বুধবার, ৫ মে, ২০২১

বাংলা কে বাঁচায় কে বাঁচে MCQ প্রশ্ন ও উত্তর





:·  উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা গল্প কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের কিছু MCQ প্রশ্ন ও দেওয়া হলো ।

১)"  আজ চোখে পরলো প্রথম ।" আজ মৃতুঞ্জয়ের প্রথম চোখে পরলো -

 ক)তার চাকর বাজার করছে 
 
খ) তার এলাকায় ফুটপাত বেশি নেই

গ) খবরের কাগজে মনন্ত্রোতের রিপোর্ট ছাপা হয়েছে

ঘ) অনাহারের ফলে মৃত্যু একজন মানুষ

উত্তর :– অনাহারের ফলে মৃত্যু একজন মানুষ


২) " বাড়িটাও তার শহরের ...!" মৃত্যুঞ্জয় বাড়ী
 শহরের -?
ক) কেন্দ্রথলে       
  খ) এক প্রান্তে
গ) বাইরে                 
 ঘ) এক নিরিবিলি অঞ্চলে
উত্তর :– এক নিরিবিলি অঞ্চলে

৩) ...চলতে থাকে শারীরিক কষ্ঠবোধ । মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে কষ্ঠবোধ হওয়ার কারন কি -
ক) সে আঘাত পেয়েছে         
 খ) তার খাওয়া হয়নি
গ) তার মনে আঘাত লেগেছে     
 ঘ) ভাত খাওয়া বেশি হয়ে গেছে
উত্তর :– তার মনে আঘাত লেগেছে

৪) " সংসারে তার নাকি মন নেই ।" এখানে যার কথা বলা হয়েছে , সে হলো
 ক) মৃত্যুঞ্জয়।                                     
  খ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী
  গ) নিখিল।                                         
 ঘ) নিখিলের স্ত্রী
উত্তর :– মৃত্যুঞ্জয়

৫) " অন্য সকলের মতো মৃত্যুঞ্জয়কে সেও খুব পছন্দ করে ।" মৃত্যুঞ্জয়কে নিখিলের পছন্দ করার কারন -
ক) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত বন্ধু বৎসল
খ) মৃত্যুঞ্জয় অত্যন্ত নিরীহ ও ভালোমানুষ
গ) মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস
ঘ) মৃত্যুঞ্জয় অনের বিপদে পাশে দাঁড়াতে জানে
উত্তর :– মৃত্যুঞ্জয় আদর্শবাদের কল্পনা তাপস

৬) " এ অপরাধের প্রায়শ্চিত কি ?" বক্তা এখানে অপরাধ মনে করেন  -
ক) নিজের বেঁচে থাকাকে
খ) নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়া কে
গ) যথাযথ রিলিফ ওয়াক না হওয়াকে
ঘ) নিজের উদাসীন থাকাকে

উত্তর :– নিজের চারবেলা করে ভাত খাওয়া কে
৭) " নিখিল চুপ করে থাকে ।" নিখিলের এই চুপ করে থাকার কারন কি -
ক) সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে
খ) মৃত্যুঞ্জয় তাকে চুপ করতে বলেছে
গ) সে নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে
ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করে উটেছে
উত্তর :– মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ ছল ছল করে উটেছে

৮) " সেটা হয় অনিয়ম ।" এই অনিয়মটি হলো -
ক) বাস্তব নিয়ম উল্টে মধুর আধ্যাতিক নীতিতে পরিণত করা
খ) নিজের কাজকর্ম ছেড়ে রীলিফে অংশ নেওয়া
গ) দুঃখ অনাহারী মানুষদের কথা ভাবা
ঘ) ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাওয়া ।

উত্তর :– বাস্তব নিয়ম উল্টে মধুর আধ্যাতিক নীতিতে পরিণত করা

৯) " নিখিল সংবাদ টি তুলে নিল ।" সংবাদ পত্রে যে বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা হলো -
ক) প্রবল অর্থনীতিক সংকট দেখা দিয়েছে
খ) শহরের পথে ঘাটে বহু অনহারী মানুষের মৃত্যু ঘটেছে
গ) সরকারের পক্ষ থেকে অনাহারী মানুষদের জন্য ত্রাণের ব্যাবস্থা করা হয়েছে
ঘ) গোটা কুড়ি মৃতু দেহের ভালোভাবে সদ গতির ব্যাবস্থা করা হয়নি

উত্তর :– গোটা কুড়ি মৃতু দেহের ভালোভাবে সদ গতির ব্যাবস্থা করা হয়নি

১০)"  নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে ...!" বুঝিয়ে বলার কথা টি হলো -
ক) নিজে কষ্ট করেই শুধুমাত্র অন্যকে বাঁচানো যাবে না
খ) মাইনের পুরো টাকা টা ত্রানে দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়
গ) স্ত্রীর স্বাস্থের প্রতি মৃত্যুঞ্জয়ের যত্ন নেওয়া উচিত
ঘ) নিজে না খেয়ে পরকে খাইয়ে সান্তনা পাওয়ার কোনো কারন নেই



উত্তর :– নিজে কষ্ট করেই শুধুমাত্র অন্যকে বাঁচানো যাবে না

১১) ".. না খেয়ে মরা টা উচিত নয় ভাই ।" কথাটি বলেছে -
ক) মৃত্যুঞ্জয়                                       
খ) নিখিল
গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ছোটো ভাই                 
ঘ) টুনুর মা

