রী

৬) বিভাব নাটকের প্রেমের দৃশ্যে নৈপন্থে কি বেজেছিল ? 

ক) পিয়ানো

 খ) বেহালা

 গ) হারমোনিয়াম 

ঘ) বাঁশি 

৭) বিভাব নাটকের যথাথ নাম যা হওয়ার উচিত বলে নাট্যকার মনে করেছেন তা হলো 

ক) তামাশা 

খ) অভাব 

গ) প্রভাব 

ঘ) অভাবিত 

৮)  নানা রঙ্গের দিন নাটকে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যার পোশাক পড়েছিলেন , তিনি হলেন 

ক) দিলদার 

খ) শাজাহান 

গ) ঔরঙজেব 

ঘ) মানসিংহ

৯) রক্তের অক্ষরে কবি দেখেছিলেন 

ক) শহীদের আত্মদান 

খ) আপনার রূপ 

গ) সত্যের মুল্য 

ঘ) জীবনের প্রশান্তি 

১০) শিকার কবিতায় দ্বিতীয় বার আগুন জ্বলেছিল কারন 

ক) শরীর কে উম রাখার জন্য 

খ) রাতের অন্ধকার কে ঘোচানোর জন্য 

গ) হরিণের মাংস রান্নার জন্য

 ঘ) বন্য পশুদের ভয় দেখানোর জন্য 

১১) অলস সূর্য কি একে দেয় ? 

ক) সৌর কিরণ 

খ) আলোক রেখা 

গ) আলোক স্তম্ভ 

ঘ) ছায়া পথ 

১২) আমি দেখি কবিতায় কবি যা দেখতে চান ? 

ক) সবুজ 

খ) মনোরম দৃশ্য

 গ) সমুদ্রের ঢেউ 

ঘ) অস্তমিত সূর্য 

১৩) সেখানে কি সবাই প্রসদেই থাকত - কোথাকার কথা বলা হয়েছে ? 

ক) লিমা 

খ) বাইজেনটিয়াম 

গ) ব্যাবিলন 

ঘ) আটলান্টিস 

১৪) ভারতবর্ষের বেতার সংক্রান্ত গবেষণার অগ্রদূত হলেন। -

ক) জগদীশ চন্দ্র বসু

 খ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু 

গ) শিবচন্দ্র নন্দী

 ঘ) শিশির কুমার মিত্র 

১৫) শব্দ হলো চিন্তার উৎস বা জনক , এরূপ মনোভাব পোষণ করতো 

ক) প্রাচীন রোমানরা 

খ) প্রাচীন মিশরীয়রা 

গ) প্রাচীন ভারতীয়রা 

ঘ) প্রাচীন পারসিকরা 

১৬) নিচের কোন রূপমূলটি মিশ্ররূপমূল ? 

ক) পদ্মলোচন 

খ) ছেলেমি 

গ) গড়ন 

ঘ) মহিলারা

১৭) বলী কন্ধারির জলের উৎস ছিল 

ক) কুয়ো 

খ) সমুদ্র 

গ) ঝরনা

 ঘ) সরোবর 

১৮) রবীন্দ্রনাথের " সহজ পাঠ " গ্রন্থের অলংকরণ করেন 

ক) জ্যোতিরিন্দ্রণাথ

খ) অবনীন্দ্রনাথ  

গ) দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর 

ঘ) নন্দলাল বসু ।

১) ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা । কোন পাশবিক স্বার্থপরতার কথা বলা হয়েছে ?

২) ঝড় বৃষ্টির রাতে উচ্ছব কি কি খেয়েছিল ?

৩ ) সেই রাত্রে জীবনে প্রথম বুঝলাম – বক্তা কি বুঝেছিলেন ? 

৪) বিভাব নাটকে অমর গাঙ্গুলীর কোন নাট্য দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ? 

৫) আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন । এরূপ বলার কারন কি ? 

৬) একটি তারা এখনো আকাশে রয়েছে । তারা টিকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন ?

৭) এ খানে অসহ্য নিবিড় অন্ধকারে – এ খানে বলতে কোথাকার কথা বলা হয়েছে ? 