 উত্তর :– নিখিল

১২) " ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা ।" মৃত্যুঞ্জয় যে বিষয়টিকে "  পাশবিক স্বার্থপরতা " বলেছে , তা হল -
ক) বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আহার গ্রহনের মানসিকতা কে
খ) অনাহারী মানুষের কথা একে বারেই চিন্তা না করা কে
গ) স্ত্রী স্বাস্থ্য কে উপেখা করাকে
ঘ) ত্রাণকার্যে বন্ধুর চরম উদাসীনতাকে

উত্তর :– বেঁচে থাকার জন্য উপযুক্ত আহার গ্রহনের মানসিকতা কে

১৩) " এক্ষণ সেটা বন্ধ করে দিয়েছে ।" মৃত্যুঞ্জয় এক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছে -
ক) অনাহারী মানুষকে অর্থ সাহায্য করা
খ) অনাহারী , অন্নপ্রথীদের সঙ্গে কথা বার্তা বলা
গ) নিখিলের সঙ্গে কথাবার্তা বলা
ঘ) বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ

উত্তর :– অনাহারী , অন্নপ্রথীদের সঙ্গে কথা বার্তা বলা

১৪) " নিখিল কে বার বার আসতে হয় ।" নিখিল আসে -
ক) মৃত্যুঞ্জয়ের কাছে , ফুটপাতে
খ) মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে
গ) অফিসে
ঘ) রিলিফ সোসাইটিতে
উত্তর :– মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে

১৫)" আমাকে দু তিন দিন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ।" মৃত্যুঞ্জয় তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল -
ক) তার অফিসে
খ) নিখিলের বাড়িতে
গ) ফুটপাতের লোকগুলোর কাছে
ঘ) লঙ্গরখানায়

উত্তর :– ফুটপাতের লোকগুলোর কাছে

১৬) মৃত্যুঞ্জয় নিখিলের থেকে মাইনে বেশি পায় -
ক) কুড়ি টাকা
খ) পঞ্চাশ টাকা
গ) একশো টাকা
ঘ) তিরিশ টাকা

উত্তর :– পঞ্চাশ টাকা

১৭) নিখিল দেখেছিলো যে মৃত্যুঞ্জয় সর্শিতে আটকানো মৌমাছির মতো -
ক) উড়ে বেড়াচ্ছে
খ) মধু খাচ্ছে
গ) গুন গুন করছে
ঘ) মাথা খুঁড়ছে

উত্তর :– মাথা খুঁড়ছে

১৮) নিখিলকে প্রতি মাসে কিছু কিছু টাকা পাঠাতে হয় -
ক) দুই জয়াগায়
খ) তিন জায়গায়
গ) চার জায়গায়
ঘ) পাঁচ জায়গায়

উত্তর :– তিন জায়গায়

১৯) যে দিক থেকে বিচার করে নিখিল বলেছিল যে, দশ জনকে খুন করার চেয়ে নিজেকে না খাইয়ে মারা বড়ো পাপ , তা হলো -
ক) নীতি ধর্ম
খ) সমাজ ধর্ম
গ) ধর্ম
ঘ) যুক্তিবাদ

উত্তর :– সমাজ ধর্ম

২০) মৃত্যুঞ্জয় অফিসে যায় -
ক) ট্রেনে
খ) ট্রামে
গ) বাসে
ঘ) হেঁটে

উত্তর :– ট্রামে

২১) " মৃত্যুঞ্জয়ের গা থেকে ধুলিমলিন সিল্কের জামা " কি হয় -
ক) অদৃশ্য হয়ে যায়
খ) পরিছন্ন হয়ে যায়
গ) ছিড়ে যায়
ঘ) নতুন হয়ে যায়

উত্তর :– অদৃশ্য হয়ে যায়

২২) " ক্রমে ক্রমে নিখিলকে হাল ছেড়ে দিতে হয় ।" কারন -
ক) নিখিল নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল
খ) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী  মৃত্যুঞ্জয়কে সমর্থন করেছিল
গ) নিখিল তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল
ঘ) নিখিলের যুক্তি মৃত্যুঞ্জয়ের অভিজ্ঞার কাছে অর্থহিন হয়ে পড়ে

উত্তর :– নিখিলের যুক্তি মৃত্যুঞ্জয়ের অভিজ্ঞার কাছে অর্থহিন হয়ে পড়ে

২৩) " দারুন একটা হতাশা জেগেছে ওর মনে ।" কারন -
ক) টুনুর মা অসুস্থ
খ) দিনদিন আনহার - মৃত্যু বাড়ছে
গ) যতাসর্বশ দান করলেও সে দুর্ভিক্ষ পিরীত দের ভালো করতে পারবে না
ঘ) অফিসে যেতে ইচ্ছাই করে না

উত্তর :– যতাসর্বশ দান করলেও সে দুর্ভিক্ষ পিরীত দের ভালো করতে পারবে না

২৪) টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরোধ জানাই : কোন অনুরোধ ?
ক) নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নজর রাখে
খ) মৃত্যুঞ্জয় যেন মাইনের পুরো টাকা টা রিলিফ ফান্ডে না দেয়
গ) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকরিটা যাতে না যায়
ঘ) নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়কে ফিরিয়ে আনে

উত্তর :– নিখিল যেন মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতি নজর রাখে

২৫) " টুনুর মা তাকে সকাতর অনুরোধ জানাই ", কাকে ?
ক) নিখিলকে
খ) টুনুকে
গ) মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই কে
ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের চাকর

উত্তর :–  নিখিলকে ।

২৬) মৃত্যুঞ্জয়ের ছেলে মেয়ে গুলির চেঁচিয়ে কাঁদে -
ক) অনাহারে, অবহেলায় , ক্ষুদার  জ্বালায়
খ) মৃত্যুঞ্জয়ের অসভাবিক আচরন দেখে
গ) টুনুর মার কড়া শাসনে
ঘ) বাবা কে না দেখতে পেয়ে

উত্তর :–   অনাহারে, অবহেলায় , ক্ষুদার  জ্বালায় ।


মহুয়ার দেশ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

 

 
:· উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা মহুয়ার দেশ কবিতার কিছু  গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করা হলো ।

১) অলস সূর্য ছবি আঁকে
ক) দিগন্তে
খ) পশ্চিমের আকাশে
গ) সন্ধ্যার  জলস্রোতে
ঘ) হৃদয়ে

উত্তর :–সন্ধ্যার  জলস্রোতে

২) উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ ছিল
ক) গলিত সোনার মতো
খ) সন্ধ্যায় ল্যাম্পপোস্টের মতো
গ) মেঘলা বিকেলের মতো
ঘ) দেবদারু গাছের মতো

উত্তর :–গলিত সোনার মতো

৩) জলের অন্ধকারের ধূসর ফেনায়
ক) জোৎস্না পড়ে
খ) রুপোলি মাছেদের দেখা যায়
গ) আগুন লাগে
ঘ) নৌকা ভাসে

উত্তর :–আগুন লাগে

৪) ধোয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস ঘুরে - ফিরে আসে
ক) শিশিরের ফোটার মতো
খ) শীতের দুঃখ স্বপ্নের মতো
গ  রেখার মতো
ঘ) ভোরের কুয়াশার মতো

উত্তর :–শীতের দুঃখ স্বপ্নের মতো

৫) মহুয়ার দেশ হলো
ক) মেঘ - মদির
খ) চিরসবুজ
গ) নিত্যচঞ্চল
ঘ) আলোকদিপ্ত

উত্তর :–মেঘ - মদির

৬) মহুয়ার দেশে পথের দু - ধারে ছায়া ফেলে
ক) সজীনার গাছ
খ) হিজলের বন
গ) সালের সারী
ঘ) দেবদারু গাছ

উত্তর :–দেবদারু গাছ

৭) নিজের কিলান্তির উপরে ঝরে পড়ার কথা বলেছেন কবি
ক) সমুদ্রের  উচ্ছাস
খ) বিকেলের বাতাস
গ) মহুয়ার ফুল
ঘ) নিশ্চিন্ত ঘুম

উত্তর :–মহুয়ার ফুল

৮) কয়লা খনির শব্দ কবি শুনতে পান
ক) নির্জন দুপুরে
 খ) নিবিড় অন্ধকারে
গ,) শিশিরভেজা সকালে
ঘ) শীতের সন্ধ্যায়

উত্তর :–নিবিড় অন্ধকারে

৯) অলস সূর্য একে দিয়ে যায়
ক) সৌর কিরন
খ) আলোকরেখা
গ) আলোর স্তম্ভ
ঘ) ছায়াপথ

উত্তর :–আলোর স্তম্ভ

১০) " আর আগুন লাগে " যেখানে আগুন লাগে
ক) জলের ওপরে
খ) জলের অন্ধকারে
গ) নদীতে
ঘ) ঝরনার জল স্রোতে

উত্তর :–জলের অন্ধকারে

১১) " মেঘ  মদির মহুয়ার দেশ " কোথায় আছে ?
ক) অনেক,অনেক দূরে
খ) খুব খুব কাছে
গ) পথের দু - ধারে
ঘ) নিজন অরন্য

উত্তর :–অনেক,অনেক দূরে

১২) " মহুয়ার দেশ " কবিতাটি কোন কাব্য গ্রন্থ থেকে নেওয়া
ক) নানাকথা
খ) তিনপুরুষ
গ) খোলা চিঠি
ঘ) কয়েকটি কবিতা

উত্তর :–কয়েকটি কবিতা

১৩) " মহুয়ার দেশ " কবিতাটির ক-টি স্তবক ?
ক) ১
খ) ২
গ) ৩
ঘ) ৪

উত্তর :–২ টি


ভাত MCQ প্রশ্ন ও উত্তর




:· উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা গল্প ভাত গল্পের কিছু MCQ প্রশ্ন ও  দেওয়া হলো ।

১) বড়ো বাড়ির বড়ো বউ–এর প্রথম থেকেই ভালো লাগেনি বাড়িতে কাজ করতে আসা লোকটার ?

ক) চলাফেরা
খ) ভাবভঙ্গি
গ) চাহনি
ঘ) কথাবার্তা

উত্তর :– চাহনি

২)" কিরকম যেন – চাহনি ।"
ক)অন্যরকম
খ)উগ্র
গ)প্রখর
ঘ)বিচ্ছিরি

উত্তর :– উগ্র

৩)" কিন্তু – বলল , ভাত খাবে কাজ করবে " ?
ক) বুড়ো কর্তা
খ) বড়ো পিসিমা
গ)মেজো বউ
ঘ) বামুন ঠাকুর

উত্তর :– বড়ো পিসিমা

৪) "এ – সব কিছুই চলে বড়ো পিসিমার নিয়মে ।"
ক)সংসার
 খ) বাড়িতে
গ) পরিবারে
ঘ)সমাজে

উত্তর :– সংসার

৫)" এই – দফায় কাজ করবে, পেটে দুটো খাবে বই তো নয় ?

ক)  দশ
খ)বারো
গ) ষোলো
ঘ) চোদ্দ

উত্তর :– চোদ্দ

৬) কেনা চাল নয় , – থেকে চাল আসছে  ?

ক) বাদা
খ) খেত
গ) জমি
ঘ) গোলা

উত্তর :– বাদা

৭) বড়ো বাড়ির বৃদ্ধ মরতে বসেছে বলে বড়ো বাড়িতে কী হচ্ছিল  ?