৮) গাছ তুলে আনো বাগানে বসাও –  কেন বাগানে গাছ বসাতে বলা হয়েছে ? 

৯) সোনা ঝক ঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল । – লিমা কি ? 

১০) বাক্যতত্ব কাকে বলে ? 

১১) ক্যানবেরী রূপমূল কি ? 

১২) গল্পটা মনে পরলেই হাসি পেত । গল্প টা কি ?                       

দর্শন ( টিকা ) সাজেশন উত্তর সহ



১) অবৈধ সামান্নি করন দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– লৌকিক আরহের ক্ষেত্রে কার্য কারনের উপর এ নির্ভর না করে কেবলমাত্র অবাদ অভিজ্ঞার ভীতিতে দ্রুত সামান্নি করন করা হয় এবং তার মাধ্যমেই একটি সামান্য বচন প্রতিষ্টা করা হয় । এর ফলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয় অবৈধ সামান্নি করন দোষ  ।
উদাহরন :– অমুখ করলে ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন নেই , কারন যারা ডাক্তারের পরামর্শ নেয় তারাও মারা যায় ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি অবৈধ সামান্নি করন দোষে দুষ্ট । অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দেখা গেছে যে , বেশ কিছু লোক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা সত্বেও মারা গেছে । এর থেকে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে যে , ডাক্তার ডাকার প্রয়োজন নেই কিন্তু যুক্তিটি অবৈধ কেননা অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে এবং পরামর্শ গ্রহণকারী  ব্যাক্তি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে  । সেই বিরোধী দৃষ্টান্ত গুলি পর্যবেক্ষণ না করার জন্য যুক্তি টিতে  অবৈধসামান্নি করন দোষ ঘটেছে ।


২) মন্দ উপমা যুক্তি । ( টিকা )

উত্তর :– দুই বা ততোধিক বস্তুর মধ্যে কয়েকটি বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে এবং সেই সাদৃশ্যর ভীতিতে  যখন তাদের অপর কোনো নতুন সাদৃশ্যর অস্তিত্ব অনুমান করা হয় তখন তাদের কে বলা হয় উপমা যুক্তি । যদি সাদৃশ্যর সংখ্যা ও গুরুত্ব কম হয় তাহলে সেই উপমা যুক্তিতে যে দোষ ঘটে এবং সেইরূপ যুক্তিকে বলা হয়  মন্দ উপমা যুক্তি ।

উদাহরণ :– কুকুর এবং চেয়ার উভয়ের চারটি করে পা আছে । যেহেতু কুকুর কামড়াতে পারে তাই চেয়ার ও কামড়াতে  পারে ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি হলো মন্দ উপমা যুক্তির দৃষ্টান্ত । এখানে কুকুরের সঙ্গে চেয়ারের সাদৃশ্য দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে । কিন্তু কুকুর ও চেয়ারের মধ্যে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাদৃশ্য যার ভিত্তিতে উক্ত সিদ্ধান্ত যুক্তি যুক্ত হবে । বস্তুত , কুকুর ও চেয়ারের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈসাদৃশ্য গুলি উপেক্ষা করা হয়েছে । এই যুক্তিটিতে হেতু সাদৃশ্য র সঙ্গে সিদ্ধান্তের অনুমিত ধর্মের প্রাসঙ্গিকতার অভাব আছে । সেজন্য এই যুক্তিতে মন্দ উপমা যুক্তির দোষ আছে ।

৩) আবশ্যিকশর্তকে সমগ্র কারন বলে মনে করার দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– কারন হলো কতক গুলি আবশ্যিক শর্তের সমষ্টি । এই সব শর্তের মধ্যে একটিকে যদি কারন হিসেবে গন্য করা হয় তাহলে যুক্তিতে যে দোষ ঘটে তাকে বলা হয় , " শর্তকে সমগ্র কারন বলে গন্য করার দোষ । "