ক) পুজো আচ্চা
খ) হোম যোগি
গ) শান্তি
ঘ) ডাক্তার বদ্দি

উত্তর :– হোম যোগি

৮) তার শশুরই মরতে বসেচেন । শশুরের বয়স্ হয়েছিল ?
ক) আটাতর
খ) আশি
গ) বিরাশি
ঘ) পঁচাশি

উত্তর :– বিরাশি

৯) ভাত গল্পে মুমুষ বৃদ্ধের স্ত্রীকে ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়া ছিল ?
ক)  বাসিনী
খ) বামুন ঠাকুর
 গ)বড়ো বউ
ঘ) মেজো বউ

উত্তর :– মেজো বউ

১০) বড়ো বউ যখন বুড়ো কর্তার ঘরে গিয়েছিল , তখন সে ঘরে আর কে ছিল ?
ক) বড়ো পিসিমা
খ)  বউ
গ) বাসিনী
ঘ) নার্স

উত্তর :– নার্স

১১) সে একটু বসলে পরে – এসে চা খেয়ে যাবে ?
ক)নার্স
খ) বড়ো পিসিমা
গ) বাসিনী
ঘ) মেজো বউ

উত্তর :– নার্স

১২) তার আসার কথা ওঠেনা  – কার ?
ক) বড়ো ছেলে
খ) মেজো ছেলে
গ) সেজো ছেলে
ঘ) ছোটো ছেলে

উত্তর :– সেজো ছেলে

১৩) ভাত গল্পের বড়ো বাড়ির ছেলেরা সকাল ক–টার আগে ঘুম থেকে উঠে না ?
ক) আটটায়
খ) ন ' টায়
গ) দশটায়
ঘ) এগারোটায়

উত্তর :– এগারোটায়

১৪) ভাত গল্পের বুড়ো কর্তা দের কতগুলি দেবত্র বাড়ি ছিল ?
ক) আট টা
খ) আঠারো টা
গ) বাড়ো টা
ঘ) ষোলো টা

উত্তর :– আঠারো টা

১৫) বাদা অঞ্চলে – জমি থাকলে কাজ বা করে কে ?
ক) অসাগর
খ) দোফসলী
গ) তিন ফসলি
ঘ) উবর

উত্তর :– অসাগর

১৬) – বলে দিয়েছে বলেই তো আজ এই হোম যজ্ঞ হচ্ছে ?
ক) ছেলেরা
খ) ডাক্তাররা
গ) পুরোহিতরা
ঘ) বড়ো পিসিমা

উত্তর :– ডাক্তাররা

১৭) কার বাবা তান্ত্রিক এনেছিলেন ?
ক) বড়ো বউ – এর
খ) মেজো বউ– এর
গ) সেজো বউ–এর
ঘ) ছোটো বউ–এর

উত্তর :– ছোটো বউ–এর

১৮) কালো বিড়ালের লোম আনতে যে গিয়েছিল , তার নাম  ?
ক) স্বপন
খ) বিমল
গ) ভজন
ঘ) দীপেন

উত্তর :– ভজন

১৯) ভাত গল্পে যজ্ঞের জন্যে কথা থেকে বালি আনার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল ?
ক) নদী
খ) সমুদ্র
গ) শশান
ঘ) কবর খানা

উত্তর :– শশান

২০) এমন সময়ে – জল বাতাসের চাবুকে ছটফটিয়ে উঠে এসেছিল ?
ক) গঙ্গার
খ) মাতলার
গ) নদীর
 ঘ) সাগরের

উত্তর :– মাতলার



২১) তোরেও তো টেনে নেছেল । বক্তা কে ?
ক) বাসিনী
খ) সাধন
গ) ভজন
ঘ) সতীশ

উত্তর :– সাধন

২২) উচ্ছবের বাবার নাম ছিল  ?
ক) সাধন
খ) ভজন
গ) সতীশ
 ঘ) হরিচরণ

উত্তর :– হরিচরণ

২৩) উচ্ছবদের অঞ্চলে পুরোহিত ছিল –?
ক) সাধন
খ) ভজন
গ) হরিচরণ
ঘ) মহানাম

উত্তর :– মহানাম

২৪) বড়ো বাড়ির মন্দিরের মাথায় যে ত্রিশূল টা ছিল, তা ছিল – ?
ক) সোনার
খ) রুপোর
গ) স্টিলের
ঘ) পেতলের

উত্তর :– পেতলের

২৫) বাসিনী উচ্ছব কে লুকিয়ে কী খেতে দিয়েছিল ?
ক) চিরে
খ) মুড়ি
গ) খই
ঘ) ছাতু

উত্তর :– ছাতু

২৬) অন্ন লক্ষী এ কথা টা উচ্ছবকে কে বলত ?
ক) তার বাবা
খ) তার মা
গ) তার দাদা
ঘ) তার ঠাকুমা

উত্তর :– তার ঠাকুমা

২৭) ভাত গল্পের বুড়ো কর্তার মৃত্যু হয়েছিল কত বছর বয়সে ?
ক) আটাতর
খ) আশি
গ) বিরাশি
ঘ) চুরাশি

উত্তর :– বিরাশি

২৮) সকালে লোকজন উচ্ছবকে সেখানেই ধরে ফেলে । জায়গাটি হলো –?
ক) রাস্তায়
খ) পার্কে
গ) ট্রেনে
 ঘ)  প্লাটফর্মে

উত্তর :– প্লাটফর্মে

২৯) কোথায় যাওয়া ট্রেনে উঠে বসার কথা ভেবেছিল উচ্ছব ?
ক) খিকান্ত পুর
খ) কানিং
গ) ডায়মন্ড হারবার
ঘ) লক্ষীকান্ত পুর