উদাহরন :– একজন ব্যাক্তি মই থেকে পা ফসকে মাটিতে পড়ে মারা যায় । সুতরাং মই থেকে পড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিটির মৃত্যুর কারণ ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিতে একটি আবশ্যিক শর্তকে কারন বলার গণ্য করার জন্য দোষ ঘটেছে । একথা সত্য যে মই থেকে পড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিটির মৃত্যুর একটি আবশ্যিক শর্ত । কিন্তু এটিকে পর্যাপ্ত শর্ত বলা যাবে না । এই শর্তের সঙ্গে আরও কতক গুলি শর্ত যুক্ত আছে । যেমন – মইটির উচ্চতা , লোকটির শারীরিক দুর্বলতা , দৃষ্টি শক্তির অভাব , প্রাথমিক চিকিৎসার অভাব ইত্যাদি । এইসব শর্তকে উপেক্ষা করে কেবলমাত্র একটি শর্তকে সমগ্র কারন বলে মনে করার জন্য এই দোষ ঘটেছে ।
 

৪) কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করার দোষ । ( টিকা )

উত্তর :– কোনো কার্যের যে কোনো পূর্বগামি ঘটনা সেই কার্যের কারন হিসেবে গণ্য হতে পারে না । তাই সেটি প্রকৃত কারণ তাকে কারন বলে গণ্য না করে যদি কোনো অপ্রাসঙ্গিক  বা অবান্তর বিষয় কে কারন হিসেবে গণ্য করা হয় , তাহলে কারন সংক্রান্ত দোষ দেখা দেয় , এই দোষ কে বলে কোনো অবান্তর বা অপ্রাসঙ্গিক ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করার দোষ ।
উদাহরন :– রাশিয়াতে যখন গমের ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি পাচ্ছে সুতরাং রাশিয়ায় গমের ফলন হলো কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি কারন ।

ব্যাখা :– এই যুক্তিটি অপ্রাসঙ্গিক বিষয়কে কারন বলে গণ্য করার দোষ এ দুষ্ট , এক্ষেত্রে দুটি ঘটনার মধ্যে সহ পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলেও সেই সহ পরিবর্তন প্রাসঙ্গিক নয় । প্রস্তুত দুটি ঘটনা অথাৎ রাশিয়াতে গমের ফলন এবং কলকাতা শহরে জন্ম হার বৃদ্ধি সহ পরিবর্তিত হলেও এদের মধ্যে কোনো কার্য কারন সম্পর্ক নেই কাজেই সহ পরিবর্তন পদ্ধতি যা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা কারন বলার জন্য এই যুক্তিটিতে দোষ দেখা দিয়েছে ।


৫) কাকতালীয় দোষ ( টিকা )

উত্তর :– কারন হলো কার্যের পূর্বগামী ঘটনা এবং কার্য হলো কারনের অনুগামী ঘটনা কিন্তু তাই বলে যে কোনো পূর্বগামী ঘটনা কারন বলে গণ্য করা যায় না । কারন হবে কার্যের নিয়ত শতান্তরহীন পূর্বগামি ঘটনা । যে কোনো পূর্বগামি ঘটনাকে কারন হিসেবে গ্রহণ করলে যে দোষের উদ্ভব হয় তাকে বলে কাকতালীয় দোষ ।

উদাহরন :– বাড়িতে নববধূ আসার পরদিনে শাশুড়ি মারা গেলো সুতরাং নববধূর আগমন শাশুড়ির মৃত্যুর কারণ ।


ব্যাখা :– এই যুক্তিটি কাকতালীয় দোষে দুষ্ট । এক্ষেত্রে বাড়িতে নববধূ আগমনই ঠিকই যে বাড়িতে নববধূর আগমনে পরদিনই শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে । কিন্তু এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো কার্য কারন সম্পর্ক নেই এক্ষেত্রে প্রথম ঘটনাটি হলো ( নববধূর আগমন ) এবং দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো ( শাশুড়ির মৃত্যু ) নিয়ত পূর্ববতি নয় । কিন্তু কারন হতে হলে কোনো ঘটনাকে নিয়ত পূর্ববতী হতে হবে । বস্তুত নিচ্ছক পূর্ববতী ঘটনাকে কারন বলে গণ্য করা যায় না । তাই যুক্তিটিতে কাকতালীয় দোষ ঘটেছে ।


৬) অপর্যবেক্ষণ দোষ ( টিকা )

উত্তর :– কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্যে যে ঘটনা বা বিষয় পর্যবেক্ষণ করা উচিত ছিল তা যদি পর্যবেক্ষণ করা না হয় তবে যে দোষ ঘটে , তাকে বলে অপর্যবেক্ষণ দোষ । এই অপর্যবেক্ষণ দোষ হলো নর্থক প্রকৃতির । কারন এক্ষেত্রে যেসব বিষয় আমাদের দেখা উচিত , অথচ আমরা দেখিনা এবং সেগুলিকে না দেখার জন্যে ভ্রান্তি বা দোষ ঘটে ।

উদাহরন :– অনেকেই বিছানায় মারা গেছে সুতরাং বিছানায় শুয় না ।

ব্যাখা :– এক্ষেত্রে যুক্তিটি ভ্রান্ত এবং অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট । এখানে আমরা কেবলমাত্র সদর্থক দৃষ্টান্ত গুলিকে
পর্যবেক্ষণ  করেছি । অথাৎ যেসব ক্ষেত্রে মানুষ বিছানায় শুয়ে মারা গেছে সেগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেছি । কিন্তু নর্থক দৃষ্টান্ত গুলি পর্যবেক্ষণ করা হয়নি । তাই যুক্তিটি ভ্রান্ত বা অপর্যবেক্ষণ দোষে দুষ্ট হয়েছে ।



বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯

বইমেলা রচনা






(সংকেত: ভূমিকা; বইমেলার ইতিহাস, বাংলাদেশে বইমেলা; লেখক, প্রকাশক ও ক্রেতার সুযোগ; বই কেনার আগ্রহ বৃদ্ধি; মেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ; পারস্পরিক ভাব বিনিময়; বইমেলার গুরুত্ব; বিচিত্র মানুষজন; একুশে বইমেলা; উপসংহার।)

ভূমিকা: মেলা শব্দটির সাথে আমরা অতি পরিচিত। শত শত বছর ধরে এটি সভ্যতা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে আছে। মেলা যেমন বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে তেমনি এর পৃষ্ঠপোষকরাও হয় বিভিন্ন রকমের। এর মধ্যে বইমেলা সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে নব আবেদন সৃষ্টি করে। বইমেলার প্রচলন খুব প্রাচীন নয়। তবে সম্প্রতি বইমেলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বইমেলা পাঠকদেরকে বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। মানুষের চিন্তাভাবনা ও জ্ঞানধারণাকে বিস্তৃত করে তোলে, মানুষকে সুখী ও তৃপ্ত করে। বইমেলার মাধ্যমে একটি দেশের সাহিত্য-শিল্প-সাংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া যায়। এটি জ্ঞানান্বেষী কোটি কোটি মানুষের জ্ঞান-তীর্থ।


বইমেলার ইতিহাস: ত্রয়োদশ শতকের প্রথম দিকে স্টুর ব্রিজের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বুক সেলার্স রো’ নামে মেলায় বইয়ের অংশগ্রহণও ছিল। ১৮০২ সালে সর্বপ্রথম নিউইয়র্ক শহরে বইমেলার পূর্ণাঙ্গ আসর বসে। এর উদ্যোক্তা ছিলেন ম্যাথু কেরি। ১৮৭৫ সালে একশজন প্রকাশকের ত্রিশ হাজার বই নিয়ে বইমেলার আয়োজন করা হয় নিউইয়র্কের ক্লিনটন শহরে। ১৯৪৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ফ্রাঙ্কফুটে। সেখান থেকেই আধুনিক বইমেলার পদযাত্রা শুরু। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফ্রাঙ্কফুট, লন্ডন, কায়রো, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি বইমেলা জনপ্রিয়তার দিক থেকে শীর্ষস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই বইমেলার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলছে। বইমেলা হয়ে উঠেছে অন্যতম আধুনিক সাংস্কৃতিক উপকরণ। এটি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম ক্ষেত্র।