উত্তর :– কানিং

৩০)বুড়ো কর্তার কত বছর বেঁচে থাকার কথা ছিল বলে বড়ো পিসিমা জানিয়েছিলেন ?
ক) একশ বছর
খ)  বিরান্নবই বছর
গ) আটানব্বই বছর
ঘ) সাতাশি বছর

উত্তর :– আটানব্বই বছর

৩১) ভাত গল্প টি প্রকাশিত হয়েছিল কোন প্রত্রিকায় ?
ক) কল্লোল
খ) আনন্দ বাজার
গ) মেনিফেস্টো
 ঘ) আজকাল

উত্তর :– মেনিফেস্টো

৩২) উনি হলেন দেবতার সেবিকা । উনি বলতে যার কথা বলা হয়েছে  ?
ক) বড়ো বউ
খ) বড়ো পিসিমা
গ) চ্ন্নুনির মা
ঘ) টুনুর মা

উত্তর :– বড়ো পিসিমা

৩৩)বড়ো বাড়িতে – মন্দিরও আছে একটা ?
ক) লক্ষী
খ) দুর্গা
গ)  শিব
ঘ) কালী

উত্তর :– শিব

৩৪) বামুন চাকর ঝি দের জন্য – চাল ?
ক) ঝিঙেশাল
খ) রামশাল
গ) পদ্মজালি
ঘ) মোটা সাপটা

উত্তর :– মোটা সাপটা

৩৫) চিরকালই উচ্ছব যে নামে পরিচিত ।
ক) জেলে
খ) ভিখিরি
গ)  নাইয়া
ঘ) বদমাশ

উত্তর :– নাইয়া

৩৬) হোম - যজ্ঞ হচ্ছে । হোম যজ্ঞের জন্য আনা হয়েছিল  ?
ক) বেল, বেলকাঠ, ধুনো,বাতাসা,
খ) আম,বেল, জাম, কেওড়া গাছের কাঠ
গ) বেল, বট, অ্শ্বস্থ , আম গাছের কাঠ
ঘ) বেল, কেওরা, অ্শ্বস্থ, বট, তেতুঁল কাঠ

উত্তর :– বেল, কেওরা, অ্শ্বস্থ, বট, তেতুঁল কাঠ

৩৭) নিরামিষ তরকারির সঙ্গে যে – চালের ভাত খাওয়া হত , তা হলো  ?
ক) কনক পানি
খ)  রামশাল
গ) পদ্মজালি
ঘ)  ঝিঙেশাল

উত্তর :– ঝিঙেশাল

৩৮) উচ্ছবের গ্রাম – সম্পর্কিত বোনের নাম ?
ক) চ্ন্নুনি
খ) লক্ষী
গ) টুনু
ঘ) বাসিনী

উত্তর :– বাসিনী

৩৯) বড়ো বাড়িতে মাছের সঙ্গে যে চালের ভাত খাওয়া হয় , তা হলো – ?
ক) ঝিঙেশাল
খ) পদ্মজালি
গ) রামশাল
ঘ) কনকপানি

উত্তর :– রামশাল

৪০)মন্দিরের চাতালে কত গুলি ছেলে তাস খেলছিল ?
ক) দুজন
খ) তিনজন
গ) চারজন
ঘ) পাঁচজন

উত্তর :– তিনজন

৪১) যজ্ঞের জন্য উচ্ছব কাঠগুলো কাটছিল কত হাত লম্বা করে ?
ক) দেড়
খ) দুই
গ) আড়াই
ঘ) তিন

উত্তর :– দেড়

৪২) বুড়ো কর্তার মৃতদেহ সৎ কারে নিয়ে যাওয়া হয় – ?
ক) রাত একটার পর
খ) রাত বারোটার পর
গ) রাত নটার পর
 ঘ) রাত দু–টোর পর

উত্তর :– রাত একটার পর

৪৩) পদ্মজালি চাল রান্না হয় ?
ক) বড়োবাবুর জন্য
খ)  মেজো আর ছোটবাবুর জন্য
গ)  বামুন , চাকর, ঝিদের জন্য
ঘ) বাড়ির বউ দের জন্য

উত্তর :– বড়োবাবুর জন্য

৪৪)রাস্তার দোকান থেকে চা আসতে থাকে । কারন ?
ক)  বাড়িতে চায়ের ব্যাবস্থা ছিল না
খ)  বাড়িতে চা করার মতো কেউ ছিল না
গ)  বাড়িতে উনুন জ্বলবে না
ঘ)  বাড়িতে সবাই কাজে ব্যাস্ত

উত্তর :– বাড়িতে উনুন জ্বলবে না



কে বাঁচায় কে বাঁচে MCQ গল্প প্রশ্ন ও উত্তর 

ভারতবর্ষ গল্প MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

বিভাব নাটক  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

নানা রঙ্গের দিন নাটক MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

অলৌকিক  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 


পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন  উত্তর


গান MCQ  প্রশ্নও উত্তর 

বিজ্ঞান. MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

খেলা. MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

চিত্রকলা  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

সিনেমা  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর 

রূপ নারানের কূলে প্রশ্ন ও উত্তর

আমি দেখি  MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

মহুয়ার দেশ MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

শিকার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে MCQ প্রশ্ন ও উত্তর



রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো | Tapan Singher Obodan

 



প্রশ্ন :- বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে তপন সিংহের অবদান আলোচনা করো ।





উত্তর : বাংলা তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রে সুবর্ন রথের এক বর্ণময় সারথী তপন সিংহ । তিনি বহু আলোচিত , কিন্তু অনালোকিত । আসলে তপন সিংহ কে দেখার চোখ সেদিনের শিল্প বোদ্ধা দের ছিল না । কারণ , আমাদের শিল্প বোদ্ধ যেমন এক দেশ দশী , তেমনি যুক্তি ও শৃঙ্খলার । তাই তপন সিংহের মতো শিল্পীও আমাদের বিচারে গৌণ , অকিঞ্চিৎকর হয়ে পড়েছিলেন ।

[  ] ছাত্রবস্থা থেকেই দেশ বিদেশের চলচ্চিত্র ভক্ত তপন সিংহ । জীবনের প্রথম পর্বেই শিক্ষানবিশ হিসেবে পেয়েছিলেন বাণী দত্ত এবং বিমল রায়ের মতো পরিচালকের দীক্ষা তারপর লাভ করেছিলেন বিশ্বখ্যাত পরিচালক জা রেনোয়ার সান্নিধ্য । তারপর " ক্যালকাটা মুভি টোন " এ শব্দ যন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে করতে লোগুন যাত্রা । সেখানে " সাউন্ড এফেকশন " নিয়ে ডিগ্রী লাভ করে চার্লস ক্রাইটনের সহকারী হওয়ার দুর্লভ সুযোগ লাভ । অন্তঃপর দেশে ফিরে আসা । এ খানে এসে " সৈনিক " নামের বিখ্যাত ছোটো গল্প নিয়ে তৈরী করেন প্রথম সিনেমা " অঙ্কুশ" । কিন্তু সিনেমাটি চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় । কটূক্তি , বাঙ্গণতক সমালোচনায় তপন সিংহ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন । তারপর রবীন্দ্রভক্ত হিসেবে তিনি রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নেন । আর এই পথেই আসে সাফল্য । তার দ্বিতীয় সিনেমা " কাবুলিওয়ালা " দারুন ভাবে শুধু বাণিজ্য - সফলই হয় না । রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার এবং বার্লিন চলচ্চিত্রও পুরষ্কার লাভ করে । এরপর তিনি সিনেমার জগতে তৈরী করে ফেলেন নিজস্ব পরিচিতি ।

সতীর্থ সত্যজিৎ এবং হাদ্র ঋত্বিকের সঙ্গে তাঁর চলচ্চিত্র ভাবনার প্রধান পার্থক্য এই যে , তিনি নব্য তার ভাষা ও পরিশীলিত শিল্প টেকনিকের সঙ্গে এক পেশে আপস না করে এক অভিনব বিবর্তন রেখা অঙ্কন করতে চান । তিনি আজীবন বিশ্বাস করেছেন যে , সিনেমা যেহেতু একটা বাণিজ্য ব্যাবস্থা , তাই তাকে যদি সুন্দরের অভিযানে যেতেও হয় তবে সেই অভিযান কে বানিজ্য সমথিত হতেই হবে । যদি সিনেমা স্বয়ং শাসিত হয় ও , তবু তাকে গল্পের উপর নির্ভরশীল থেকে যেতে হবে । তবে সেই গল্প বলা হলিউডি মার্কা হবে না তা হবে আমাদের কথকতার ধরনের । তপন সিংহের ধারণা ছিল ছবির কোনো অধিকার ই নেই বিমূর্ত হওয়ার তাকে আলো শব্দ চিত্র দিয়ে বিচিত্র স্বাদের গল্প বুনে যেতে হবে । আসলে তপন সিংহের মধ্যে ছিল স্বদেশ্চিয়ানা বা বাঙালিয়ানার বিস্তৃত মনো পরিসর । তাই যে মধ্যবিত্ত দারিদ্র্য দু:খ  চেনে অথচ দিন্তামুক্ত , যে মধ্যবিত্ত শব্দের সোজন্য হৃদয়ের উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য আকুল  - তপন সিংহ তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন । তাই তো সৃষ্টি হয় " কাবুলিওয়ালা " " নির্জন সৈকতে" " হারমোনিয়াম " " গল্প হলেও সত্যি " " সাগিনা মাহাতো ' " সবুজ দ্বীপের রাজা "  ইত্যাদি সিনেমা ।

এই সিনেমা গুলি থেকেই বোঝা যায় তিনি মধ্যে সিনেমার পর্থিক নন বরং আমাদের ঐতিহ্য । মূল কাহিনী পর্থের ই এক সফল পদাতিক মধ্যপন্থী নন , বরং একটি সম্মাবস্থা তার শিল্পরা কথা বলে , কিন্তু কোলাহল করে না , তার চরিত্ররা সংলাপমুখোর ,

এ রকম অপ্রত্যাশিত কাহিনী নির্বাচন কে স্বা ভাবিক প্রত্যাশার মধ্যে বুনে দেওয়া যে কত বড়ো কৃতিত্ব তা আজ বাংলা ছবির পতিত ।






শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।

 

বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।

 




প্রশ্ন :- বিভাব নাটকে বর্ণিত প্রথম লভ সিনটি নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো ।





উত্তর :- বাংলা তথা ভারতীয় নাট্য জগতে এক প্রবাদপ্রতিম ব্যাক্তিত্ব শম্ভু মিত্র । তার নাটক গণ্য নাট্য থেকে নব্য নাট্য , অ্যান্টি ড্রামা থেকে রাবীন্দ্রিক রূপকথা  সব ক্ষেত্রেই স্বচ্ছন্দ বিচনরণ করে । কিন্তু এ সবের পরেও তার নাটকে মূলত যা প্রতিফলিত হয় , তা হল জীবন এবং একমাত্র জীবন । আলোচ্য " বিভাব" নাটকটিও সেই ভাবনারই প্রতিচ্ছবি ।