লেখক, প্রকাশক ও ক্রেতার সুযোগ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- “কে জানিত মানুষ অতীতকে বর্তমানে বন্ধি করিবে? অতল-স্পর্শ কালসমুদ্রের ওপর কেবল এক-একখানি বই দিয়া সাঁকো বাঁধিয়া দিবে”- আর এই বইয়ের ভান্ডার হলো বইমেলা। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বই ক্রয় করতে পারে। বিভিন্ন স্টলগুলোতে ঘুরেফিরে হাতে নিয়ে বই দেখতে পারে। যার ফলে বিভিন্ন অচেনা অজানা বই সম্পর্কে একটু হলেও ধারণা পাওয়া যায়। মেলায় লেখক ও প্রকাশকেরা নতুন জীবনের খোঁজ পায়। তারা বছরের এই সময়টির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে নিজের সৃষ্টিশীলতাকে সবার কাছে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য। লেখক, প্রকাশক এবং ক্রেতা বইমেলায় এসে জীবনের স্বাদ আস্বাদন করে। কেউ মুক্ত চিন্তাধারা বিলিয়ে দেয় আবার কেউ তা কুড়িয়ে নেয়।

বই কেনার আগ্রহ বৃদ্ধি: ভিনসেন্ট স্টারেট বলেছেন- ''When we buy a book we buy pleasure'' অনন্ত বিশ্বে জ্ঞান ও ভাবের অপূর্ব সমন্বয় হলো বইমেলা। মেলায় প্রকাশকরা বিভিন্ন স্টল খোলেন এবং নিজেদের পছন্দের বই সাজিয়ে রাখেন থরে থরে। ফলে সেখান থেকে ক্রেতা অতি সহজেই কাঙক্ষিত বইটি কিনে নিতে পারে। বইমেলায় মূল্য ছাড় দেওয়া হয় যা বই ক্রয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনেক ক্রেতাই বেশি করে বই কেনে। মেলায় লেখক ও প্রকাশকের উপস্থিতি ক্রেতাদের বই কেনার উৎসাহ বাড়িয়ে তোলে। পছন্দের লেখককে হাতের কাছে পেয়ে পাঠক আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। এ সময় অটোগ্রাফ নিতেও কেউ ভুল করে না।

মেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ: পারস্যের কবি ওমর খৈয়াম বলেছেন- “রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে; কিন্তু একখানা বই অনন্তযৌবনা যদি তেমন বই হয়।” সেই অনন্তযৌবনা বইটির খোঁজ পাওয়া যাবে বইমেলা নামক বইয়ের রাজ্যে। যেখানে পাঠক রুচিশীল ও মনোরম পরিবেশে পছন্দের বইটি কিনে মনের খোরাক জোগাতে পারবে। বইমেলায় একটি নির্দিষ্ট পরিসরে সব রকম বইয়ের সমাবেশ থাকায় ক্রেতারা অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময় ব্যয় করে নিজ নিজ চাহিদা অনুযায়ী বই সংগ্রহ করতে পারে। বইমেলায় শুধু বই-ই পাওয়া যায় তা নয় বইমেলা হয়ে ওঠে বিনোদন কেন্দ্র। বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান, গানের আসর, কবিতা আবৃত্তির আসর, আলোচনা সভা, মঞ্চ নাটক ইত্যাদি মেলার সৌন্দর্যবর্ধন করে। বইমেলার উন্মুক্ত ও রুচিশীল পরিবেশ পাঠক-দর্শককে বিস্মিত ও আনন্দিত করে।



পারস্পরিক ভাব বিনিময়: বইমেলা হলো মানুষের মিলনমেলা। ব্যস্ত নাগরিক জীবনের একঘেঁয়েমি দূর করে বইমেলা এনে দেয় প্রশান্তি। উন্মুক্ত পরিবেশে ক্রেতারা একে অপরের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টি লক্ষ্য করে এবং তা নিয়ে আলোচনাও করে। বড়দের সাথে সাথে ছোটরাও বইমেলাকে দারুণভাবে উপভোগ করে। বইমেলায় প্রকাশকরা সরাসরি পাঠকদের চাহিদার দিকে দৃষ্টি রাখতে পারে এবং চাহিদা অনুযায়ী নতুন বই প্রকাশে উদ্বুদ্ধ হয়। এছাড়া লেখক ও প্রকাশকরা নিজেদের মধ্যে ভাব-বিনিময়ের সুযোগ পান। সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তা সমাধানের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন। বইমেলায় ভক্তরা তাদের প্রিয় লেখকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ পায়।