হাসির নাটকে প্রেম - বিষয়ক নির্বাচন : নাটকে নাট্যকার ও চরিত্র শম্ভু মিত্র হাসির ভাব জাগিয়ে তোলার জন্য অমরের বাড়িতে আসে । উদ্দেশ্য হাসির নাটক তৈরি করে " বক্স অফিস " কাপানো । সেই উদ্দেশ্য চলে বিশেষ ভাব সংগ্রহের নাটকীয় আলোচনা । আলোচনায় উঠে আসে " পৃথিবীতে সবচেয়ে পপুলার জিনিস হচ্ছে প্রেম "। তাতে " হিউম্যান ইন্টারেস্ট " এবং " পপুলার অ্যাপিল " দুটোই আছে । সুতরাং তড়িঘড়ি একটা সিন অ্যারেঞ্জ করা হয় । দৃশ্যের পটভূমিও নির্বাচিত হয়  বৌদির ভাবনা অনুযায়ী । আবার , বৌদির পছন্দেই নায়কের রোল প্লে করে শম্ভু । আর নায়িকা তো নিশ্চিত ভাবেই বৌদি ।

লাভ সিনে জখমী সংঘটন : নায়ক নায়িকা নির্বাচন হয়ে গেছে । বেশ এবার সমগ্র দৃশ্যের নির্দেশনায় বৌদি একটা কাল্পনিক রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করে । মানে ব্যাপারটা হল নায়িকা কলেজ থেকে ফিরছে । উল্টো দিক থেকে শম্ভু মানে নায়ক কোনো অনির্দিষ্ট জায়গা থেকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে আসতে থাকে । ব্যাস স্বাভাবিক ভাবেই নায়ক নায়িকার পূর্ব নির্দিষ্ট নিশ্চিত ধাক্কা । নায়িকা রেগে উঠে স্বাভাবিক তেমন টাই হওয়া উচিৎ আর কি । নাট্য পরিকল্পনায় সেটাই তো ডিমান্ড । ফলত প্রচন্ড বিরক্তি আর তীব্র ঝাঁঝি দিয়ে নায়িকা বলে ওঠে - " কেয়া আপ দেখতে নেহি - চোখ খুলে চলতে জানেন না ?" নায়ক বেচারা একেবারেই গোবেচারা ফলত এই আকস্মিক মেজাজ খেয়ে আমতা আমতা করতে হয়  । আর তক্ষুনি সপাটে এক চর মারে নায়িকা । নায়ক বিমর্ষ, সিন জখমী হয়ে পড়ে ।


বলিউডি ভাব বিলাসিতা প্রেম : সিন যখন জখমী নায়ক যখন আহত তক্ষুনি অদ্ভুত সংঘটন ক্রিয়ায় একেবারে বিস্ময়কর ভাবে সম্পূর্ন বিপরীত ভাবাবেগে নায়িকা হয়ে পড়ে পূর্বাগাছন্ন । একেবারে ফিল্মি ঢংয়ে ন্যাকামির ভঙ্গিতে পঞ্চাশ ষাট দশকের বলিউড ঘরনায় । কল্পিত গাছের ডাল ধরে  হারমোনিয়াম সহযোগে প্লে ব্যাকের দৌলতে নায়িকা গান গেয়ে ওঠে - " ওই মালতিলতা দোলে " ।



বিশ্বভারতীর বংশদন্ডের ভয়ে লভ সিনের যবনিকা পতন : নায়িকা গান গায় - " মালতী লতা দোলে কিন্তু সেই গানের " দোলে" " দোলে " - এমন দুলিয়ে দিয়ে যায় যে বিশ্ব ভারতীর বংশ দন্ডের ভয়ে হৃদপিন্ড পর্যন্ত দুলে ওঠে ।

এ ভাবেই বৌদির উদ্ভাবনী প্রকল্পনা সত্বেও প্রথম লভ সিনকে ক্যানসেল করতে হলো ।









শুক্রবার, ৯ এপ্রিল, ২০২১

কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও । Keshob O Oliporbar Porichoy Dao

কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও । Keshob O Oliporbar Porichoy Dao



প্রশ্ন :- কশ্যপ ও অলিপর্বার পরিচয় দাও ।


উত্তর: শ্রীগোবিন্দকৃষ্ণ মোদক বিরচিত বনগুতা গুহা পাঠাংশে কশ্যপ ও অলিপর্বা সহোদর দুই ভাই । তারা পারস্য দেশের অধিবাসী । সেই দেশের কোনো এক নগরে তাদের বসবাস । তাদের পিতা ছিলেন দরিদ্র । সামান্য কিছু সম্পত্তি তার ছিল যা দিয়ে সন্তানদের প্রতিপালন করেছিলেন । দুই সন্তানই তার অত্যন্ত প্রিয় ছিল । মৃত্যুকাল আসন্ন দেখে নিজের সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করে দেন । তিনি এও চেয়েছিলেন যে তারা যেন ধন সম্পদ অর্জনে সমান অবস্থা বজায় রাখতে পারে ।


[  ] কশ্যপ ছিল বড়ো । তার লক্ষ্য একটু উচ্চ । পিতা সাধারন সরল জীবনযাপনের অধিকারী হলেও কশ্যপ নিজেকে ধন সম্পদের অধিকারী করে তোলার জন্য উদগ্রীব ছিল । তাই সে কোনো এক ধনীর কন্যাকে বিবাহ করে । তারই সহায়তায় শীগ্রই নগরের শ্রেষ্ঠ বণিকদের মতো বিত্তশালী হয়ে ওঠে । তবে কশ্যপ পরিশ্রমী ছিল না বরং সর্বদা বিলাসের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটাতো । ভোগবিলাসের জীবনে তার কাছে কোন কিছুই অপ্রাপ্য ছিল না ।