বইমেলার গুরুত্ব: বই মানুষের পরম বন্ধু, মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাণসভা। বই অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মাঝে তৈরি করে সেতুবন্ধন। বই সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে পরিচালিত করে মানুষকে বিশুদ্ধ করে তোলে। ম্যাক্সিম গোর্কি বলেছেন- “আমার মধ্যে উত্তম বলে যদি কিছু থাকে তার জন্যে আমি বইয়ের কাছে ঋণী।” মানুষ জ্ঞানতৃষ্ণা নিবারণের জন্য বইমেলায় ছুটে যায়। বইমেলায় প্রতিদিনের ব্যস্ততা ভুলে মানুষ আনন্দস্রোতে অবগাহন করে। বইমেলার আসল উদ্দেশ্য হলো বইকেনায় মানুষকে আগ্রহী করে তোলা। লেখক ও নাট্যকার মমতাজউদ্দিন বলেছেন-''The importance of a book fair must be duly understood by the people of our country, and then we can flourish ourselves'' বইমেলায় বইয়ের সান্নিধ্য ছাড়াও বইপ্রেমীরা পায় সৃষ্টি সুখ। নবীন লেখকদের আত্মবিকাশের উৎসাহ জাগ্রত হয়। বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয়। কর্মমুখী মানুষ যারা বই কেনার সময় পায় না তারাও মেলার টানে বইমেলায় গিয়ে হাজির হয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠে।

বিচিত্র মানুষজন: বইমেলায় বিভিন্ন বয়সের বিচিত্র মানুষের সমাবেশ ঘটে। ক্রেতাদের কেউ কবিতার বই পড়তে পছন্দ করে, আবার কেউ গল্প-উপন্যাসের বই, কেউ নাটকের বই নিয়েই সন্তুষ্ট আবার কেউ ভ্রমণকাহিনী ভালোবাসে। ছোটদের মধ্যে কারও পছন্দ ছড়ার বই আবার কারও মজার মজার ছোট গল্পের বই। ছোট-বড় অনেকেরই গোয়েন্দাকাহিনী প্রিয়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে ছেলে, বুড়ো, শিক্ষক, জ্ঞানী-গুণী সকলেই বইমেলায় আসে। চোখে পড়ে ছোট শিশুর বইয়ের প্যাকেট হাতে দুরন্তপনা। কোথাও কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে জ্ঞানান্বেষীর মন্থর গতি। চা, কফি ও তল পানীয়ের দোকানে পাঠক ও দর্শকদের ভিড়।

একুশে বই মেলা: খুব চেনা পরিবেশ, শত প্রাণের উদ্দীপ্ত উপস্থিতি, নতুন বইয়ের গন্ধ এই হলো আমাদের একুশে বই মেলা। ভাষা শহিদদের স্মরণে আয়োজিত বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এই গ্রন্থমেলা বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রেরণার উৎস। বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একাডেমি প্রাঙ্গণে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বইমেলার ঐতিহ্যমন্ডিত প্রাঙ্গণ এটি। নীরব বাংলা একাডেমী সরব হয়ে উঠবে বইপ্রেমীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে। ২০১৪ সালে সেই প্রাণস্পন্দন ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহনকারী সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনেও। অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালির বৃহত্তম জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।




উপসংহার: জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বইমেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বইমেলায় এসে মানুষ আবিষ্কার করে। একটি মুক্ত পরিবেশ যেখানে তার আত্মার সঙ্গীটির খোঁজ পাওয়া যায়। জীবনের স্বাদ নেয়ার জন্য সকলেই বইমেলায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাই সবসময় বইমেলায় দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। আমাদের দেশেও এর জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।