[    ] ছোটো ভাই অলিপর্বা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির । পৈতৃক সম্পত্তিতে তার কোনো রকমে দিন কাটত । সে বিবাহও করেছিল এক গরীব বাড়ীর কন্যাকে । আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার জন্য সে এক কুঠিরে বসবাস করত । স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটত । তবে অলিপর্বার ছিল পরিশ্রমী । প্রত্যেহ ভোরে উঠে বনে যেত কাঠ কাটতে । সংগৃহিত কাঠ তিনটি গাধার পিঠে চাপিয়ে নগরে এনে বিক্রি করত । আর সেই অর্থে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করত ।  কশ্যপ ছিল লোভী , অলস , সার্থপর ও উচ্চাকাঙ্খী , অলিপর্বা ছিল সহজ সরল পরিশ্রমী নির্লোভ সৎ মানুষ ।








মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জীবনীমূলক রচনা । Upendra Kishore Ray Chowdhury

 

উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী জীবনীমূলক রচনা । Upendra Kishore Ray Chowdhury


জন্ম ও পরিবার :
উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম ১২৭০ বঙ্গাব্দের ২৭ বৈশাখ (১৮৬৩ সালের ১২  | ময়মনসিংহ জেলার বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে, যা অধুনা বাংলাদেশে অবস্থিত। তার পিতা কালিনাথ রায় ছিলেন সুদর্শন ও আরবি, ফারসি ও সংস্কৃতে সুপণ্ডিত। তার ডাকনাম ছিল শ্যামসুন্দর মুন্সী। উপেন্দ্রকিশোর শ্যামসুন্দরের আটটি সন্তানের মধ্যে তৃতীয় পুত্রসন্তান। তার পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়। পাঁচ বছরেরও কম বয়সে তার পিতার অপুত্রক আত্মীয় জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন ও নতুন নাম দেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বাংলা সাহিত্য জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম। সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পিতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ছিলেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। যদিও নবাব সিরাজ উদ দৌলার বংশধরদের সঙ্গে বাংলার বিখ্যাত রায় পরিবারের কোনও যোগাযোগ নেই।



শিক্ষা জীবন : মেধাবী ছাত্র বলে পড়াশোনায় ভাল ফল করলেও ছোটোবেলা থেকেই উপেন্দ্রকিশোরের পড়াশোনার থেকে বেশি অনুরাগ ছিল বাঁশী, বেহালা ও সঙ্গীতের প্রতি। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে উপেন্দ্রকিশোর প্রবেশিকা পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়ে বৃত্তি পান। তারপর কলকাতায় এসে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে।


সাহিত্যজীবন : একুশ বছর বয়সে বিএ পাস করে ছবি আঁকা শিখতে আরম্ভ করেন উপেন্দ্রকিশোর। এই সময় তিনি ব্রাহ্ম সমাজের সদস্য হওয়ায় তার অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য ঘটে। ছাত্র থাকাকালীনই তিনি ছোটোদের জন্যে লিখতে আরম্ভ করেন। সেই সময়কার সখা, সাথী, মুকুল ও জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত বালক নামে মাসিক পত্রিকাগুলিতে তার লেখা প্রকাশ হতে শুরু হয়। প্রথমদিকের (যেমন সখা, ১৮৮৩) প্রকাশিত লেখাগুলি ছিল জীববিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ। তার পরে চিত্র অলঙ্করণযুক্ত গল্প প্রকাশিত হতে আরম্ভ হয়। ১৮৮৬ সালে ২৩ বছরের উপেন্দ্রকিশোরের সঙ্গে বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারক ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম পক্ষের কন্যা বিধুমুখীর বিবাহ হয়, এবং তখনকার কলকাতার কর্নওয়ালিস স্ট্রীটের ব্রাহ্ম সমাজের মন্দিরের বিপরীতে লাহাদের বাড়ির দোতলায় কয়েকটি ঘর ভাড়া নিয়ে উপেন্দ্রকিশোরেরর সংসার জীবন শুরু হয়। উপেন্দ্রকিশোরের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। ছেলেরা হলেন সুকুমার, সুবিনয় ও সুবিমল, এবং মেয়েরা হলেন সুখলতা, পুণ্যলতা ও শান্তিলতা। প্রত্যেকেই শিশু সাহিত্যে অবদান রেখেছেন। জ্যেষ্ঠা কন্যা সুখলতা রায় ও জ্যেষ্ঠ পুত্র সুকুমার রায় উল্লেখযোগ্য।

যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি থেকে তার প্রথম বই "ছেলেদের রামায়ণ" প্রকাশিত হয়। এই বইটি সমাজে অতি আদরের সঙ্গে সমাদৃত হলেও মুদ্রণ সম্বন্ধে অতৃপ্ত উপেন্দ্রকিশোর ১৮৮৫ সালে বিদেশ থেকে তখনকার দিনের আধুনিকতম মুদ্রণযন্ত্রাংশাদি নিজের খরচায় আমদানি করেন, এবং ৭ নম্বর শিবনারায়ণ দাস লেনে নতুন ভাড়াবাড়ি নিয়ে ইউ রায় অ্যান্ড সন্স নামে নতুন ছাপাখানা খোলেন। এখানের একটি কামরায় তিনি নিজের আঁকার স্টুডিও খোলেন এবং সেখানে হাফটোন ব্লক প্রিন্টিং নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন। ১৯১১ সালে তিনি বড় ছেলে সুকুমারকে বিলাতে পাঠান ফোটোগ্রাফী ও মুদ্রণ সম্বন্ধে উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্যে।




মৃত্যু : ১৯১৫ সালের ২০শে ডিসেম্বর মাত্র বাহান্ন বছর বয়সে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরি পরলোক গমন করেন।